ঢাকা ০৭:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

তোফায়েল আহমেদের ভাতিজা সাবেক চেয়ারম্যান স্বপন ঢাকায় গ্রেফতার!

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৫০:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৩৩ বার পড়া হয়েছে

ভোলা প্রতিনিধি : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা ও সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের ভাতিজা, সাবেক চেয়ারম্যান ইফতারুল হাসান স্বপনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানী ঢাকার খিলক্ষেত এলাকায় তার বোনের বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের পতনের পর থেকেই পলাতক রয়েছে অপরাধের সাম্রাজ্য গড়ে তোলা সাবেক এমপি তোফায়েল আহমেদের ভাতিজা সাবেক চেয়ারম্যান স্বপন। ঢাকার বিভিন্ন থানায় তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের মামলা হয়। সন্ত্রাস দমন আইন ২০০৯ এর অধীনে শাহজাহানপুর থানার একটি মামলা দায়ের হয়েছে। যার মামলা নম্বর ১৯। এরপর থেকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট স্বপনকে খুঁজছিল। অবশেষে প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে খিলক্ষেত এলাকা থেকে আটক করতে সক্ষম হয় ডিবি পুলিশের একটি চৌকস টিম।

আওয়ামী প্রভাবশালী নেতার ভাতিজা হওয়ায় দীর্ঘ ১৭ বছরের আওয়ামী শাসনামলে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করে চড় দখল, জমি দখল, নদী দখল, মৎস্য ঘের দখল, টেন্ডারবাজী, চাঁদাবাজী, নারী কেলেঙ্কারি সহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে একটি প্রভাবশালী সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছিলেন স্বপন।

স্বপনের অত্যাচারের ভুক্তভোগী এটিএন নিউজ এর ভোলা জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক ফরিদুল ইসলাম বলেন, ২০২১ সালে আমি একটি জাতীয় পত্রিকায় চাকরি দেওয়ার নামে শত শত পরিবার থেকে হাতিয়ে নেওয়া লাখ লাখ টাকার ডকুমেন্ট সহ একটি নিউজ করি‌ স্বপন চেয়ারম্যান ও তার ভাই মিলন এর বিরুদ্ধে। সেই নিউজ কে কেন্দ্র করে স্বপন চেয়ারম্যান তার সন্ত্রাসী বাহিনীর দ্বারা ২০২১ সালের ৪ই আগস্ট সকাল ১১ টায় আমি ও আমার এক সহকর্মীকে হত্যার উদ্দেশ্যে চোখ বেঁধে কালো গ্লাসওয়ালা একটি সাদা প্রাইভেটকারে তুলে নিয়ে যায়। দীর্ঘ সময় আমাদেরকে স্বপন চেয়ারম্যানের টর্চার সেলের মধ্যে আটকে রেখে অমানুষিক নির্যাতন চালায়। একপর্যায়ে আমাদেরকে গুম করার বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে মিথ্যা ভিত্তিহীন একটি মামলা দিয়ে আমাদেরকে দীর্ঘ সময় ধরে জেল খাটান। এ বিষয়ে পরবর্তীতে আমরা আইনগত সহায়তা চাইলেও তার ক্ষমতার জোরে আমরা কোন সহায়তা পাইনি।

গ্রেফতারের পর প্রয়োজনীয় আইনগত প্রক্রিয়া শেষে আদালতে প্রেরণের প্রস্তুতি চলছে বলে ডিবি পুলিশ জানিয়েছে।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

সিদ্ধিরগঞ্জে ২০০ পিস ইয়াবাসহ এক মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার

তোফায়েল আহমেদের ভাতিজা সাবেক চেয়ারম্যান স্বপন ঢাকায় গ্রেফতার!

আপডেট সময় : ০৪:৫০:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ভোলা প্রতিনিধি : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা ও সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের ভাতিজা, সাবেক চেয়ারম্যান ইফতারুল হাসান স্বপনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানী ঢাকার খিলক্ষেত এলাকায় তার বোনের বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের পতনের পর থেকেই পলাতক রয়েছে অপরাধের সাম্রাজ্য গড়ে তোলা সাবেক এমপি তোফায়েল আহমেদের ভাতিজা সাবেক চেয়ারম্যান স্বপন। ঢাকার বিভিন্ন থানায় তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের মামলা হয়। সন্ত্রাস দমন আইন ২০০৯ এর অধীনে শাহজাহানপুর থানার একটি মামলা দায়ের হয়েছে। যার মামলা নম্বর ১৯। এরপর থেকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট স্বপনকে খুঁজছিল। অবশেষে প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে খিলক্ষেত এলাকা থেকে আটক করতে সক্ষম হয় ডিবি পুলিশের একটি চৌকস টিম।

আওয়ামী প্রভাবশালী নেতার ভাতিজা হওয়ায় দীর্ঘ ১৭ বছরের আওয়ামী শাসনামলে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করে চড় দখল, জমি দখল, নদী দখল, মৎস্য ঘের দখল, টেন্ডারবাজী, চাঁদাবাজী, নারী কেলেঙ্কারি সহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে একটি প্রভাবশালী সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছিলেন স্বপন।

স্বপনের অত্যাচারের ভুক্তভোগী এটিএন নিউজ এর ভোলা জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক ফরিদুল ইসলাম বলেন, ২০২১ সালে আমি একটি জাতীয় পত্রিকায় চাকরি দেওয়ার নামে শত শত পরিবার থেকে হাতিয়ে নেওয়া লাখ লাখ টাকার ডকুমেন্ট সহ একটি নিউজ করি‌ স্বপন চেয়ারম্যান ও তার ভাই মিলন এর বিরুদ্ধে। সেই নিউজ কে কেন্দ্র করে স্বপন চেয়ারম্যান তার সন্ত্রাসী বাহিনীর দ্বারা ২০২১ সালের ৪ই আগস্ট সকাল ১১ টায় আমি ও আমার এক সহকর্মীকে হত্যার উদ্দেশ্যে চোখ বেঁধে কালো গ্লাসওয়ালা একটি সাদা প্রাইভেটকারে তুলে নিয়ে যায়। দীর্ঘ সময় আমাদেরকে স্বপন চেয়ারম্যানের টর্চার সেলের মধ্যে আটকে রেখে অমানুষিক নির্যাতন চালায়। একপর্যায়ে আমাদেরকে গুম করার বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে মিথ্যা ভিত্তিহীন একটি মামলা দিয়ে আমাদেরকে দীর্ঘ সময় ধরে জেল খাটান। এ বিষয়ে পরবর্তীতে আমরা আইনগত সহায়তা চাইলেও তার ক্ষমতার জোরে আমরা কোন সহায়তা পাইনি।

গ্রেফতারের পর প্রয়োজনীয় আইনগত প্রক্রিয়া শেষে আদালতে প্রেরণের প্রস্তুতি চলছে বলে ডিবি পুলিশ জানিয়েছে।