ঢাকা ০৯:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বিজিবির বিশেষ অভিযানে ১০ হাজার ইয়াবাসহ এক পাচারকারী আটক ঐক্যের সেই সুর এখন কতদূর ? যশোরে ৪টি আসনে ধানের শীষ প্রার্থীর পক্ষে নেই বঞ্চিতরা মদনপুরে ভুয়া পুলিশ পরিচয়ে ট্রাকচালকের কাছ থেকে টাকা দাবি: অভিযোগে যুবক আটক টেকনাফে র‌্যাবের অভিযানে এক লক্ষ ইয়াবা উদ্ধার, আটক ২ শিগগিরই ফিরবেন তারেক রহমান, সেদিন দেশ যেন কেঁপে ওঠে: মির্জা ফখরুল বিয়ে-তালাকের সব তথ্য ডিজিটালি নিবন্ধনের নির্দেশ তফসিল ঘোষণার পর সারা দেশে নামছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শরীফ হত্যা মামলার হোতা করিম র‌্যাবের অভিযানে গ্রেফতার বিশ্ব মানবাধিকার দিবসে হিউম্যান এইড ইন্টারন্যাশনাল নাঃগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে জেলার বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করেন ডিসি রায়হান কবির।

নিজের রিসোর্ট থেকে গ্রেপ্তার সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি শামসুদ্দোহা

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:১২:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৬০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: চেক জালিয়াতি মামলায় সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি শামসুদ্দোহাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার (০৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকার নবাবগঞ্জে অবস্থিত তার নিজ রিসোর্ট থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

নবাবগঞ্জ থানার ওসি মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গ্রেপ্তারের পর শামসুদ্দোহাকে আদালতে তোলা হয়েছে।

পুলিশের সাবেক এই অতিরিক্ত আইজিপি পুলিশ বাহিনীতে দুর্নীতির ‘বরপুত্র’ হিসেবে কুখ্যাত ছিলেন। অবৈধ অর্থ উপার্জনে তার জুড়ি মেলা ভার। বিশেষ করে প্রেষণে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। বিভিন্ন নদী খনন কাজের টেন্ডার থেকে কমিশন হিসেবে নেন শত শত কোটি টাকা। এছাড়া, নদী দখল করে গড়ে তোলা শিল্পকারখানার মালিকদের কাছ থেকেও বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেন। এসব অবৈধ আয় দিয়ে তিনি ঢাকার নবাবগঞ্জে শত বিঘারও বেশি জমির উপর খামারবাড়ি গড়ে তোলেন, যেখানে বিনিয়োগ করা হয়েছে কয়েক শ কোটি টাকা।

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ইতিমধ্যে শামসুদ্দোহা ও তার স্ত্রী ফেরদৌসী সুলতানার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করেছে। অভিযোগপত্রে ৬৬ কোটি ৪৮ লাখ ৬৯ হাজার ৯৮১ টাকার সম্পদ গোপন ও অবৈধভাবে অর্জনের কথা উল্লেখ রয়েছে। গত বছরের জুলাই মাসে দুদকের সহকারী পরিচালক খোরশেদ আলম মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে এ অভিযোগপত্র জমা দেন।

দুদকের সূত্রে জানা গেছে, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান থাকাকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি অসাধু উপায়ে বিপুল অর্থ আয় করেন। এই অর্থ বিভিন্ন তফসিলি ব্যাংকের হিসাবে সন্দেহজনক উৎস থেকে আসা অসামঞ্জস্যপূর্ণ ও অস্বাভাবিক লেনদেনের মাধ্যমে জমা করা হয়। এ প্রক্রিয়ায় তিনি ২১ কোটি ৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা জমা রেখে পরবর্তীতে তা উঠিয়ে তার উৎস ও মালিকানা গোপন করার চেষ্টা করেন।

এছাড়াও, দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে তিনি ৮ কোটি ৪৪ লাখ ১০ হাজার ২২১ টাকার সম্পদ গোপন করেছেন এবং মিথ্যা তথ্য প্রদান করেছেন। দুদকের অনুসন্ধানে তার আরও ২ কোটি ৮৭ লাখ ৩ হাজার ৭৮ টাকার অবৈধ সম্পদের প্রমাণ মিলেছে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক আইন, ২০০৪ এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি দমন প্রতিরোধ আইনের ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। একইভাবে, তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ২৮ কোটি ৪৭ লাখ ৩ হাজার ৮৯১ টাকার সম্পদ গোপন এবং ২৭ কোটি ৪৮ লাখ ৮২ হাজার ৪৯১ টাকার অজ্ঞাতআয়ের সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

বিজিবির বিশেষ অভিযানে ১০ হাজার ইয়াবাসহ এক পাচারকারী আটক

নিজের রিসোর্ট থেকে গ্রেপ্তার সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি শামসুদ্দোহা

আপডেট সময় : ০৪:১২:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: চেক জালিয়াতি মামলায় সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি শামসুদ্দোহাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার (০৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকার নবাবগঞ্জে অবস্থিত তার নিজ রিসোর্ট থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

নবাবগঞ্জ থানার ওসি মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গ্রেপ্তারের পর শামসুদ্দোহাকে আদালতে তোলা হয়েছে।

পুলিশের সাবেক এই অতিরিক্ত আইজিপি পুলিশ বাহিনীতে দুর্নীতির ‘বরপুত্র’ হিসেবে কুখ্যাত ছিলেন। অবৈধ অর্থ উপার্জনে তার জুড়ি মেলা ভার। বিশেষ করে প্রেষণে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। বিভিন্ন নদী খনন কাজের টেন্ডার থেকে কমিশন হিসেবে নেন শত শত কোটি টাকা। এছাড়া, নদী দখল করে গড়ে তোলা শিল্পকারখানার মালিকদের কাছ থেকেও বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেন। এসব অবৈধ আয় দিয়ে তিনি ঢাকার নবাবগঞ্জে শত বিঘারও বেশি জমির উপর খামারবাড়ি গড়ে তোলেন, যেখানে বিনিয়োগ করা হয়েছে কয়েক শ কোটি টাকা।

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ইতিমধ্যে শামসুদ্দোহা ও তার স্ত্রী ফেরদৌসী সুলতানার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করেছে। অভিযোগপত্রে ৬৬ কোটি ৪৮ লাখ ৬৯ হাজার ৯৮১ টাকার সম্পদ গোপন ও অবৈধভাবে অর্জনের কথা উল্লেখ রয়েছে। গত বছরের জুলাই মাসে দুদকের সহকারী পরিচালক খোরশেদ আলম মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে এ অভিযোগপত্র জমা দেন।

দুদকের সূত্রে জানা গেছে, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান থাকাকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি অসাধু উপায়ে বিপুল অর্থ আয় করেন। এই অর্থ বিভিন্ন তফসিলি ব্যাংকের হিসাবে সন্দেহজনক উৎস থেকে আসা অসামঞ্জস্যপূর্ণ ও অস্বাভাবিক লেনদেনের মাধ্যমে জমা করা হয়। এ প্রক্রিয়ায় তিনি ২১ কোটি ৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা জমা রেখে পরবর্তীতে তা উঠিয়ে তার উৎস ও মালিকানা গোপন করার চেষ্টা করেন।

এছাড়াও, দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে তিনি ৮ কোটি ৪৪ লাখ ১০ হাজার ২২১ টাকার সম্পদ গোপন করেছেন এবং মিথ্যা তথ্য প্রদান করেছেন। দুদকের অনুসন্ধানে তার আরও ২ কোটি ৮৭ লাখ ৩ হাজার ৭৮ টাকার অবৈধ সম্পদের প্রমাণ মিলেছে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক আইন, ২০০৪ এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি দমন প্রতিরোধ আইনের ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। একইভাবে, তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ২৮ কোটি ৪৭ লাখ ৩ হাজার ৮৯১ টাকার সম্পদ গোপন এবং ২৭ কোটি ৪৮ লাখ ৮২ হাজার ৪৯১ টাকার অজ্ঞাতআয়ের সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।