ঢাকা ১১:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

হাদি আমার নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, প্রতিযোগী: মির্জা আব্বাস

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:৫৯:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকার বিজয়নগর এলাকায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান হাদীর ওপর গুলির ঘটনায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি এই হামলাকে ‘গণতন্ত্রের ওপর আঘাত’ হিসেবে অভিহিত করে অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান।

শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে তিনি আরও বলেন, হাদি আমার নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, প্রতিযোগী। সে রাজপথের সাহসী সৈনিক। তাকে আমি নির্বাচনী মাঠে আবারও সক্রিয় পাব—সেই প্রত্যাশা করি।

ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় প্রতিবাদ এবং হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি। সেখানে বিক্ষোভপূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মির্জা আব্বাস।

মির্জা আব্বাস বলেন, সে আমার সন্তান সমতুল্য। হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার সংবাদ পেয়ে আমি মানসিকভাবে আহত হয়েছি। এ আঘাত গণতন্ত্রের ওপর আঘাত। যারা এই আঘাত করেছে, তাদের কালো হাত ভেঙে দিতে হবে।

একটি দল উত্তেজনা সৃষ্টির চেষ্টা করেছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, দুপুর ২টায় হাদি গুলিবিদ্ধ হলেন, তার আধাঘন্টা পরই একটি দল উত্তেজনা সৃষ্টির জন্য ফেসবুকে পোষ্ট দেওয়া শুরু করে। আমি হাসপাতালে গিয়ে দেখতে পেলাম সবই পরিকল্পিত।

দীর্ঘ দিনের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা থাকায় তিনি শান্ত ছিলেন উল্লেখ করে মির্জা আব্বাস বলেন, হাসপাতালে যারা এগুলো করেছে, তারা হাদীর সমর্থক নয়। তারা অন্য একটি দলের। আমরা শান্ত না থাকলে হাদীর চিকিৎসা ব্যাহত হতো। তারা চেয়েছিল, হাদির চিকিৎসা যাতে ব্যাহত হয় এবং সে মারা যাক।

তিনি বলেন, একটি দলের ষড়যন্ত্র আমরা ৭১, ৮৬-সহ অনেক দেখেছি। এদের মূল শক্তিই ষড়যন্ত্র। এরা স্থির রাষ্ট্র সহ্য করতে পারে না। তাই রাষ্ট্রকে সবসময়ই অস্থিতিশীল রাখতে চায়।

হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর এক-দেড়শ লোক ফেসবুকে দেশে মব সৃষ্টির জন্য উস্কানি দিয়ে পোস্ট দিয়েছেন এবং তারা সকলেই একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের বলে জানান মির্জা আব্বাস।

বিএনপির এই নেতা বলেন, সাতাত্তর সাল থেকে নির্বাচন করে আসছি। কারও সাথে মারামারি হয়নি। একসাথে প্রার্থীরা কোলাকুলি করেছি, খেয়েছি। মারামারি করে আওয়ামী লীগ। আর নির্বাচনসহ রাষ্ট্রকে অস্থির করে সেই বিতর্কিত রাজনৈতিক দল। আমরা চাই, হাদির ওপর হামলাকারী গ্রেপ্তার হোক এবং বিশেষ দলের মুখোশ উন্মোচিত হোক।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

‎সিদ্ধিরগঞ্জে চোলাই মদবিরোধী বিশেষ অভিযান: ১৯ লিটার মদসহ পাঁচজন গ্রেপ্তার

হাদি আমার নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, প্রতিযোগী: মির্জা আব্বাস

আপডেট সময় : ০৫:৫৯:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকার বিজয়নগর এলাকায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান হাদীর ওপর গুলির ঘটনায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি এই হামলাকে ‘গণতন্ত্রের ওপর আঘাত’ হিসেবে অভিহিত করে অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান।

শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে তিনি আরও বলেন, হাদি আমার নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, প্রতিযোগী। সে রাজপথের সাহসী সৈনিক। তাকে আমি নির্বাচনী মাঠে আবারও সক্রিয় পাব—সেই প্রত্যাশা করি।

ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় প্রতিবাদ এবং হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি। সেখানে বিক্ষোভপূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মির্জা আব্বাস।

মির্জা আব্বাস বলেন, সে আমার সন্তান সমতুল্য। হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার সংবাদ পেয়ে আমি মানসিকভাবে আহত হয়েছি। এ আঘাত গণতন্ত্রের ওপর আঘাত। যারা এই আঘাত করেছে, তাদের কালো হাত ভেঙে দিতে হবে।

একটি দল উত্তেজনা সৃষ্টির চেষ্টা করেছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, দুপুর ২টায় হাদি গুলিবিদ্ধ হলেন, তার আধাঘন্টা পরই একটি দল উত্তেজনা সৃষ্টির জন্য ফেসবুকে পোষ্ট দেওয়া শুরু করে। আমি হাসপাতালে গিয়ে দেখতে পেলাম সবই পরিকল্পিত।

দীর্ঘ দিনের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা থাকায় তিনি শান্ত ছিলেন উল্লেখ করে মির্জা আব্বাস বলেন, হাসপাতালে যারা এগুলো করেছে, তারা হাদীর সমর্থক নয়। তারা অন্য একটি দলের। আমরা শান্ত না থাকলে হাদীর চিকিৎসা ব্যাহত হতো। তারা চেয়েছিল, হাদির চিকিৎসা যাতে ব্যাহত হয় এবং সে মারা যাক।

তিনি বলেন, একটি দলের ষড়যন্ত্র আমরা ৭১, ৮৬-সহ অনেক দেখেছি। এদের মূল শক্তিই ষড়যন্ত্র। এরা স্থির রাষ্ট্র সহ্য করতে পারে না। তাই রাষ্ট্রকে সবসময়ই অস্থিতিশীল রাখতে চায়।

হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর এক-দেড়শ লোক ফেসবুকে দেশে মব সৃষ্টির জন্য উস্কানি দিয়ে পোস্ট দিয়েছেন এবং তারা সকলেই একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের বলে জানান মির্জা আব্বাস।

বিএনপির এই নেতা বলেন, সাতাত্তর সাল থেকে নির্বাচন করে আসছি। কারও সাথে মারামারি হয়নি। একসাথে প্রার্থীরা কোলাকুলি করেছি, খেয়েছি। মারামারি করে আওয়ামী লীগ। আর নির্বাচনসহ রাষ্ট্রকে অস্থির করে সেই বিতর্কিত রাজনৈতিক দল। আমরা চাই, হাদির ওপর হামলাকারী গ্রেপ্তার হোক এবং বিশেষ দলের মুখোশ উন্মোচিত হোক।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।