আলোকিত কাগজ ডেস্ক: আজ বিশ্ব এইডস দিবস। এইচআউইভই সংক্রমণ রুখতে সচেতনতা প্রচারের লক্ষ্যে নানা অনুষ্ঠানে দিনটি পালিত হচ্ছে। ১৯৮৮ সালের পয়লা ডিসেম্বর দিনটি বিশ্ব এইডস দিবস হিসেবে ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
দিবসটি উপলক্ষ্যে ২০২৫ সালের মূল বার্তা হলো — ‘চ্যালেঞ্জ পেরিয়ে, নতুনভাবে এইডস প্রতিরোধ গড়ে তোলা’।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’র সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, এইচআইভি মোকাবিলায় অগ্রগতি হলেও সামনে এখনও বড় চ্যালেঞ্জ আছে। ২০২৪ সালের শেষে বিশ্বজুড়ে প্রায় ৪ কোটি ৮ লাখ মানুষ এইচআইভি নিয়ে বেঁচে ছিলেন। একই বছরে ১৩ লাখ নতুন সংক্রমণ এবং প্রায় ৬ লাখ ৩০ হাজার মানুষের মৃত্যু ঘটে এই এইডস-সংক্রান্ত জটিলতায়।
এখনও এই প্রাণঘাতী ভাইরাসে আক্রান্ত প্রায় ৯২ লাখ মানুষ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সুবিধা পাচ্ছে না। শিশু, কিশোর-কিশোরী, অন্তঃসত্ত্বা নারী ও সমাজের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী সবচেয়ে বেশি এইচআইভি ঝুঁকিতে রয়েছে। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো সতর্ক করে দিয়েছে বলেছে যে অর্থসংকট ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর অতিরিক্ত চাপ, অগ্রগতিকে আটকে দিতে পারে এবং বৈষম্য এখনও সবচেয়ে বড় বাধা।
নতুন গবেষণার ফলাফল আশার আলো দেখাচ্ছে। দীর্ঘমেয়দি ইনজেকশন ভিত্তিক অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল ওষুধ এখন অনেকের জন্য সহজ ও টেকসই চিকিৎসার সুযোগ তৈরি করছে।
বিশ্ব এইডস দিবস আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে এইডস মোকাবিলা শুধু চিকিৎসার বিষয় নয়— বরং এটি একটি মানবিক অধিকার এবং এটি ন্যায়, সমতা ও সম্মানের বিষয়।
১৯৮৮ সাল থেকে সারা বিশ্বে ১ ডিসেম্বর বিশ্ব এইডস দিবস পালন করা হয়। বাংলাদেশেও এ দিবস উপলক্ষ্যে নানা উদ্যোগ নেয়।
২০৩০ সালের মধ্যে এইডস নির্মূল করার জন্য টেকসই রাজনৈতিক নেতৃত্ব, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও মানবাধিকার-কেন্দ্রিক পদ্ধতির আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।
প্রতিনিধির নাম 


























