ঢাকা ০৫:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫, ৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কালিয়াকৈরে রুমাইসা হাসপাতাল বন্ধের নির্দেশ বিজিবির নৌ-অভিযান: ৪০ হাজার ইয়াবাসহ ৩ রোহিঙ্গা আটক ধোপাখালীস্থ শশ্মানঘাটে কালীপূজোয় মেতে উঠেন সনাতন ধর্মের অনুসারীরা,পরিদর্শনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দরা টেকনাফের পাহাড়ে বিজিবির অভিযান, ৬ জিম্মি মুক্ত নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাবে আইআরআই সুপার ওভারে গড়াল টাইগারদের ম্যাচ অন্তর্বর্তী সরকারকে ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আদলে’ কাজ করার আহ্বান বিএনপির শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে যা বললেন প্রধান উপদেষ্টা অন্যায়ভাবে বাংলাদেশে এসে ভারতীয় জেলেদের মাছ ধরা বন্ধ করতে হবে সিদ্ধিরগঞ্জবাসীর আস্থার প্রতীক ট্রাস্ট হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনে বৈঠক আজ

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:১৪:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৫
  • ৫২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: জুলাই জাতীয় সনদের সংবিধান-সম্পর্কিত প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে আজ আবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

রবিবার (৫ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এই আলোচনা শুরু হওয়ার কথা আছে।

আজকের আলোচনায় মূলত সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে দলগুলোর মতপার্থক্য কতটা কমেছে, তা শুনবে কমিশন। দলগুলো চাইলে বিশেষজ্ঞদের সুনির্দিষ্ট ও পরিমার্জিত পরামর্শও প্রস্তাব আকারে তুলে ধরতে পারে কমিশন।

৮৪টি সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে তৈরি হচ্ছে জুলাই জাতীয় সনদ। খসড়া প্রায় চূড়ান্ত হলেও বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে এখনও ঐকমত্য হয়নি। এ কারণে চূড়ান্ত সনদ প্রকাশ আটকে আছে। এর আগে ১১ সেপ্টেম্বর থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করে ঐকমত্য কমিশন। ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন দিন আলোচনা হলেও সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়নি। আজকের বৈঠকে আলোচনা শেষ না হলে আরেক দিন বাড়ানো হতে পারে বলে জানিয়েছেন কমিশনের কর্মকর্তারা।

কমিশনের লক্ষ্য, ১৫ অক্টোবরের মধ্যে দলগুলোর স্বাক্ষর নিয়ে সনদের পূর্ণাঙ্গ রূপ দেওয়া।

সূত্র জানায়, জুলাই সনদের কিছু প্রস্তাব নির্বাহী আদেশ বা অধ্যাদেশ জারি করে বাস্তবায়ন করা সম্ভব—এ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। তবে বিতর্ক রয়ে গেছে সংবিধান–সম্পর্কিত প্রস্তাব বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে।

গত ১৭ সেপ্টেম্বরের আলোচনায় কমিশন বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ প্রস্তাব আকারে উপস্থাপন করেছিল। সে প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, মৌলিক সংস্কারগুলো নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার একটি ‘সংবিধান আদেশ’ জারি করতে পারে। আদেশটি অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন একই সঙ্গে গণভোটের মাধ্যমে তা অনুমোদনের প্রস্তাব করা হয়েছিল। তবে বিএনপিসহ কয়েকটি দল এই প্রস্তাবের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে। পরে কমিশন আবারও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে দুই দিন ধরে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করে।

বৈঠকে কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য বদিউল আলম মজুমদার,দসহ কমিশনের সদস্যরা উপস্থিত আছেন।

 

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

কালিয়াকৈরে রুমাইসা হাসপাতাল বন্ধের নির্দেশ

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনে বৈঠক আজ

আপডেট সময় : ১২:১৪:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: জুলাই জাতীয় সনদের সংবিধান-সম্পর্কিত প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে আজ আবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

রবিবার (৫ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এই আলোচনা শুরু হওয়ার কথা আছে।

আজকের আলোচনায় মূলত সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে দলগুলোর মতপার্থক্য কতটা কমেছে, তা শুনবে কমিশন। দলগুলো চাইলে বিশেষজ্ঞদের সুনির্দিষ্ট ও পরিমার্জিত পরামর্শও প্রস্তাব আকারে তুলে ধরতে পারে কমিশন।

৮৪টি সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে তৈরি হচ্ছে জুলাই জাতীয় সনদ। খসড়া প্রায় চূড়ান্ত হলেও বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে এখনও ঐকমত্য হয়নি। এ কারণে চূড়ান্ত সনদ প্রকাশ আটকে আছে। এর আগে ১১ সেপ্টেম্বর থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করে ঐকমত্য কমিশন। ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন দিন আলোচনা হলেও সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়নি। আজকের বৈঠকে আলোচনা শেষ না হলে আরেক দিন বাড়ানো হতে পারে বলে জানিয়েছেন কমিশনের কর্মকর্তারা।

কমিশনের লক্ষ্য, ১৫ অক্টোবরের মধ্যে দলগুলোর স্বাক্ষর নিয়ে সনদের পূর্ণাঙ্গ রূপ দেওয়া।

সূত্র জানায়, জুলাই সনদের কিছু প্রস্তাব নির্বাহী আদেশ বা অধ্যাদেশ জারি করে বাস্তবায়ন করা সম্ভব—এ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। তবে বিতর্ক রয়ে গেছে সংবিধান–সম্পর্কিত প্রস্তাব বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে।

গত ১৭ সেপ্টেম্বরের আলোচনায় কমিশন বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ প্রস্তাব আকারে উপস্থাপন করেছিল। সে প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, মৌলিক সংস্কারগুলো নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার একটি ‘সংবিধান আদেশ’ জারি করতে পারে। আদেশটি অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন একই সঙ্গে গণভোটের মাধ্যমে তা অনুমোদনের প্রস্তাব করা হয়েছিল। তবে বিএনপিসহ কয়েকটি দল এই প্রস্তাবের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে। পরে কমিশন আবারও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে দুই দিন ধরে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করে।

বৈঠকে কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য বদিউল আলম মজুমদার,দসহ কমিশনের সদস্যরা উপস্থিত আছেন।