ঢাকা ০৩:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শিবগঞ্জ সীমান্তে ৬টি ভারতীয় চোরাই মোবাইলসহ আটক ১ রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলাম কায়েম না হলে পরিপূর্ণ দ্বীন মানা সম্ভবত নয়, মাও: বোরহান উদ্দিন নির্বাচন-গণভোটের প্রস্তুতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করলেন সিইসি বরুড়ায় হানাদারমুক্ত দিবস পালিত ১২ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের আবেদন ট্রাইব্যুনালে অবৈধ আয়ে পরিচালিত রাজনীতি চাঁদাবাজিকে উৎসাহিত করে : পরিকল্পনা উপদেষ্টা জাপান–বাংলাদেশ সহযোগিতায় কার্বন বাজার প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে: পরিবেশ উপদেষ্টা আইএসইউর মানবিক উদ্যোগ: বরুড়ায় শীতবস্ত্র বিতরণ  নারায়নগঞ্জের ফতুল্লার ধর্মগঞ্জে বেগম জিয়ার রোগ মুক্তি ও সুস্থতা কামনায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিল সেইভ আওয়ার উইমেন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম ডিভিশনের শীতবস্ত্র বিতরণ

ক্রিটিসাইজ করবেন, তবে ভালো কাজের প্রশংসাও করতে হবে : অর্থ উপদেষ্টা

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৪৭:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫
  • ৩৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: অর্থ উপদেষ্টা ড. সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অনেক সমস্যা আছে, তবে সম্ভাবনাও রয়েছে। আপনারা (সাংবাদিক) ক্রিটিসাইজ করবেন। পাশাপাশি ভালো কাজগুলোর প্রশংসাও করতে হবে।

রোববার (১৬ নভেম্বর) সকালে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত ‘নগদ-ডিআরইউ-বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড’ এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘আইএমএফ বলেছে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অনেক সমস্যা। কিন্তু তারাই আবার আমাদের পার্সোনালি জানিয়েছে, অনেক দেশের চেয়ে আমরা ভালো করছি। কাজেই ক্রিটিসাইজ করবেন, তবে আমাদের ভালো দিকগুলো নিয়েও প্রশংসা করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘গতবছরের আগস্টে আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর যা দেখেছি, তার সবটা বলা যাবে না, বলা ঠিকও হবে না। আমরা দায়িত্ব না নিলে দেশের অর্থনীতি যে কোথায় যেত, তা কল্পনার বাহিরে। আমরা চেষ্টা করছি ফাঁটল বন্ধ করতে। তবে আগামী নির্বাচিত সরকারের অনেক কিছু করার সুযোগ রয়েছে। বাকিটা তাদের করতে হবে।’

ড. সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আগামী সরকারের জন্য আমরা আরো কিছু কাজ করে রেখে যেতে চাই। আমাদের সমালোচনা করবেন, আমাদের ভুলগুলো আপনাদের লেখনীর মাধ্যমে ধরিয়ে দেবেন। তাহলে আমরা আরো বেশি কাজ করতে পারবো।

‘বিদেশি সার্টিফিকেট নিয়ে আমরা বাহ্ বাহ্ নেব না, আমাদের নিজ উদ্যোগে এগিয়ে যেতে হবে। গণজনের জন্য সেবা বাড়াতে হবে’, যোগ করেন তিনি।

সাংবাদিকদের অ্যাওয়ার্ডের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘পরীক্ষার খাতা দেখার চেয়েও বেশি কষ্টকর সাংবাদিকদের রিপোর্টের মান যাচাই করা। আমি নিজেও একসময় শিক্ষার্থীদের পড়াতাম। আমি জানি মূল্যায়ন করা কতটা কষ্টকর। এগুলো (রিপোর্ট) যারা মূল্যায়ন করেছেন, তারা দেশের স্বার্থেই কাজ করেছেন।’

তিনি বলেন, ‘জার্নালিস্টদের কিছু সীমাবদ্ধতা আছে, সেজন্য হয়ত তারা সবকিছু তুলে ধরতে পারে না। তবে এই সীমাবদ্ধতার মধ্যে থেকে সমাজের দর্পণ হিসেবে আপনাদের কাজ করে যেতে হবে।’

নিজে আর কখনো শিক্ষকতায় না ফিরলেও দেশের অর্থনীতি নিয়ে সারাজীবন কাজ করে যেতে চান অর্থ উপদেষ্টা। বলেন, ‘আমার অনেক ছাত্র এখন দেশের অর্থনীতির বড়ো বড়ো জায়গাগুলোতে রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরও আমার পরোক্ষ ছাত্র ছিলেন। শিক্ষকতা পেশায় আমার একটা টান রয়েছে। তবে ভবিষ্যতে শিক্ষকতা পেশায় না ফিরলেও দেশের অর্থনীতি নিয়ে কাজ করতে চাই।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নগদের চেয়ারম্যান কায়জার আহমেদ চৌধুরী, নগদের বাংলাদেশ ব্যাংক নিযুক্ত প্রশাসক মোতাছিম বিল্লাহ, ডিআরইউর সভাপতি আবু সালেহ আকন ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেলসহ কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা।

প্রসঙ্গত, অনুষ্ঠানে প্রিন্ট-অনলাইন এবং টেলিভিশন-রেডিও—দুই ভাগের ২৫টি ক্যাটাগরির বাইরে সব মিডিয়ার জন্য আরো উন্মুক্ত দুটি বিশেষ পুরস্কারসহ মোট ২৭টি ক্যাটাগরি জন্য ২৭টি পুরস্কার দেওয়া হয়। প্রায় ৪ শতাধিক জমা হওয়া রিপোর্টের মধ্য থেকে যাচাই-বাছাই করে ২০২৫ সালের জন্য সেরা এই ২৭টি রিপোর্টকে পুরস্কারের জন্য বাছাই করা হয়েছে। বাছাই কমিটির জুরি বোর্ডে দায়িত্ব পালন করেন দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমের ১০ জন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক। জুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন দ্য ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

শিবগঞ্জ সীমান্তে ৬টি ভারতীয় চোরাই মোবাইলসহ আটক ১

ক্রিটিসাইজ করবেন, তবে ভালো কাজের প্রশংসাও করতে হবে : অর্থ উপদেষ্টা

আপডেট সময় : ০৪:৪৭:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: অর্থ উপদেষ্টা ড. সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অনেক সমস্যা আছে, তবে সম্ভাবনাও রয়েছে। আপনারা (সাংবাদিক) ক্রিটিসাইজ করবেন। পাশাপাশি ভালো কাজগুলোর প্রশংসাও করতে হবে।

রোববার (১৬ নভেম্বর) সকালে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত ‘নগদ-ডিআরইউ-বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড’ এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘আইএমএফ বলেছে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অনেক সমস্যা। কিন্তু তারাই আবার আমাদের পার্সোনালি জানিয়েছে, অনেক দেশের চেয়ে আমরা ভালো করছি। কাজেই ক্রিটিসাইজ করবেন, তবে আমাদের ভালো দিকগুলো নিয়েও প্রশংসা করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘গতবছরের আগস্টে আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর যা দেখেছি, তার সবটা বলা যাবে না, বলা ঠিকও হবে না। আমরা দায়িত্ব না নিলে দেশের অর্থনীতি যে কোথায় যেত, তা কল্পনার বাহিরে। আমরা চেষ্টা করছি ফাঁটল বন্ধ করতে। তবে আগামী নির্বাচিত সরকারের অনেক কিছু করার সুযোগ রয়েছে। বাকিটা তাদের করতে হবে।’

ড. সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আগামী সরকারের জন্য আমরা আরো কিছু কাজ করে রেখে যেতে চাই। আমাদের সমালোচনা করবেন, আমাদের ভুলগুলো আপনাদের লেখনীর মাধ্যমে ধরিয়ে দেবেন। তাহলে আমরা আরো বেশি কাজ করতে পারবো।

‘বিদেশি সার্টিফিকেট নিয়ে আমরা বাহ্ বাহ্ নেব না, আমাদের নিজ উদ্যোগে এগিয়ে যেতে হবে। গণজনের জন্য সেবা বাড়াতে হবে’, যোগ করেন তিনি।

সাংবাদিকদের অ্যাওয়ার্ডের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘পরীক্ষার খাতা দেখার চেয়েও বেশি কষ্টকর সাংবাদিকদের রিপোর্টের মান যাচাই করা। আমি নিজেও একসময় শিক্ষার্থীদের পড়াতাম। আমি জানি মূল্যায়ন করা কতটা কষ্টকর। এগুলো (রিপোর্ট) যারা মূল্যায়ন করেছেন, তারা দেশের স্বার্থেই কাজ করেছেন।’

তিনি বলেন, ‘জার্নালিস্টদের কিছু সীমাবদ্ধতা আছে, সেজন্য হয়ত তারা সবকিছু তুলে ধরতে পারে না। তবে এই সীমাবদ্ধতার মধ্যে থেকে সমাজের দর্পণ হিসেবে আপনাদের কাজ করে যেতে হবে।’

নিজে আর কখনো শিক্ষকতায় না ফিরলেও দেশের অর্থনীতি নিয়ে সারাজীবন কাজ করে যেতে চান অর্থ উপদেষ্টা। বলেন, ‘আমার অনেক ছাত্র এখন দেশের অর্থনীতির বড়ো বড়ো জায়গাগুলোতে রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরও আমার পরোক্ষ ছাত্র ছিলেন। শিক্ষকতা পেশায় আমার একটা টান রয়েছে। তবে ভবিষ্যতে শিক্ষকতা পেশায় না ফিরলেও দেশের অর্থনীতি নিয়ে কাজ করতে চাই।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নগদের চেয়ারম্যান কায়জার আহমেদ চৌধুরী, নগদের বাংলাদেশ ব্যাংক নিযুক্ত প্রশাসক মোতাছিম বিল্লাহ, ডিআরইউর সভাপতি আবু সালেহ আকন ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেলসহ কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা।

প্রসঙ্গত, অনুষ্ঠানে প্রিন্ট-অনলাইন এবং টেলিভিশন-রেডিও—দুই ভাগের ২৫টি ক্যাটাগরির বাইরে সব মিডিয়ার জন্য আরো উন্মুক্ত দুটি বিশেষ পুরস্কারসহ মোট ২৭টি ক্যাটাগরি জন্য ২৭টি পুরস্কার দেওয়া হয়। প্রায় ৪ শতাধিক জমা হওয়া রিপোর্টের মধ্য থেকে যাচাই-বাছাই করে ২০২৫ সালের জন্য সেরা এই ২৭টি রিপোর্টকে পুরস্কারের জন্য বাছাই করা হয়েছে। বাছাই কমিটির জুরি বোর্ডে দায়িত্ব পালন করেন দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমের ১০ জন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক। জুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন দ্য ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ।