টেকনাফ প্রতিনিধি: কক্সবাজারের টেকনাফ সদর ইউনিয়নের হাতিয়ার ঘোনা এলাকার বাসিন্দা ছয়দ আহমেদের পুত্র পল্লী চিকিৎসক প্রবীণ আবদুর রহমানকে মাদকসহ আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ৬৪ ব্যাটালিয়ন। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর স্থানীয়ভাবে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত
পরিবার ও স্থানীয় সূত্র জানায়, একই এলাকার প্রয়াত মুজাহার সওদাগরের ছেলে আব্দুল মান্নান অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসার কাজে কক্সবাজারে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। তিনি সঙ্গে নেন এলাকার সর্বজন শ্রদ্ধাশীল প্রবীণ ব্যক্তি আবদুর রহমানকে।
যাত্রাপথে মান্নান একটি কালো শপিং ব্যাগ, যেখানে পান ও কিছু ওষুধ ছিল বলে দাবি করা হয়, তা আবদুর রহমানের হাতে দেন। ইমামের ডেইল চেকপোস্টে পৌঁছানোর আগে মান্নান মোবাইলে কথা বলার অজুহাতে ব্যাগটি মুরুব্বির হাতে ধরিয়ে দেন। বিজিবি তল্লাশির সময় ওই ব্যাগের ভেতর থেকে মাদক উদ্ধার হলে প্রবীণ আবদুর রহমানকে আটক করে।
পরিবারের দাবি
আবদুর রহমানের পরিবার বলছে, এ ঘটনায় তিনি সম্পূর্ণ নির্দোষ। তাদের অভিযোগ, মূলত মান্নানের ফাঁদে পড়ে ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন তিনি।
পরিবারের সদস্যরা জানান, দুই মাস আগে স্ত্রী হারিয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন আবদুর রহমান। নানা শারীরিক সমস্যায়ও তিনি ভুগছিলেন। ফলে সহজ-সরল স্বভাবের কারণে এ বিপদের মুখে পড়েছেন তিনি।
স্থানীয় প্রতিক্রিয়া
এলাকার মানুষদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষিত ও ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি ও পল্লী চিকিৎসক হিসেবে পরিচিত ছিলেন আবদুর রহমান। তাঁর বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ অকল্পনীয়। ফলে আটক হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় হতাশা ও ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।
তদন্তের দাবি
পরিবার ও স্থানীয়রা মনে করছেন, বিষয়টি নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করলে প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসবে। অন্যথায় একজন প্রবীণ ও সম্মানিত ব্যক্তিকে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে অপরাধী বানানোর আশঙ্কা রয়ে গেছে।
প্রতিনিধির নাম 



















