ঢাকা ০৩:১০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫, ৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কালিয়াকৈরে রুমাইসা হাসপাতাল বন্ধের নির্দেশ বিজিবির নৌ-অভিযান: ৪০ হাজার ইয়াবাসহ ৩ রোহিঙ্গা আটক ধোপাখালীস্থ শশ্মানঘাটে কালীপূজোয় মেতে উঠেন সনাতন ধর্মের অনুসারীরা,পরিদর্শনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দরা টেকনাফের পাহাড়ে বিজিবির অভিযান, ৬ জিম্মি মুক্ত নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাবে আইআরআই সুপার ওভারে গড়াল টাইগারদের ম্যাচ অন্তর্বর্তী সরকারকে ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আদলে’ কাজ করার আহ্বান বিএনপির শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে যা বললেন প্রধান উপদেষ্টা অন্যায়ভাবে বাংলাদেশে এসে ভারতীয় জেলেদের মাছ ধরা বন্ধ করতে হবে সিদ্ধিরগঞ্জবাসীর আস্থার প্রতীক ট্রাস্ট হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক

সোনারগাঁয়ে গলাকেটে হত্যা: কুড়িগ্রাম থেকে প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

‎নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রতন (৩৮) নামে এক যুবককে গলাকেটে হত্যার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার ১৫ দিন পর হত্যা মামলার প্রধান আসামি ইয়ানুছ (৪০)–কে কুড়িগ্রামের সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।
‎‎র‌্যাব-১১ এর পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নিহত রতন কাঁচপুর এলাকার মালেক মোল্লার ছেলে। তিনি পরিবার নিয়ে সোনারগাঁয়ের নাওড়া বিটা এলাকায় ভাড়া থাকতেন। গত ১৭ জুন সকালে সোনারগাঁয়ের ভারগাঁও এলাকার ওলামা নগর খালপাড়ের পূর্ব পাশ থেকে তার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। স্থানীয়দের মাধ্যমে লাশ পড়ে থাকার খবর পেয়ে সোনারগাঁ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
‎এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে তদন্তে নামে র‌্যাব-১১। প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষণ করে তারা হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করে এবং র‌্যাব-১৩ এর সহযোগিতায় ২ জুলাই সন্ধ্যা ৭টার দিকে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার আরাজী কদমতলা এলাকা থেকে ইয়ানুছকে গ্রেফতার করে।
‎জিজ্ঞাসাবাদে ইয়ানুছ স্বীকার করেন, তিনি ও নিহত রতন একই এলাকার বাসিন্দা এবং উভয়েই মাদক ব্যবসায় জড়িত ছিলেন। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। দুই বছর আগে মারামারির একটি ঘটনাও ঘটে। ঘটনার ১৫ দিন আগে তাদের মধ্যে ফের বিরোধ দেখা দিলে ইয়ানুছ হত্যার পরিকল্পনা করেন।
‎পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৭ জুন ভোর সাড়ে ৩টার দিকে এজাহারভুক্ত ৩ নম্বর আসামি হাসেম (৪০) ও ৪ নম্বর আসামি ইলিয়াছ (৩০) সহ ৮ জন মিলে রতনকে ডেকে এনে তাকে বেধড়ক মারধর করে। পরে গলা ও হাত-পায়ের রগ কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে লাশ খালে ফেলে দেয়।
‎‎ঘটনার পর থেকেই প্রধান আসামি ইয়ানুছ আত্মগোপনে ছিলেন এবং পার্শ্ববর্তী দেশে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানান। র‌্যাব জানায়, মামলার ৫, ৬ ও ১১ নম্বর আসামিকে ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ছুরি ও প্রমাণ লোপাটে ব্যবহৃত সাদা ও কালো রঙের দুটি বালতি উদ্ধার করা হয়। ৫ নম্বর আসামি ওসমান (৩২) আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
‎র‌্যাব আরও জানায়, গ্রেফতারকৃত ইয়ানুছের বিরুদ্ধে রূপগঞ্জ থানায় আরও একটি হত্যা চেষ্টার মামলা রয়েছে। তাকে সোনারগাঁ থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। এ পর্যন্ত এ ঘটনায় র‌্যাব মোট চারজন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

কালিয়াকৈরে রুমাইসা হাসপাতাল বন্ধের নির্দেশ

সোনারগাঁয়ে গলাকেটে হত্যা: কুড়িগ্রাম থেকে প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

আপডেট সময় : ০৮:৪০:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫

‎নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রতন (৩৮) নামে এক যুবককে গলাকেটে হত্যার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার ১৫ দিন পর হত্যা মামলার প্রধান আসামি ইয়ানুছ (৪০)–কে কুড়িগ্রামের সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।
‎‎র‌্যাব-১১ এর পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নিহত রতন কাঁচপুর এলাকার মালেক মোল্লার ছেলে। তিনি পরিবার নিয়ে সোনারগাঁয়ের নাওড়া বিটা এলাকায় ভাড়া থাকতেন। গত ১৭ জুন সকালে সোনারগাঁয়ের ভারগাঁও এলাকার ওলামা নগর খালপাড়ের পূর্ব পাশ থেকে তার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। স্থানীয়দের মাধ্যমে লাশ পড়ে থাকার খবর পেয়ে সোনারগাঁ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
‎এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে তদন্তে নামে র‌্যাব-১১। প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষণ করে তারা হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করে এবং র‌্যাব-১৩ এর সহযোগিতায় ২ জুলাই সন্ধ্যা ৭টার দিকে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার আরাজী কদমতলা এলাকা থেকে ইয়ানুছকে গ্রেফতার করে।
‎জিজ্ঞাসাবাদে ইয়ানুছ স্বীকার করেন, তিনি ও নিহত রতন একই এলাকার বাসিন্দা এবং উভয়েই মাদক ব্যবসায় জড়িত ছিলেন। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। দুই বছর আগে মারামারির একটি ঘটনাও ঘটে। ঘটনার ১৫ দিন আগে তাদের মধ্যে ফের বিরোধ দেখা দিলে ইয়ানুছ হত্যার পরিকল্পনা করেন।
‎পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৭ জুন ভোর সাড়ে ৩টার দিকে এজাহারভুক্ত ৩ নম্বর আসামি হাসেম (৪০) ও ৪ নম্বর আসামি ইলিয়াছ (৩০) সহ ৮ জন মিলে রতনকে ডেকে এনে তাকে বেধড়ক মারধর করে। পরে গলা ও হাত-পায়ের রগ কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে লাশ খালে ফেলে দেয়।
‎‎ঘটনার পর থেকেই প্রধান আসামি ইয়ানুছ আত্মগোপনে ছিলেন এবং পার্শ্ববর্তী দেশে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানান। র‌্যাব জানায়, মামলার ৫, ৬ ও ১১ নম্বর আসামিকে ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ছুরি ও প্রমাণ লোপাটে ব্যবহৃত সাদা ও কালো রঙের দুটি বালতি উদ্ধার করা হয়। ৫ নম্বর আসামি ওসমান (৩২) আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
‎র‌্যাব আরও জানায়, গ্রেফতারকৃত ইয়ানুছের বিরুদ্ধে রূপগঞ্জ থানায় আরও একটি হত্যা চেষ্টার মামলা রয়েছে। তাকে সোনারগাঁ থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। এ পর্যন্ত এ ঘটনায় র‌্যাব মোট চারজন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।