ঢাকা ০৬:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে যা বললেন প্রধান উপদেষ্টা অন্যায়ভাবে বাংলাদেশে এসে ভারতীয় জেলেদের মাছ ধরা বন্ধ করতে হবে সিদ্ধিরগঞ্জবাসীর আস্থার প্রতীক ট্রাস্ট হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক ভুল রক্তে শেষ নিঃশ্বাস প্রসূতি খাদিজার — কালিয়াকৈরের রুমাইসা হাসপাতালে ট্র্যাজেডি! ইউপি সদস্যের বসত বাড়ির ছাদে শুকানো হচ্ছিল গাঁজা, ব্রাহ্মণপাড়ায় ১০০ কেজিসহ আটক ১ শুধু নিষেধাজ্ঞা নয়, নিরাপদ বিকল্প জীবিকা চাই: ক্ষুদ্র জেলেদের ন্যায্য সহায়তার দাবিতে সেমিনার এক সপ্তাহের মধ্যে বিমানবন্দরের ই-গেট খুলে দেওয়া হবে:স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মিরপুরের পিচ নিয়ে সমালোচনা, যা বললেন মুশতাক আরও ঘনিষ্ঠ হচ্ছে রাশিয়া-ইরান: ক্রেমলিন সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা দায়েরের নির্দেশ

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির আবেদন মঞ্জুর

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:৩২:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ২৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এবং তার স্ত্রী রুকমিলা জামানের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির জন্য দুদকের আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম মহানগর স্পেশাল জজ (ভারপ্রাপ্ত) মো. আবদুর রহমানের আদালত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

এর আগে, বৃহস্পতিবার আদালতে আবেদনটি করে দুদক।

দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোকাররম হোসাইন এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, সাবেক মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির আবেদন করতে দুদক আদালতে পিটিশন দিয়েছিল, যা আদালত মঞ্জুর করেছেন। এখন এটি পুলিশ সদরদপ্তরে যাবে। সেখান থেকে পুলিশ ইন্টারপোল বরাবর রেড নোটিশ জারির আবেদন করবে।

প্রায় ১২৪ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাইফুজ্জামান চৌধুরী এবং তার স্ত্রী ও ইউসিবি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান রুকমিলা জামানসহ অর্ধশত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলার তদন্ত চলছে। সাবেক মন্ত্রী ও তার স্ত্রীর নামে যুক্তরাজ্যে ৩৪৩টি, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ২২৮টি এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশে বাড়ি/অ্যাপার্টমেন্ট/জমিসহ স্থাবর সম্পদ ক্রোক ও ফ্রিজ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া ৫ মার্চের এক আদেশে তাদের ৩৯টি ব্যাংক হিসাবও ফ্রিজ করা হয়েছে। এসব ব্যাংক হিসাবের মধ্যে ৫ কোটি ২৬ লাখ ৮৩ হাজার টাকা জমা রয়েছে।

অপর আদেশে দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত সাইফুজ্জামানের ১০২ কোটি টাকার শেয়ার ও ৯৫৭ বিঘা জমি জব্দের আদেশ দিয়েছেন। এছাড়া ২০২৪ সালের ৭ অক্টোবর সাবেক মন্ত্রী ও তার স্ত্রী দেশত্যাগে নিষিদ্ধ হয়েছেন।

এদিকে, দুদকের মামলায় রিমান্ডে থাকা জাবেদের দুই ঘনিষ্ঠ সহযোগী উৎপল পাল ও আব্দুল আজিজ চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন। তাদের দেওয়া তথ্যে আজ চট্টগ্রামের কর্ণফুলী শিকলবাহা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২৩ বস্তা আলামত জব্দ করেছে দুদক। বস্তাগুলোতে বিদেশে সম্পদ অর্জনের নথি, বিল পরিশোধের তথ্য ও ভাড়া আদায়ের আলামত রয়েছে বলে জানিয়েছে দুদক।

দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মশিউর রহমান জানান, সাবেক ভূমিমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ দুই সহযোগীকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। তাদের ৫ দিনের রিমান্ড চলছে। রিমান্ডে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, অনেকগুলো ডকুমেন্টস গায়েব করা হয়েছিল, যেগুলো রুকমিলা জামানের ড্রাইভার ইলিয়াসের বাসায় রাখা হয়েছিল। গত শুক্রবার আমরা সেখানে অভিযান চালাই। কিন্তু আমাদের অভিযানের তথ্য পেয়ে বস্তাগুলো সরিয়ে ফেলে। ওই দিন আমরা বাসার সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করি। ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখা যায়, আমরা যাওয়ার আধা ঘণ্টা আগে এই আলামতগুলো সরিয়ে ফেলা হয়।

তিনি বলেন, পরে আমরা একটি ছোট বাসা থেকে ২৩ বস্তা আলামত জব্দ করেছি। কয়েকটি বস্তা খুলে দেখা গেছে, বিদেশে সম্পদ অর্জনের ক্রয় সংক্রান্ত পেমেন্ট, বাড়ি ভাড়া আদায়ের তথ্য, বিভিন্ন বিল পরিশোধ ও কোর্টের আদেশসংক্রান্ত ডকুমেন্টস রয়েছে। এখনও সব বস্তার পর্যালোচনা করা হয়নি, কাজ চলছে।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে যা বললেন প্রধান উপদেষ্টা

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির আবেদন মঞ্জুর

আপডেট সময় : ০৩:৩২:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এবং তার স্ত্রী রুকমিলা জামানের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির জন্য দুদকের আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম মহানগর স্পেশাল জজ (ভারপ্রাপ্ত) মো. আবদুর রহমানের আদালত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

এর আগে, বৃহস্পতিবার আদালতে আবেদনটি করে দুদক।

দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোকাররম হোসাইন এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, সাবেক মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির আবেদন করতে দুদক আদালতে পিটিশন দিয়েছিল, যা আদালত মঞ্জুর করেছেন। এখন এটি পুলিশ সদরদপ্তরে যাবে। সেখান থেকে পুলিশ ইন্টারপোল বরাবর রেড নোটিশ জারির আবেদন করবে।

প্রায় ১২৪ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাইফুজ্জামান চৌধুরী এবং তার স্ত্রী ও ইউসিবি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান রুকমিলা জামানসহ অর্ধশত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলার তদন্ত চলছে। সাবেক মন্ত্রী ও তার স্ত্রীর নামে যুক্তরাজ্যে ৩৪৩টি, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ২২৮টি এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশে বাড়ি/অ্যাপার্টমেন্ট/জমিসহ স্থাবর সম্পদ ক্রোক ও ফ্রিজ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া ৫ মার্চের এক আদেশে তাদের ৩৯টি ব্যাংক হিসাবও ফ্রিজ করা হয়েছে। এসব ব্যাংক হিসাবের মধ্যে ৫ কোটি ২৬ লাখ ৮৩ হাজার টাকা জমা রয়েছে।

অপর আদেশে দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত সাইফুজ্জামানের ১০২ কোটি টাকার শেয়ার ও ৯৫৭ বিঘা জমি জব্দের আদেশ দিয়েছেন। এছাড়া ২০২৪ সালের ৭ অক্টোবর সাবেক মন্ত্রী ও তার স্ত্রী দেশত্যাগে নিষিদ্ধ হয়েছেন।

এদিকে, দুদকের মামলায় রিমান্ডে থাকা জাবেদের দুই ঘনিষ্ঠ সহযোগী উৎপল পাল ও আব্দুল আজিজ চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন। তাদের দেওয়া তথ্যে আজ চট্টগ্রামের কর্ণফুলী শিকলবাহা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২৩ বস্তা আলামত জব্দ করেছে দুদক। বস্তাগুলোতে বিদেশে সম্পদ অর্জনের নথি, বিল পরিশোধের তথ্য ও ভাড়া আদায়ের আলামত রয়েছে বলে জানিয়েছে দুদক।

দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মশিউর রহমান জানান, সাবেক ভূমিমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ দুই সহযোগীকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। তাদের ৫ দিনের রিমান্ড চলছে। রিমান্ডে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, অনেকগুলো ডকুমেন্টস গায়েব করা হয়েছিল, যেগুলো রুকমিলা জামানের ড্রাইভার ইলিয়াসের বাসায় রাখা হয়েছিল। গত শুক্রবার আমরা সেখানে অভিযান চালাই। কিন্তু আমাদের অভিযানের তথ্য পেয়ে বস্তাগুলো সরিয়ে ফেলে। ওই দিন আমরা বাসার সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করি। ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখা যায়, আমরা যাওয়ার আধা ঘণ্টা আগে এই আলামতগুলো সরিয়ে ফেলা হয়।

তিনি বলেন, পরে আমরা একটি ছোট বাসা থেকে ২৩ বস্তা আলামত জব্দ করেছি। কয়েকটি বস্তা খুলে দেখা গেছে, বিদেশে সম্পদ অর্জনের ক্রয় সংক্রান্ত পেমেন্ট, বাড়ি ভাড়া আদায়ের তথ্য, বিভিন্ন বিল পরিশোধ ও কোর্টের আদেশসংক্রান্ত ডকুমেন্টস রয়েছে। এখনও সব বস্তার পর্যালোচনা করা হয়নি, কাজ চলছে।