ঢাকা ১২:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
নারায়ণগঞ্জে নিরাপত্তা প্রহরী হত্যা মামলার অন্যতম আসামি পটুয়াখালী থেকে গ্রেপ্তার র‍্যাব-১১ এর তৎপরতায় অবৈধ পলিথিন কারখানায় মোবাইল কোর্টের অভিযান বিজিবির অভিযানে চোলাই মদসহ দুই পাচারকারী আটক কুমিল্লার গোমতীর চরে সারি সারি ফুলকপির গাছ কিছু বিষয়ে উচ্চ আদালতের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে : আসিফ নজরুল গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাকে মনেপ্রাণে ধারণকারীদের ঐক‍্যবদ্ধ প্ল্যাটফর্ম গঠনের তাগিদ এবি পার্টির চাঁপাইনবাবগঞ্জে সড়ক দূর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত (নিহত) পরিবারের মাঝে চেক হস্তান্তর পল্লীবন্ধু এরশাদের হাতে গড়া উপজেলা পরিষদের পরিপূর্ণ বাস্তবায়নের দাবিতে সুনামগঞ্জে গণমমিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত সিদ্ধিরগঞ্জে ২০০ পিস ইয়াবাসহ এক মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার গাজার ত্রাণে বাধা না দিতে ইসরায়েলকে নির্দেশ আইসিজের

চার বছরের লড়াই শেষে ব্লাড ক্যান্সারে না ফেরার দেশে জান্নাতুল মাওয়া

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:০৩:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ১১১ বার পড়া হয়েছে

ফরহাদ রহমান,টেকনাফ প্রতিনিধি: দীর্ঘ চার বছর ব্লাড ক্যান্সারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৫:০৮ মিনিটে ঢাকা ধানমন্ডি ২৭ পেইনকিয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন জান্নাতুল মাওয়া আরিয়ানা আর নেই। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

জান্নাতুল মাওয়া ছিলেন টেকনাফ উপজেলা বিএনপির যুবদল নেতা আব্দুর রহমান বিশ্বাসের একমাত্র কন্যা। আব্দুর রহমান টেকনাফ উপজেলার রাজনীতিবিদ; তিনি জেলা বিএনপির অর্থ-সম্পাদক আলহাজ্ব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ ও টেকনাফ সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জিহাদের আপন ভাই।

তার বাবা আব্দুর রহমান বলেন, “সন্তানকে সুস্থ করার জন্য আমরা যেকোনো ত্যাগ করতে প্রস্তুত ছিলাম। ২০২২ সাল থেকে ছেলেমেয়ের মতো পালন করা আমার মেয়েটি দীর্ঘ চার বছর ধরে ব্লাড ক্যান্সারের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত ছিল। চিকিৎসায় দেশ-বিদেশ—ইন্ডিয়া ও বাংলাদেশ—যত সম্ভব সব পথ আমরা অনুসরণ করেছি। তবে গত ১১ জুলাই দিল্লির ফোর্টিস মেমোরিয়াল হাসপাতালে রিপোর্ট খারাপ আসে; তখন ডাক্তার জানিয়েছিলেন আরিয়ার সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা মাত্র ৩০% — সেই খবরে আমরা একেবারে পড়ে গিয়েছিলাম। বহু মানুষের রক্তদান, সহযোগিতা ও প্রার্থনার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ; আল্লাহ সবাইকে সুস্থ্য রাখুক এবং তাদের পরিবারকে মঙ্গল দান করুন।”

তিনি আরও বলেন, “আমার মেয়ে ছোট থেকেই সৎ ও স্বপ্নবদ্ধ ছিল—এক সময় বলত, ‘বাবা, আমি বড় হয়ে একটি ফুলের দোকান দেব, আপনাদের খাওয়াবো, দেখাশোনা করব; বিয়ে করবো না।’ আজ সেই কণ্ঠ যেন চিরতরে থেমে গেল। এই কষ্ট সহজে সইবার নয়।”

জান্নাতুল মাওয়ার চিকিৎসা নিয়ে পরিবারের বরাত দিয়ে জানা গেছে, ভারত ও দেশে একাধিক মেডিক্যাল সেন্টারে চিকিৎসা চলছিল। রোগের জটিলতার কারণে বারবার তীব্র পর্যায়ে নেমে আসার ফলে শেষ পর্যন্ত তিনি জীবন হারান।

পরিবার ও আত্মীয়স্বজন জানিয়েছেন, শরীরের অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা ও জানাজা সংক্রান্ত তথ্য পরে শেয়ার করা হবে। জান্নাতুল মাওয়ার মৃত্যুতে পরিবার, বন্ধু ও রাজনৈতিক কর্মীসহ এলাকার মানুষ গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং তার আশাপাশের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন যারা কষ্টের সময় পাশে দাঁড়িয়েছেন।

আমরা পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছি—এই শৈশবের স্বপ্নভরা কিশোরীর আত্মা শান্তি পাক। আমীন।

 

 

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

নারায়ণগঞ্জে নিরাপত্তা প্রহরী হত্যা মামলার অন্যতম আসামি পটুয়াখালী থেকে গ্রেপ্তার

চার বছরের লড়াই শেষে ব্লাড ক্যান্সারে না ফেরার দেশে জান্নাতুল মাওয়া

আপডেট সময় : ১১:০৩:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ফরহাদ রহমান,টেকনাফ প্রতিনিধি: দীর্ঘ চার বছর ব্লাড ক্যান্সারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৫:০৮ মিনিটে ঢাকা ধানমন্ডি ২৭ পেইনকিয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন জান্নাতুল মাওয়া আরিয়ানা আর নেই। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

জান্নাতুল মাওয়া ছিলেন টেকনাফ উপজেলা বিএনপির যুবদল নেতা আব্দুর রহমান বিশ্বাসের একমাত্র কন্যা। আব্দুর রহমান টেকনাফ উপজেলার রাজনীতিবিদ; তিনি জেলা বিএনপির অর্থ-সম্পাদক আলহাজ্ব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ ও টেকনাফ সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জিহাদের আপন ভাই।

তার বাবা আব্দুর রহমান বলেন, “সন্তানকে সুস্থ করার জন্য আমরা যেকোনো ত্যাগ করতে প্রস্তুত ছিলাম। ২০২২ সাল থেকে ছেলেমেয়ের মতো পালন করা আমার মেয়েটি দীর্ঘ চার বছর ধরে ব্লাড ক্যান্সারের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত ছিল। চিকিৎসায় দেশ-বিদেশ—ইন্ডিয়া ও বাংলাদেশ—যত সম্ভব সব পথ আমরা অনুসরণ করেছি। তবে গত ১১ জুলাই দিল্লির ফোর্টিস মেমোরিয়াল হাসপাতালে রিপোর্ট খারাপ আসে; তখন ডাক্তার জানিয়েছিলেন আরিয়ার সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা মাত্র ৩০% — সেই খবরে আমরা একেবারে পড়ে গিয়েছিলাম। বহু মানুষের রক্তদান, সহযোগিতা ও প্রার্থনার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ; আল্লাহ সবাইকে সুস্থ্য রাখুক এবং তাদের পরিবারকে মঙ্গল দান করুন।”

তিনি আরও বলেন, “আমার মেয়ে ছোট থেকেই সৎ ও স্বপ্নবদ্ধ ছিল—এক সময় বলত, ‘বাবা, আমি বড় হয়ে একটি ফুলের দোকান দেব, আপনাদের খাওয়াবো, দেখাশোনা করব; বিয়ে করবো না।’ আজ সেই কণ্ঠ যেন চিরতরে থেমে গেল। এই কষ্ট সহজে সইবার নয়।”

জান্নাতুল মাওয়ার চিকিৎসা নিয়ে পরিবারের বরাত দিয়ে জানা গেছে, ভারত ও দেশে একাধিক মেডিক্যাল সেন্টারে চিকিৎসা চলছিল। রোগের জটিলতার কারণে বারবার তীব্র পর্যায়ে নেমে আসার ফলে শেষ পর্যন্ত তিনি জীবন হারান।

পরিবার ও আত্মীয়স্বজন জানিয়েছেন, শরীরের অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা ও জানাজা সংক্রান্ত তথ্য পরে শেয়ার করা হবে। জান্নাতুল মাওয়ার মৃত্যুতে পরিবার, বন্ধু ও রাজনৈতিক কর্মীসহ এলাকার মানুষ গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং তার আশাপাশের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন যারা কষ্টের সময় পাশে দাঁড়িয়েছেন।

আমরা পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছি—এই শৈশবের স্বপ্নভরা কিশোরীর আত্মা শান্তি পাক। আমীন।