বিনোদন ডেস্ক : তিন দশকের ক্যারিয়ারে প্রথমবার জাতীয় পুরস্কার পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন নব্বই দশকের নায়িকা রানি মুখার্জি। ‘মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে’ ছবির জন্য সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কারপ্রাপ্তিকে ক্যারিয়ারের বিরাট প্রাপ্তি বলে মনে করছেন তিনি।
পুরস্কার পাওয়ার পর অনুভূতি প্রকাশ করেন এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী। পুরস্কারটি প্রয়াত বাবাকে উৎসর্গ করে রানী বলেন,“আমার ৩০ বছরের অভিনয়জীবনে প্রথমবার জাতীয় পুরস্কার হাতে পাওয়া এক অনন্য অনুভূতি। এই সম্মান আমার কাছে পৃথিবীর সবকিছু। আমি এই পুরস্কার উৎসর্গ করছি আমার প্রয়াত বাবাকে, যিনি সারাজীবন এই মুহূর্তের স্বপ্ন দেখেছিলেন। আজ তাঁকে ভীষণ মিস করছি। আমি জানি, বাবার আশীর্বাদ আর মায়ের অবিরাম শক্তি ও অনুপ্রেরণাই আমাকে মিসেস চ্যাটার্জীর চরিত্রে এগিয়ে নিয়েছে।”
ভক্তদের প্রতিও গভীর কৃতজ্ঞতা জানিয়ে রানী আরও বলেন,“আমার অসাধারণ ভক্তরা— তোমাদের ভালোবাসা, সমর্থন, আর অবিচল পাশে থাকাই আমার সবচেয়ে বড় প্রেরণা। আমি জানি, এই পুরস্কার তোমাদের জন্যও অনেক মূল্যবান। তোমাদের আনন্দ দেখে আমার হৃদয় ভরে গেছে।”
‘মিসেস চ্যাটার্জী ভার্সেস নরওয়ে’ দলের প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে তিনি বলেন,“এই পুরস্কার আমি ভাগ করে নিচ্ছি আমার অসাধারণ পরিচালক অশিমা, প্রযোজক নিকিল, মনীষা, মধু এবং জি–এর পুরো টিমের সঙ্গে। বিশেষ করে এস্তোনিয়া ও ভারতের কাস্ট ও ক্রু— যারা কোভিডের সময় কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে ছবিটি নির্মাণ সম্ভব করেছেন। এই শক্তিশালী গল্পটিকে জীবন্ত করে তুলতে সবার অবদান আমাকে গভীরভাবে কৃতজ্ঞ করেছে।”
জাতীয় পুরস্কারের জুরিকেও ধন্যবাদ জানিয়ে রানী বলেন,“এই স্বীকৃতি আমার জীবনে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। এই পুরস্কার পৃথিবীর সব মায়ের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি— যাদের শক্তি, সাহস আর নিঃশর্ত ভালোবাসা প্রতিদিন আমাদের অনুপ্রাণিত করে। ‘মিসেস চ্যাটার্জী ভার্সেস নরওয়ে’ ছবিটি আমার হৃদয় ছুঁয়ে গেছে, কারণ এতে ফুটে উঠেছে অভিবাসী মায়ের সংগ্রাম ও অদম্য মনোবল— যিনি বিদেশের মাটিতে সন্তানকে বাঁচাতে অসম লড়াই চালান। একজন মা হিসেবে এই চরিত্র আমার কাছে ভীষণ ব্যক্তিগত। আমরা এই ছবির মাধ্যমে মাতৃত্বের শক্তিকে সম্মান জানাতে চেয়েছি। আশা করি এটি মনে করিয়ে দেবে- প্রতিটি নারীর ভেতরেই প্রতিদিন এক অদম্য শক্তি লুকিয়ে আছে।” টাইমস নাউ।