ঢাকা ১১:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তুরস্কে ‘জুয়া কেলেঙ্কারিতে’ ২০ ফুটবলার কারাগারে

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:০৭:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ০ বার পড়া হয়েছে

স্পোর্টস ডেস্ক: তুরস্কের পেশাদার ফুটবল লিগে অবৈধভাবে ম্যাচে বাজি ধরার মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া ফুটবলারদের মধ্যে ২০ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছে দেশটির আদালত। এদের মধ্যে রয়েছেন সুপার লিগে খেলা কয়েকজন ফুটবলারও।

তাদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচার কার্যক্রম চলবে। গত সপ্তাহে দেশটির প্রসিকিউটররা সুপার লিগের খেলোয়াড়, ক্লাব সভাপতিরা, একজন রেফারি ও ক্রীড়া বিশ্লেষকসহ মোট ৪৬ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেন। বাজি ধরার অভিযোগের তদন্তের অংশ হিসেবে শীর্ষ দুই স্তরের ১০২ জন খেলোয়াড়কে বিভিন্ন মেয়াদে নিষেধাজ্ঞাও দিয়েছে তারা।

দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ‘আনাদোলু’ জানিয়েছে, আটক ব্যক্তিদের মধ্যে ইউরোপের শীর্ষ লিগের ক্লাব গালাতাসারায়ের খেলোয়াড় মেতেহান বালতাচি এবং ফেনারবাচের মিডফিল্ডার মের্ত হাকান ইয়ানদাসকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া আদানা দেমিরস্পোরের সাবেক সভাপতি মুরাত সানচাককেও আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

তুরস্ক ফুটবলে অবশ্য এ ধরনের কেলেঙ্কারি নতুন কিছু নয়। দেশটির ফুটবল ফেডারেশনের চেয়ারম্যান ইবরাহিম হাচিওসমানোগলু বলেন, ‘বছরের পর বছর তুর্কি ফুটবলের নানা সমস্যা লুকানো হয়েছে। লজ্জাজনক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, অনেক অপরাধ ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতির জন্য দায়িত্বহীনতাই দায়ী।’

তিনি আরও জানান, রাষ্ট্রীয় বেটিং প্রতিষ্ঠান ‘স্পর টোটো’র কাছ থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য পাওয়া গেলে তদন্ত আরও বিস্তৃত হতে পারে। এতে ম্যাচ পর্যবেক্ষক, কোচ, কর্মকর্তাসহ অনেকেই তদন্তের আওতায় আসতে পারেন।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

তুরস্কে ‘জুয়া কেলেঙ্কারিতে’ ২০ ফুটবলার কারাগারে

আপডেট সময় : ১০:০৭:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫

স্পোর্টস ডেস্ক: তুরস্কের পেশাদার ফুটবল লিগে অবৈধভাবে ম্যাচে বাজি ধরার মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া ফুটবলারদের মধ্যে ২০ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছে দেশটির আদালত। এদের মধ্যে রয়েছেন সুপার লিগে খেলা কয়েকজন ফুটবলারও।

তাদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচার কার্যক্রম চলবে। গত সপ্তাহে দেশটির প্রসিকিউটররা সুপার লিগের খেলোয়াড়, ক্লাব সভাপতিরা, একজন রেফারি ও ক্রীড়া বিশ্লেষকসহ মোট ৪৬ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেন। বাজি ধরার অভিযোগের তদন্তের অংশ হিসেবে শীর্ষ দুই স্তরের ১০২ জন খেলোয়াড়কে বিভিন্ন মেয়াদে নিষেধাজ্ঞাও দিয়েছে তারা।

দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ‘আনাদোলু’ জানিয়েছে, আটক ব্যক্তিদের মধ্যে ইউরোপের শীর্ষ লিগের ক্লাব গালাতাসারায়ের খেলোয়াড় মেতেহান বালতাচি এবং ফেনারবাচের মিডফিল্ডার মের্ত হাকান ইয়ানদাসকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া আদানা দেমিরস্পোরের সাবেক সভাপতি মুরাত সানচাককেও আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

তুরস্ক ফুটবলে অবশ্য এ ধরনের কেলেঙ্কারি নতুন কিছু নয়। দেশটির ফুটবল ফেডারেশনের চেয়ারম্যান ইবরাহিম হাচিওসমানোগলু বলেন, ‘বছরের পর বছর তুর্কি ফুটবলের নানা সমস্যা লুকানো হয়েছে। লজ্জাজনক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, অনেক অপরাধ ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতির জন্য দায়িত্বহীনতাই দায়ী।’

তিনি আরও জানান, রাষ্ট্রীয় বেটিং প্রতিষ্ঠান ‘স্পর টোটো’র কাছ থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য পাওয়া গেলে তদন্ত আরও বিস্তৃত হতে পারে। এতে ম্যাচ পর্যবেক্ষক, কোচ, কর্মকর্তাসহ অনেকেই তদন্তের আওতায় আসতে পারেন।