ফরহাদ রহমান,টেকনাফ: কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে নাফ নদীতে বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিজিবি) পরিচালিত এক শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানে ৪০ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেটসহ তিন রোহিঙ্গা পাচারকারীকে আটক করেছে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি)। রবিবার (২০ অক্টোবর) দিবাগত রাতে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
বিজিবির টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) জানায়, সীমান্তে মাদক পাচার রোধে গোয়েন্দা নজরদারির অংশ হিসেবে রাতে সাবরাং বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় বিশেষ টহল চালানো হয়। তখন মিয়ানমারের মংডু খাল দিক থেকে একটি সন্দেহজনক নৌকা বাংলাদেশের জলসীমার দিকে আসতে দেখা যায়।
বিজিবির ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিকুর রহমান, পিএসসি-এর নেতৃত্বে দুইটি দ্রুতগতির নৌযান নিয়ে অভিযানে যায় টহল দল। আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় নৌকাটি মাঝনদীতে ঘিরে ফেলতে সক্ষম হয় তারা। পরে তল্লাশিতে নৌকার ভেতরে বিশেষভাবে লুকানো চারটি পানি নিরোধক প্যাকেট থেকে ৪০ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
অভিযানের সময় পাচারকারীরা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে বিজিবি সদস্যরা ধাওয়া করে তাদের আটক করে।
আটক তিন রোহিঙ্গা হলেন—
১. আব্দুল হাফেজ (১৮), পিতা মৃত শুক্কুর, ২১ নং চাকমারকুল এফডিএমএন ক্যাম্প, ব্লক এ-৬।
২. রবি আলম (২৩), পিতা মো. নুর আলম, ১০ নং বালুখালী ক্যাম্প, ব্লক এ-৪৫।
৩. রেজু আলম (১৯), পিতা মৃত আমির হোসেন, ১৬ নং ময়নারঘোনা ক্যাম্প, ব্লক ২৪ এ/৫।
লে. কর্নেল আশিকুর রহমান বলেন, “বিজিবির আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর নজরদারি ও পেশাদারিত্বের কারণে জলসীমা ব্যবহার করে মাদক পাচার প্রতিরোধে সফলতা মিলছে। যারা এফডিএমএন পরিচয়ে ক্যাম্পের বাইরে থেকে অপরাধ করছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে।”
আটক তিনজন ও জব্দ করা ইয়াবা ট্যাবলেটসহ একটি কাঠের নৌকা টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি।
বিজিবি জানিয়েছে, সীমান্তে মাদক ও মানবপাচার প্রতিরোধে তাদের ‘জিরো টলারেন্স’ অভিযান অব্যাহত থাকবে।