নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)–এর ভেতরে দুটি ভিন্ন পক্ষ প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছে। তবে এ প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নিজের সম্পৃক্ততা নেই বলে দৃঢ়ভাবে জানিয়েছেন বিএনপির নেতৃস্থানীয় রাজনীতিবিদ ও সমাজসেবক মাসুদুজ্জামান মাসুদ।
আজ বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে মাসুদুজ্জামান মাসুদ বলেন আমি ব্যক্তিগতভাবে কোনো পক্ষকে সমর্থন করিনি, কারো সঙ্গে যোগাযোগও রাখিনি। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনকভাবে একটি পক্ষ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমার নাম ব্যবহার করছে নিজেদের স্বার্থে। এ ধরনের অনভিপ্রেত ও অগণতান্ত্রিক কর্মকাণ্ড আমি তীব্র নিন্দা জানাই।
তিনি আরও বলেন বিএনপি সবসময়ই পেশাজীবীদের নির্বাচনে স্বাধীন মত প্রকাশ ও গণতান্ত্রিক চর্চাকে গুরুত্ব দিয়ে এসেছে। আমরা কখনোই রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের পক্ষে নই। অথচ আইনজীবী সমিতির মতো মর্যাদাপূর্ণ একটি প্রতিষ্ঠানের নির্বাচনে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করছে একটি পক্ষ। এটা আওয়ামী লীগ এবং শামীম ওসমান–সেলিম ওসমান পরিবারের রাজনৈতিক সংস্কৃতিরই প্রতিফলন।
মাসুদুজ্জামান মাসুদ আশা প্রকাশ করে বলেন আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, প্রতিদ্বন্দ্বী দুই পক্ষ নিজেদের মধ্যে আলোচনা ও বোঝাপড়ার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসবেন। গণতান্ত্রিক চর্চার ঐতিহ্য রক্ষায় এটাই একমাত্র পথ।
তিনি মনে করেন, আইনজীবী সমাজ হলো বুদ্ধিজীবী ও প্রগতিশীল চিন্তার ধারক। তাই এ সমাজের নির্বাচনে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও ভ্রাতৃত্ব বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি।
দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনার প্রসঙ্গ টেনে মাসুদুজ্জামান মাসুদ বলেন তারেক রহমান সবসময়ই দলীয় ঐক্য, গণতান্ত্রিক আচরণ এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ বজায় রাখার জন্য আমাদের দিক নির্দেশনা দিয়ে আসছেন। তাঁর নির্দেশনা বিএনপি নেতাকর্মীদের জন্য যেমন পথ প্রদর্শক, তেমনি আইনজীবী সমাজের জন্যও অনুপ্রেরণার উৎস। আমি বিশ্বাস করি, আসন্ন এই নির্বাচনেও তাঁর সেই নির্দেশনা সবার জন্য আলোকবর্তিকা হয়ে থাকবে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনকে ঘিরে স্থানীয় পর্যায়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে। বিএনপির দুই পক্ষ মাঠে নামায় কর্মীদের মধ্যেও উত্তেজনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে মাসুদুজ্জামান মাসুদের এই নিরপেক্ষ অবস্থান এবং ঐক্যের আহ্বান স্থানীয় রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
আমরা যদি সত্যিই গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি, তবে অবশ্যই গণতান্ত্রিক আচরণ, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ এবং ভ্রাতৃত্ব বজায় রাখতে হবে। ব্যক্তিগত বা দলীয় স্বার্থে কারও নাম ব্যবহার করে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা উচিত নয়।