ঢাকা ০৮:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫, ৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেছে এনসিপির চার নেতা নির্বাচনের আগে অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ ভ্রান্ত তথ্য : প্রধান উপদেষ্টা ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য ৬০ ঘণ্টা প্রশিক্ষণ নিতে হবে, মিলবে ভাতা রূপগঞ্জে নিরাপদ সড়ক দিবস-২০২৫ অনুষ্ঠিত টেকনাফে সশস্ত্র দুর্বৃত্তদের কবল থেকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী ও অটোরিকশা উদ্ধার টেকনাফ মেরিন ড্রাইভে ২৯ ভুক্তভোগী উদ্ধার, মানব পাচারকারী ৩ জন আটক এজাহারনামীয় আসামি শুভ র‍্যাব-১১ হাতে গ্রেফতার পটুয়াখালীতে সড়ক ও জনপথ কর্মচারীদের ৫ দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন রামগড়ে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস ২০২৫ উপলক্ষে র‍্যালি বিচার প্রক্রিয়ার প্রতি সেনাবাহিনীর শ্রদ্ধাবোধ প্রশংসার দাবিদার

বরেণ্য শিল্পী ফরিদা পারভীনের মৃত্যুতে সংস্কৃতি উপদেষ্টার শোক

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:২৪:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ২৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: লোকসংগীতের বরেণ্য শিল্পী ফরিদা পারভীনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাতে এক শোকবার্তায় উপদেষ্টা বলেন, তার প্রয়াণে দেশের সংগীতাঙ্গন এক অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হলো।

শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) এক শোকবার্তায় প্রধান উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, কিংবদন্তিতুল্য লালনগীতি শিল্পী ফরিদা পারভীন নজরুলগীতি, দেশাত্মবোধক নানা ধরনের গান করলেও শ্রোতাদের কাছে ফরিদা পারভীনের পরিচিতি ‘লালনকন্যা’ হিসেবে। পাঁচ দশক ধরে তাঁর কণ্ঠে লালন সাঁইয়ের গান মানুষের হৃদয় ছুঁয়েছে। তাঁর গান আমাদের সংস্কৃতির অন্তর্লীন দর্শন ও জীবনবোধকেও নতুন মাত্রায় তুলে ধরেছিল।

নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও গান থেকে দূরে থাকেননি ফরিদা পারভীন। সংগীতের প্রতি তাঁর এই অনুরাগ প্রজন্মের পর প্রজন্মকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।

একুশে পদকপ্রাপ্ত এই গুণী শিল্পী বাংলাদেশের সংগীত জগতে যে অবদান রেখেছেন তা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে, বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে নিত্যনতুন চিন্তা ও সৃষ্টির খোরাক জোগাবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা লোকসংগীতের বরেণ্য শিল্পী ফরিদা পারভীনের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

প্রসঙ্গত, বরেণ্য লোকসংগীত শিল্পী ফরিদা পারভীন ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টা ১৫ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৭১ বছর। ১৯৫৪ সালে ৩১ ডিসেম্বর নাটোরের সিংড়া থানায় জন্ম হয় ফরিদা পারভীনের। গানে গানে কাটিয়েছেন ৫৫ বছর। ১৪ বছর বয়সে ১৯৬৮ সালে ফরিদা পারভীনের পেশাদার সংগীতজীবন শুরু হয়।

ফরিদা পারভীনের বেড়ে ওঠাটা একেবারে নিরবচ্ছিন্নভাবে গ্রামে নয়। কারণ, তাঁর বাবা মেডিকেলে চাকরি করতেন আর তাঁর চাকরির বদলির সুবাদে বিভিন্ন সময়ে পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে ফরিদাকেও বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয়েছে। এ কারণে ফরিদার বেড়ে ওঠায় বিভিন্ন জায়গার ছাপ পড়েছে। ফরিদা পারভীনের স্কুলজীবন কেটেছে বিভিন্ন শহরে। তবে তাঁর স্কুলজীবনের শুরুটা মাগুরায়। একাধিক স্কুলে পড়াশোনা শেষে তিনি কুষ্টিয়ার মীর মশাররফ হোসেন বালিকা বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন। ১৯৭৪ সালে কুষ্টিয়া গার্লস কলেজ থেকে এইচএসসি এবং একই কলেজ থেকে স্নাতক শেষ করেন।

সূত্র বাসস

 

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেছে এনসিপির চার নেতা

বরেণ্য শিল্পী ফরিদা পারভীনের মৃত্যুতে সংস্কৃতি উপদেষ্টার শোক

আপডেট সময় : ১২:২৪:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: লোকসংগীতের বরেণ্য শিল্পী ফরিদা পারভীনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাতে এক শোকবার্তায় উপদেষ্টা বলেন, তার প্রয়াণে দেশের সংগীতাঙ্গন এক অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হলো।

শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) এক শোকবার্তায় প্রধান উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, কিংবদন্তিতুল্য লালনগীতি শিল্পী ফরিদা পারভীন নজরুলগীতি, দেশাত্মবোধক নানা ধরনের গান করলেও শ্রোতাদের কাছে ফরিদা পারভীনের পরিচিতি ‘লালনকন্যা’ হিসেবে। পাঁচ দশক ধরে তাঁর কণ্ঠে লালন সাঁইয়ের গান মানুষের হৃদয় ছুঁয়েছে। তাঁর গান আমাদের সংস্কৃতির অন্তর্লীন দর্শন ও জীবনবোধকেও নতুন মাত্রায় তুলে ধরেছিল।

নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও গান থেকে দূরে থাকেননি ফরিদা পারভীন। সংগীতের প্রতি তাঁর এই অনুরাগ প্রজন্মের পর প্রজন্মকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।

একুশে পদকপ্রাপ্ত এই গুণী শিল্পী বাংলাদেশের সংগীত জগতে যে অবদান রেখেছেন তা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে, বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে নিত্যনতুন চিন্তা ও সৃষ্টির খোরাক জোগাবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা লোকসংগীতের বরেণ্য শিল্পী ফরিদা পারভীনের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

প্রসঙ্গত, বরেণ্য লোকসংগীত শিল্পী ফরিদা পারভীন ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টা ১৫ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৭১ বছর। ১৯৫৪ সালে ৩১ ডিসেম্বর নাটোরের সিংড়া থানায় জন্ম হয় ফরিদা পারভীনের। গানে গানে কাটিয়েছেন ৫৫ বছর। ১৪ বছর বয়সে ১৯৬৮ সালে ফরিদা পারভীনের পেশাদার সংগীতজীবন শুরু হয়।

ফরিদা পারভীনের বেড়ে ওঠাটা একেবারে নিরবচ্ছিন্নভাবে গ্রামে নয়। কারণ, তাঁর বাবা মেডিকেলে চাকরি করতেন আর তাঁর চাকরির বদলির সুবাদে বিভিন্ন সময়ে পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে ফরিদাকেও বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয়েছে। এ কারণে ফরিদার বেড়ে ওঠায় বিভিন্ন জায়গার ছাপ পড়েছে। ফরিদা পারভীনের স্কুলজীবন কেটেছে বিভিন্ন শহরে। তবে তাঁর স্কুলজীবনের শুরুটা মাগুরায়। একাধিক স্কুলে পড়াশোনা শেষে তিনি কুষ্টিয়ার মীর মশাররফ হোসেন বালিকা বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন। ১৯৭৪ সালে কুষ্টিয়া গার্লস কলেজ থেকে এইচএসসি এবং একই কলেজ থেকে স্নাতক শেষ করেন।

সূত্র বাসস