ঢাকা ০৯:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বিজিবির বিশেষ অভিযানে ১০ হাজার ইয়াবাসহ এক পাচারকারী আটক ঐক্যের সেই সুর এখন কতদূর ? যশোরে ৪টি আসনে ধানের শীষ প্রার্থীর পক্ষে নেই বঞ্চিতরা মদনপুরে ভুয়া পুলিশ পরিচয়ে ট্রাকচালকের কাছ থেকে টাকা দাবি: অভিযোগে যুবক আটক টেকনাফে র‌্যাবের অভিযানে এক লক্ষ ইয়াবা উদ্ধার, আটক ২ শিগগিরই ফিরবেন তারেক রহমান, সেদিন দেশ যেন কেঁপে ওঠে: মির্জা ফখরুল বিয়ে-তালাকের সব তথ্য ডিজিটালি নিবন্ধনের নির্দেশ তফসিল ঘোষণার পর সারা দেশে নামছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শরীফ হত্যা মামলার হোতা করিম র‌্যাবের অভিযানে গ্রেফতার বিশ্ব মানবাধিকার দিবসে হিউম্যান এইড ইন্টারন্যাশনাল নাঃগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে জেলার বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করেন ডিসি রায়হান কবির।

মহেশখালী-মাতারবাড়ীতে নতুন শহরের জন্ম হবে : প্রধান উপদেষ্টা

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:৪৫:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৪৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘শুধু গভীর সমুদ্রবন্দর নয়, আমাদের একটা ব্লু ইকোনমি গড়ে তোলার ভিশন নিয়ে কাজ করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘ওই এলাকা শুধু একটা ফ্যাসিলেটিং জোন হিসেবে না, বরং সেখানে একটা নতুন শহরের জন্ম হবে। সেখান থেকে আমাদের আন্তর্জাতিকভাবে কানেক্টিভিটি তৈরি হবে। সমুদ্রই হবে বিশ্বের পথে আমাদের মহাসড়ক।

বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় মহেশখালী সমন্বিত উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (মিডা) সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা তার এ ভিশন তুলে ধরেন।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মিডার চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন, সদস্য কমোডর তানজিম ফারুক ও মো. সারোয়ার আলম এবং প্রধান উপদেষ্টার এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ ও প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব মো. সাইফুল্লাহ পান্না।

বৈঠকে মহেশখালী-মাতারবাড়ী প্রকল্পের ওপর একটি প্রেজেন্টেশন দেন মিডার চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী। মিডার আগামী চার মাসের কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করেন তিনি।

আশিক চৌধুরী জানান, প্রকল্পটি তিন ধাপে সম্পন্ন হবে। প্রথম ধাপ ২০২৫ থেকে ২০৩০, দ্বিতীয় ধাপ ২০৩০ থেকে ২০৪৫ এবং তৃতীয় ধাপ ২০৪৫ থেকে ২০৫৫ পর্যন্ত। প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে প্রায় ২৫ লাখ লোকের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থান হবে এবং জিডিপিতে দেড়শ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যুক্ত হবে।

এ সময় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘শুধু গভীর সমুদ্র বন্দর নয়, আমাদের একটা ব্লু ইকনোমি গড়ে তোলার ভিশন নিয়ে কাজ করতে হবে। ওই এলাকা শুধু একটা ফ্যাসিলেটিং জোন হিসেবে না, বরং সেখানে একটা নতুন শহরের জন্ম হবে। সেখান থেকে আমাদের আন্তর্জাতিক কানেক্টিভিটি তৈরি হবে। সমুদ্রই হবে বিশ্বের পথে আমাদের মহাসড়ক।’

গভীর সমুদ্র নিয়ে গবেষণার ওপর বিশেষভাবে জোর দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। মহেশখালী অঞ্চলে একটি আন্তর্জাতিক মানের ট্রেইনিং ফ্যাসিলিটি গড়ে তোলার ওপরেও জোর দেন তিনি। এ ক্ষেত্রে বিশ্বে যারা বিশেষজ্ঞ আছেন প্রয়োজনে তাদের কাছ থেকে পরামর্শ ও সহযোগিতা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন প্রফেসর ইউনূস।

তিনি বলেন, ‘আমরা সমুদ্র জগতে কখনো প্রবেশ করিনি। ওটা নিয়ে চিন্তাও করিনি। এ বিষয়ে গবেষণা, ফাইন্ডিংস নেই। এ সম্পর্কিত কী কী গবেষণা আছে, অন্য দেশের গবেষণাপত্র যেটা আমাদের সঙ্গেও মিলবে ভালো সেগুলো খুঁজে বের করতে হবে এবং নিজস্ব গবেষণা করতে হবে। এজন্য প্রতিষ্ঠান দরকার। একাডেমিয়া গড়ে তুলতে হবে, ওশান ইকনোমি নিয়ে ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স আয়োজন করতে হবে।’

এর পাশাপাশি, পরিবেশ সংরক্ষণের ওপরেও জোর দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। বৈঠকে সেখানে ইকো-ট্যুরিজম পার্ক করার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সেখানকার বনভূমি এখন কী অবস্থায় আছে, ভবিষ্যতে আমরা বনভূমিগুলোকে কী অবস্থায় দেখতে চাই সেই পরিকল্পনাও করতে হবে।

 

 

 

 

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

বিজিবির বিশেষ অভিযানে ১০ হাজার ইয়াবাসহ এক পাচারকারী আটক

মহেশখালী-মাতারবাড়ীতে নতুন শহরের জন্ম হবে : প্রধান উপদেষ্টা

আপডেট সময় : ০৮:৪৫:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘শুধু গভীর সমুদ্রবন্দর নয়, আমাদের একটা ব্লু ইকোনমি গড়ে তোলার ভিশন নিয়ে কাজ করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘ওই এলাকা শুধু একটা ফ্যাসিলেটিং জোন হিসেবে না, বরং সেখানে একটা নতুন শহরের জন্ম হবে। সেখান থেকে আমাদের আন্তর্জাতিকভাবে কানেক্টিভিটি তৈরি হবে। সমুদ্রই হবে বিশ্বের পথে আমাদের মহাসড়ক।

বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় মহেশখালী সমন্বিত উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (মিডা) সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা তার এ ভিশন তুলে ধরেন।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মিডার চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন, সদস্য কমোডর তানজিম ফারুক ও মো. সারোয়ার আলম এবং প্রধান উপদেষ্টার এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ ও প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব মো. সাইফুল্লাহ পান্না।

বৈঠকে মহেশখালী-মাতারবাড়ী প্রকল্পের ওপর একটি প্রেজেন্টেশন দেন মিডার চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী। মিডার আগামী চার মাসের কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করেন তিনি।

আশিক চৌধুরী জানান, প্রকল্পটি তিন ধাপে সম্পন্ন হবে। প্রথম ধাপ ২০২৫ থেকে ২০৩০, দ্বিতীয় ধাপ ২০৩০ থেকে ২০৪৫ এবং তৃতীয় ধাপ ২০৪৫ থেকে ২০৫৫ পর্যন্ত। প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে প্রায় ২৫ লাখ লোকের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থান হবে এবং জিডিপিতে দেড়শ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যুক্ত হবে।

এ সময় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘শুধু গভীর সমুদ্র বন্দর নয়, আমাদের একটা ব্লু ইকনোমি গড়ে তোলার ভিশন নিয়ে কাজ করতে হবে। ওই এলাকা শুধু একটা ফ্যাসিলেটিং জোন হিসেবে না, বরং সেখানে একটা নতুন শহরের জন্ম হবে। সেখান থেকে আমাদের আন্তর্জাতিক কানেক্টিভিটি তৈরি হবে। সমুদ্রই হবে বিশ্বের পথে আমাদের মহাসড়ক।’

গভীর সমুদ্র নিয়ে গবেষণার ওপর বিশেষভাবে জোর দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। মহেশখালী অঞ্চলে একটি আন্তর্জাতিক মানের ট্রেইনিং ফ্যাসিলিটি গড়ে তোলার ওপরেও জোর দেন তিনি। এ ক্ষেত্রে বিশ্বে যারা বিশেষজ্ঞ আছেন প্রয়োজনে তাদের কাছ থেকে পরামর্শ ও সহযোগিতা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন প্রফেসর ইউনূস।

তিনি বলেন, ‘আমরা সমুদ্র জগতে কখনো প্রবেশ করিনি। ওটা নিয়ে চিন্তাও করিনি। এ বিষয়ে গবেষণা, ফাইন্ডিংস নেই। এ সম্পর্কিত কী কী গবেষণা আছে, অন্য দেশের গবেষণাপত্র যেটা আমাদের সঙ্গেও মিলবে ভালো সেগুলো খুঁজে বের করতে হবে এবং নিজস্ব গবেষণা করতে হবে। এজন্য প্রতিষ্ঠান দরকার। একাডেমিয়া গড়ে তুলতে হবে, ওশান ইকনোমি নিয়ে ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স আয়োজন করতে হবে।’

এর পাশাপাশি, পরিবেশ সংরক্ষণের ওপরেও জোর দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। বৈঠকে সেখানে ইকো-ট্যুরিজম পার্ক করার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সেখানকার বনভূমি এখন কী অবস্থায় আছে, ভবিষ্যতে আমরা বনভূমিগুলোকে কী অবস্থায় দেখতে চাই সেই পরিকল্পনাও করতে হবে।