ঢাকা ০১:০৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মহান বিজয় দিবসে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক কাজ ইসি খুব ভালোভাবে করেছে : অর্থ উপদেষ্টা হাদিকে নিয়ে সিঙ্গাপুরের পথে উড়াল দিল এয়ার অ্যাম্বুলেন্স যশোরে অশ্রুসিক্ত শ্রদ্ধায় পালিত হচ্ছে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পুলিশ সুপার যশোর ও ব্যবসায়ীদের মতবিনিময় সভা : সন্ত্রাসমুক্ত ও বাসযোগ্য শহরের অঙ্গীকার দুপুরে সিঙ্গাপুর নেওয়া হচ্ছে ওসমান হাদিকে শাওন-আনিস আলমগীরসহ চারজনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযোগ আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট বেনাপোলে টাকাসহ দুই ভারতীয় নারী আটক হোয়াইক্যংয়ে জোরপূর্বক জমি দখলের চেষ্টা, আহত সাইফুল শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে রায়পুরাতে মোমবাতি প্রজ্বলন

কালীগঞ্জে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতা, মাদক কারবারি নাসির গংয়ের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৩৩:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ৫৩ বার পড়া হয়েছে

কালিগঞ্জ সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ মাদক কারবারি, নারী নির্যাতনকারী, একাধিক মামলা ও হত্যা ও গুম মামলার আসামি সাবেক ওসির সোর্স, বহু অপকর্মের হোতা নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতা নাসির বাহিনীর গ্রেপ্তারের দাবিতে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের। সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার মথুরেশপুর ইউনিয়নের প্রবাজ পুর গ্রামের শাহজামাল হোসেন ওরফে মন্টুর পুত্র ভুক্তভোগী সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে গত (৩ ডিসেম্বর) কালিগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। থানার ওসি বললেন তাকে যেখানে পাওয়া যাবে সেখান থেকে গ্রেফতার করা হবে এ ব্যাপারে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি বলেন মাদক কারবারি ও নারী নির্যাতন কারীদের কোন ছাড়া নাই। থানায় লিখিত অভিযোগ এবং মুকুন্দপুর ও প্রবাজ পুর এলাকার নূরনবী, ফিরোজ ,শফিকুল ইসলাম, রাশিদুল ইসলাম সহ একাধিক গ্রামবাসী সাংবাদিকদের জানান দুদলি গ্রামের আবুল বাশারের পুত্র বিগত ফ্যাসিবাদী আওয়ামীলীগ সরকারের সময়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত কালীগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিল। ওই সময়ে সাতক্ষীরার পাইলস ডাঃ নুরুল ইসলামের পুত্র তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুনের পুত্র পরিচয়দানকারী মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায়ী এবং বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের জেলা সভাপতি বাদশার ঘনিষ্ঠ ভাজন পার্টনার হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। ২০১২ সালে ভোমরা থেকে প্রাইভেটকার যোগে ফেনসিডিল পাচারের সময় আলিপুর তেল পাম্পের সামনে বিজিবির ধাওয়া খেয়ে ৩০০ বোতল ফেনসিডিল এবং প্রাইভেট কার ফেলে দু,জন পালিয়ে যায়। ওই ঘটনায় সাতক্ষীরা সদর থানায় তৎকালীন উপ-পরিদর্শক হাসান বাদী হয়ে মাদকা আইনে মামলা করে। মামলা চলাকালীন মামলার বাদী উপ-পরিদর্শক হাসান স্টোকে মারা যাওয়ায় প্রভাব খাটাইয়ে সে যাত্রায় রেহাই পায়। মাদক আনা নেওয়ার কাজে ব্যবহার করার জন্য শ্যামনগর উপজেলার আবাদ চন্ডিপুর গ্রামের মাসুরা নামে এক যুবতীর প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের আশ্বাসে সাতক্ষীরা কাটিয়ায় বাসা ভাড়া করে রাখে মাদক ব্যবসা সহ মধুচক্র গড়ে তোলে। ওই বাসায় বিভিন্ন জেলার মাদক কারবারি এবং পুলিশের কিছু কর্মকর্তাদের নিয়ে মধুচক্রের আসর বসিয়ে ফুর্তি করার জন্য ওই কথিত প্রেমিকা মাসুরাকে ব্যবহার করা হতো। পরবর্তীতে বিয়ের আশ্বাসে লম্পট নাসির তাকে নিজে সহ অন্যকে ভোগ করায় অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। বিষয়টি জানতে পেরে মাদক কারবারি নাসির তাকে বেধড়ক পিটিয়ে তাড়িয়ে দেয়। উপায়ান্তর না পেয়ে ওই যুবতী অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় কালিগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ও ধর্ষণের ঘটনা মামলা দায়ের করে। উক্ত মামলায় মাদক কারবারি নাসিরের বাবা মা এবং ভাইকে গ্রেফতার করে পুলিশ জেল হাজতে পাঠায়। বর্তমান তার ঐ স্ত্রী সন্তানের পিতৃত্বের দাবিতে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ২০১৫ সালে কালিগঞ্জ থানায় ওসি হিসেবে একাধিক বিচারবহির্ভূত হত্যা ও গুম মামলার আসামি এমদাদুল হক যোগদান করে। এ সময় ওসির ঘনিষ্ঠ ভাজন মাদক কারবারি নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতা নাসিরকে সোর্স এবং ব্যবসায়ী পার্টনার হিসেবে উপজেলা জুড়ে চষে বেড়াতে থাকে। ঐ সময় বিএনপি এবং জামায়াতের বিভিন্ন নেতাকর্মীদের গ্রেফতার, গুম, খুন,ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে মানুষের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা আদায় করে ওসি এমদাদের আস্থাভাজন হয়ে ওঠে। এছাড়াও ওই সময়ে কালীগঞ্জ থানার সম্মুখে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গায় অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের জন্য বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট থেকে প্রায় দুই কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। ওই সময় নাসিরকে চাহিদা মোতাবেক টাকা না দিলে ওই সমস্ত জামায়াত এবং বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়ি থেকে পুলিশ দিয়ে তুলে নিয়ে এনে থানায় ফেলে নির্যাতন করে টাকা আদায় করা হতো এবং একাধিক মিথ্যা সহিংস মামলায় জেল হাজতে দেওয়া হতো। তৎকালীন ওসি কালীগঞ্জ থেকে সাতক্ষীরা সদর থানায় বদলি হলে সোর্স এবং ব্যবসায়ী পার্টনার নাসিরকে ও সাতক্ষীরায় সঙ্গে নিয়ে যায়। এখানেও একইভাবে জেলা জুড়ে জামায়াত ,বিএনপির নেতাকর্মীদের বেছে বেছে ধরে এনে টাকা আদায় সহ নির্যাতন, গুম ,ক্রসফায়ার দিয়ে হত্যা করা হতো। ওই সময় নাসিরের দ্বন্দ্বে সাতক্ষীরা এক গ্রাম্য ও ডাক্তারকে জঙ্গি আখ্যা দিয়ে তুলে নিয়ে এসে গুম করে মেরে ফেলে। আজও পর্যন্ত তার কোন হদিস মেলেননি। যার প্রেক্ষিতে পরবর্তীতে এ বিষয়ে তার স্ত্রী আদালতে মামলা করলে বর্তমান সে মামলায় বরখাস্ত হয়ে ওসি এমদাদ এখন পালিয়ে বেড়ালেও ছাত্রলীগ নেতা নাসির রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। বর্তমান নিষিদ্ধ ঘোষিত ঐ ছাত্রলীগ নেতা নাসির এলাকায় এসে পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে আবারো উপজেলা জেলা জুড়ে তার মাদক কারবারের নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে। নাসিরের পূর্বের স্ত্রী মাসুরার মামলা থেকে বাঁচতে সাতক্ষীরার তৎকালীন ওসি ইমদাদকে ব্যবহার করে মাসুরার নামে বিভিন্ন থানায় একাধিক মাদক মামলা দিয়ে জেল হাজতে পাঠায়। এই সুযোগে নাসির কালিগঞ্জ উপজেলার প্রবাজ পুর গ্রামের সাবেক বরখাস্ত কৃত এক সেনা সদস্যের কন্যা একাধিক বিয়ে এবং মাদক কারবারি পাখিকে বিয়ে করে। বিয়ের পর স্ত্রী পাখিকে নিয়ে কালীগঞ্জ এম এম প্লাজার ৪ তলায় বাসা ভাড়া নিয়ে সেখানে মাদক কারবারের আস্তানা ও নারী নিয়ে ফুর্তি করার সিন্ডিকেট গড়ে তোলে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় তৎকালীন ওসি দেলোয়ার হোসেন দু, ঘন্টার নোটিশে ওই বাসা থেকে বিতাড়িত করে। গত ৫ আগস্ট পট পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নাসির তার স্ত্রী পাখিকে নিয়ে ঢাকায় আত্মগোপনে চলে যায়। পরে পরিবেশ কিছুটা স্বাভাবিক হলে সে মাঝে মধ্যে এলাকায় এসে পুরনো মাদক কারবারীদের নিয়ে আবার কারবার শুরু করে। এতে এলাকার লোকজন বাধা দিলে তাদেরকে তার বাহিনী দিয়ে মারধর ও হুমকি ও মিথ্যা মামলা দেওয়ার হুমকি দিলে তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের খবর শুনে মাদক কারবারি নাসির তার স্ত্রী ,পাখিকে নিয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। বর্তমান নিজেকে মাদক মামলা এবং পরিস্থিতি সামলাতে কখনো সাংবাদিক ,মানবাধিকার কর্মী ,সমন্বয়ক সহ বিভিন্ন পরিচয় দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

মহান বিজয় দিবসে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন

কালীগঞ্জে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতা, মাদক কারবারি নাসির গংয়ের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

আপডেট সময় : ১১:৩৩:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫

কালিগঞ্জ সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ মাদক কারবারি, নারী নির্যাতনকারী, একাধিক মামলা ও হত্যা ও গুম মামলার আসামি সাবেক ওসির সোর্স, বহু অপকর্মের হোতা নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতা নাসির বাহিনীর গ্রেপ্তারের দাবিতে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের। সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার মথুরেশপুর ইউনিয়নের প্রবাজ পুর গ্রামের শাহজামাল হোসেন ওরফে মন্টুর পুত্র ভুক্তভোগী সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে গত (৩ ডিসেম্বর) কালিগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। থানার ওসি বললেন তাকে যেখানে পাওয়া যাবে সেখান থেকে গ্রেফতার করা হবে এ ব্যাপারে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি বলেন মাদক কারবারি ও নারী নির্যাতন কারীদের কোন ছাড়া নাই। থানায় লিখিত অভিযোগ এবং মুকুন্দপুর ও প্রবাজ পুর এলাকার নূরনবী, ফিরোজ ,শফিকুল ইসলাম, রাশিদুল ইসলাম সহ একাধিক গ্রামবাসী সাংবাদিকদের জানান দুদলি গ্রামের আবুল বাশারের পুত্র বিগত ফ্যাসিবাদী আওয়ামীলীগ সরকারের সময়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত কালীগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিল। ওই সময়ে সাতক্ষীরার পাইলস ডাঃ নুরুল ইসলামের পুত্র তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুনের পুত্র পরিচয়দানকারী মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায়ী এবং বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের জেলা সভাপতি বাদশার ঘনিষ্ঠ ভাজন পার্টনার হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। ২০১২ সালে ভোমরা থেকে প্রাইভেটকার যোগে ফেনসিডিল পাচারের সময় আলিপুর তেল পাম্পের সামনে বিজিবির ধাওয়া খেয়ে ৩০০ বোতল ফেনসিডিল এবং প্রাইভেট কার ফেলে দু,জন পালিয়ে যায়। ওই ঘটনায় সাতক্ষীরা সদর থানায় তৎকালীন উপ-পরিদর্শক হাসান বাদী হয়ে মাদকা আইনে মামলা করে। মামলা চলাকালীন মামলার বাদী উপ-পরিদর্শক হাসান স্টোকে মারা যাওয়ায় প্রভাব খাটাইয়ে সে যাত্রায় রেহাই পায়। মাদক আনা নেওয়ার কাজে ব্যবহার করার জন্য শ্যামনগর উপজেলার আবাদ চন্ডিপুর গ্রামের মাসুরা নামে এক যুবতীর প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের আশ্বাসে সাতক্ষীরা কাটিয়ায় বাসা ভাড়া করে রাখে মাদক ব্যবসা সহ মধুচক্র গড়ে তোলে। ওই বাসায় বিভিন্ন জেলার মাদক কারবারি এবং পুলিশের কিছু কর্মকর্তাদের নিয়ে মধুচক্রের আসর বসিয়ে ফুর্তি করার জন্য ওই কথিত প্রেমিকা মাসুরাকে ব্যবহার করা হতো। পরবর্তীতে বিয়ের আশ্বাসে লম্পট নাসির তাকে নিজে সহ অন্যকে ভোগ করায় অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। বিষয়টি জানতে পেরে মাদক কারবারি নাসির তাকে বেধড়ক পিটিয়ে তাড়িয়ে দেয়। উপায়ান্তর না পেয়ে ওই যুবতী অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় কালিগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ও ধর্ষণের ঘটনা মামলা দায়ের করে। উক্ত মামলায় মাদক কারবারি নাসিরের বাবা মা এবং ভাইকে গ্রেফতার করে পুলিশ জেল হাজতে পাঠায়। বর্তমান তার ঐ স্ত্রী সন্তানের পিতৃত্বের দাবিতে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ২০১৫ সালে কালিগঞ্জ থানায় ওসি হিসেবে একাধিক বিচারবহির্ভূত হত্যা ও গুম মামলার আসামি এমদাদুল হক যোগদান করে। এ সময় ওসির ঘনিষ্ঠ ভাজন মাদক কারবারি নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতা নাসিরকে সোর্স এবং ব্যবসায়ী পার্টনার হিসেবে উপজেলা জুড়ে চষে বেড়াতে থাকে। ঐ সময় বিএনপি এবং জামায়াতের বিভিন্ন নেতাকর্মীদের গ্রেফতার, গুম, খুন,ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে মানুষের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা আদায় করে ওসি এমদাদের আস্থাভাজন হয়ে ওঠে। এছাড়াও ওই সময়ে কালীগঞ্জ থানার সম্মুখে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গায় অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের জন্য বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট থেকে প্রায় দুই কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। ওই সময় নাসিরকে চাহিদা মোতাবেক টাকা না দিলে ওই সমস্ত জামায়াত এবং বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়ি থেকে পুলিশ দিয়ে তুলে নিয়ে এনে থানায় ফেলে নির্যাতন করে টাকা আদায় করা হতো এবং একাধিক মিথ্যা সহিংস মামলায় জেল হাজতে দেওয়া হতো। তৎকালীন ওসি কালীগঞ্জ থেকে সাতক্ষীরা সদর থানায় বদলি হলে সোর্স এবং ব্যবসায়ী পার্টনার নাসিরকে ও সাতক্ষীরায় সঙ্গে নিয়ে যায়। এখানেও একইভাবে জেলা জুড়ে জামায়াত ,বিএনপির নেতাকর্মীদের বেছে বেছে ধরে এনে টাকা আদায় সহ নির্যাতন, গুম ,ক্রসফায়ার দিয়ে হত্যা করা হতো। ওই সময় নাসিরের দ্বন্দ্বে সাতক্ষীরা এক গ্রাম্য ও ডাক্তারকে জঙ্গি আখ্যা দিয়ে তুলে নিয়ে এসে গুম করে মেরে ফেলে। আজও পর্যন্ত তার কোন হদিস মেলেননি। যার প্রেক্ষিতে পরবর্তীতে এ বিষয়ে তার স্ত্রী আদালতে মামলা করলে বর্তমান সে মামলায় বরখাস্ত হয়ে ওসি এমদাদ এখন পালিয়ে বেড়ালেও ছাত্রলীগ নেতা নাসির রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। বর্তমান নিষিদ্ধ ঘোষিত ঐ ছাত্রলীগ নেতা নাসির এলাকায় এসে পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে আবারো উপজেলা জেলা জুড়ে তার মাদক কারবারের নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে। নাসিরের পূর্বের স্ত্রী মাসুরার মামলা থেকে বাঁচতে সাতক্ষীরার তৎকালীন ওসি ইমদাদকে ব্যবহার করে মাসুরার নামে বিভিন্ন থানায় একাধিক মাদক মামলা দিয়ে জেল হাজতে পাঠায়। এই সুযোগে নাসির কালিগঞ্জ উপজেলার প্রবাজ পুর গ্রামের সাবেক বরখাস্ত কৃত এক সেনা সদস্যের কন্যা একাধিক বিয়ে এবং মাদক কারবারি পাখিকে বিয়ে করে। বিয়ের পর স্ত্রী পাখিকে নিয়ে কালীগঞ্জ এম এম প্লাজার ৪ তলায় বাসা ভাড়া নিয়ে সেখানে মাদক কারবারের আস্তানা ও নারী নিয়ে ফুর্তি করার সিন্ডিকেট গড়ে তোলে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় তৎকালীন ওসি দেলোয়ার হোসেন দু, ঘন্টার নোটিশে ওই বাসা থেকে বিতাড়িত করে। গত ৫ আগস্ট পট পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নাসির তার স্ত্রী পাখিকে নিয়ে ঢাকায় আত্মগোপনে চলে যায়। পরে পরিবেশ কিছুটা স্বাভাবিক হলে সে মাঝে মধ্যে এলাকায় এসে পুরনো মাদক কারবারীদের নিয়ে আবার কারবার শুরু করে। এতে এলাকার লোকজন বাধা দিলে তাদেরকে তার বাহিনী দিয়ে মারধর ও হুমকি ও মিথ্যা মামলা দেওয়ার হুমকি দিলে তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের খবর শুনে মাদক কারবারি নাসির তার স্ত্রী ,পাখিকে নিয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। বর্তমান নিজেকে মাদক মামলা এবং পরিস্থিতি সামলাতে কখনো সাংবাদিক ,মানবাধিকার কর্মী ,সমন্বয়ক সহ বিভিন্ন পরিচয় দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্।