ফরহাদ রহমান,স্টাফ রিপোর্টার কক্সবাজার: মহেশখালীর নোনা বাতাস আর ধু-ধু প্রান্তর পেরিয়ে হিউম্যান এইড ইন্টারন্যাশনাল কক্সবাজার জেলা শাখার প্রতিনিধি দল যখন দ্বীপ পরিভ্রমণে ব্যস্ত, ঠিক তখনই সৃষ্টি হয় সফরের সবচেয়ে মানবিক মুহূর্তটি। পথের ধুলো উড়িয়ে এগিয়ে চলার ফাঁকে সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি কেফায়েত উল্লাহ সাজ্জাদের চোখে পড়ে পথশিশুদের একটি দল—কৌতূহলী মুখ, অসম্পূর্ণ শৈশব আর জীবনের অভাব-অভিযোগ গায়ে মাখা।
সজ্জাদ থেমে যান। শিশুদের সামনে বসে আলাপ জুড়ে দেন। কারও হাতে ধরে জিজ্ঞেস করেন স্কুলে যায় কি না, কারও মাথায় হাত রেখে শোনেন তাদের ছোট ছোট গল্প। কয়েক মিনিটের এই সান্নিধ্যে শিশুদের মুখে ঝলকে ওঠে চাপা থাকা হাসি। যেন এই স্বল্প সময়টুকুই তাদের দিনের সবচেয়ে উজ্জ্বল মুহূর্ত।
সিনিয়র সহ-সভাপতি সাজ্জাদ বলেন, “শিশুরা ভবিষ্যতের আলো। তাদের হাতে আমরা যতটুকু স্নেহ আর সুযোগ তুলে দিতে পারব, সমাজ ততটাই বদলাবে। একজন মানুষের সামান্য মনোযোগও একটি শিশুর জীবনে বড় পরিবর্তন আনতে পারে।”
সফরসঙ্গীরা জানান, এই দৃশ্য সফরে অন্যরকম আবেগ যোগ করেছে। প্রকৃতি, মানুষ আর মানবিকতার টানাপোড়েন মিলিয়ে পুরো দিনটিকে স্মরণীয় করে তুলেছে এই ছোট্ট মুহূর্তটি।
সংগঠনের নেতারা জানান, পথশিশুদের উন্নয়ন ও সহায়তায় হিউম্যান এইড ইন্টারন্যাশনাল আরও কার্যকর উদ্যোগ নিতে আগ্রহী। সমাজের প্রান্তিক শিশুদের কাছে পৌঁছানোই তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার মূল লক্ষ্য।
প্রতিনিধির নাম 



















