ঢাকা ১১:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বেগমগঞ্জ উপজেলায় জামায়াতের বিজয় র‍্যালীতে বাধভাঙ্গা উল্লাসে উপচে পড়া ভিড় ; ইনসাফে বাংলাদেশ গড়ার শপথ বেগমগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আনুষ্ঠানিক কুচকাওয়াজ ও মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত বিজয় দিবস উপলক্ষে মিজমিজি পাইনাদি রেকমত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে আলোচনা ও দোয়া ভোটের ওপর নির্ভর করছে ভবিষ্যৎ : প্রধান উপদেষ্টা ডেভিলদের অপচেষ্টা সফল হবে না: প্রধান উপদেষ্টা বিগ ব্যাশে রিশাদের অভিষেক, কেমন হলো হোবার্টের একাদশ পরিচালক বাবা ও মাকে গলা কেটে হত্যা, ছেলে গ্রেপ্তার বন্ডি সমুদ্র সৈকতের হামলাকারী হায়দরাবাদের বাসিন্দা বেনাপোল ইমিগ্রেশনে বিস্ফোরক মামলার আসামি আটক আটক বরুড়ায় আশরায়ে মোবাশ্বেরা মাদ্রাসার উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উদযাপন

আগামীকাল সরাসরি সম্প্রচার হবে শেখ হাসিনার রায়

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:২৯:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫
  • ৩০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে করা মামলার রায় আগামীকাল সরাসরি সম্প্রচার করবে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি)। চব্বিশের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে এসব মামলা করা হয়।

এদিন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল রায় ঘোষণা করবেন।

গত বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, “আমরা আদালতের কাছে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়ে আবেদন করেছি। এই অপরাধের দায়ে যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করতে চাই।”

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হয়। পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালে জুলাই মাসে গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় প্রথম মামলাটি (মিসকেস বা বিবিধ মামলা) হয় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে। গত বছরের ১৭ অক্টোবর পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালের প্রথম বিচার কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। সেই সময়ই ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।

প্রথম দিকে এ মামলায় শেখ হাসিনাই একমাত্র আসামি ছিলেন। চলতি বছরের ১৬ মার্চ রাষ্ট্রপক্ষ (প্রসিকিউশন) মামলায় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকেও আসামি করার আবেদন করে এবং ট্রাইব্যুনাল তা মঞ্জুর করেন।

চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় মোট পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়। ১২ মে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা আনুষ্ঠানিক প্রতিবেদন জমা দেয়, যা মোট ৮ হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার। এর মধ্যে তথ্যসূত্র ২ হাজার ১৮ পৃষ্ঠা, জব্দতালিকা ও দালিলিক প্রমাণাদি ৪ হাজার ৫ পৃষ্ঠা, এবং শহীদদের তালিকার বিবরণ ২ হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠার রয়েছে।

এর ভিত্তিতে ১ জুন রাষ্ট্রপক্ষ ট্রাইব্যুনালে হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান ও আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

বেগমগঞ্জ উপজেলায় জামায়াতের বিজয় র‍্যালীতে বাধভাঙ্গা উল্লাসে উপচে পড়া ভিড় ; ইনসাফে বাংলাদেশ গড়ার শপথ

আগামীকাল সরাসরি সম্প্রচার হবে শেখ হাসিনার রায়

আপডেট সময় : ০১:২৯:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে করা মামলার রায় আগামীকাল সরাসরি সম্প্রচার করবে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি)। চব্বিশের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে এসব মামলা করা হয়।

এদিন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল রায় ঘোষণা করবেন।

গত বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, “আমরা আদালতের কাছে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়ে আবেদন করেছি। এই অপরাধের দায়ে যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করতে চাই।”

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হয়। পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালে জুলাই মাসে গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় প্রথম মামলাটি (মিসকেস বা বিবিধ মামলা) হয় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে। গত বছরের ১৭ অক্টোবর পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালের প্রথম বিচার কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। সেই সময়ই ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।

প্রথম দিকে এ মামলায় শেখ হাসিনাই একমাত্র আসামি ছিলেন। চলতি বছরের ১৬ মার্চ রাষ্ট্রপক্ষ (প্রসিকিউশন) মামলায় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকেও আসামি করার আবেদন করে এবং ট্রাইব্যুনাল তা মঞ্জুর করেন।

চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় মোট পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়। ১২ মে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা আনুষ্ঠানিক প্রতিবেদন জমা দেয়, যা মোট ৮ হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার। এর মধ্যে তথ্যসূত্র ২ হাজার ১৮ পৃষ্ঠা, জব্দতালিকা ও দালিলিক প্রমাণাদি ৪ হাজার ৫ পৃষ্ঠা, এবং শহীদদের তালিকার বিবরণ ২ হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠার রয়েছে।

এর ভিত্তিতে ১ জুন রাষ্ট্রপক্ষ ট্রাইব্যুনালে হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান ও আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে।