ক্রীড়া ডেস্ক: আসরের শুরুর দিকে পরপর দুই ম্যাচে ফিফটির পর আর ভালো করতে পারছিলেন না লিজেল লি। সেই হতাশা তিনি ঘুচিয়ে দিলেন সবচেয়ে বড় ম্যাচে। তার বিধ্বংসী ইনিংসে দীর্ঘ অপেক্ষার প্রহর পেরিয়ে প্রথমবারের মতো উইমেন’স বিগ ব্যাশের শিরোপা জিতল হোবার্ট হারিকেন্স।
পার্থকে ৫ উইকেটে ১৩৭ রানে আটকে দিয়ে ৩০ বল হাতে রেখে জিতেছে হোবার্ট। লো স্কোরিং এই ম্যাচেও ৪৪ বলে ৭৭ রান করেন অপরাজিত ছিলেন লি।
বিগ ব্যাশের এ বছরটা হোবার্ট হারিকেন্সের। এর আগে জানুয়ারিতে প্রথম বিগ ব্যাশ জিতেছে হোবার্ট পুরুষ দলও। মজার ব্যাপার হলো, সেখানেও বড় অবদান রেখেছিলেন একজন ওপেনার। মিচেল ওয়েন সিডনি থান্ডারের বিপক্ষে ৪২ বলে খেলেছিলেন ১০৮ রানের ইনিংস।
বেলেরিভ ওভালে লি শেষ পর্যন্ত অপরাজিতই ছিলেন। তাকে ১৬ রান করে ওয়াইট হজ, ৩৫ রান করে নাট শিভার ব্রান্ট ও ৬ রান করেন নিকোলা ক্যারে সঙ্গ দেন। লিলি মিলস ও অ্যামি এডগার একটি করে উইকেট ভাগাভাগি করেন।
ফাইনাল জেতায় লিনসে স্মিথ ও গিদার গ্রাহামের অবদানও কম নয়। বাঁহাতি ফিঙ্গার স্পিনে মাত্র ৮ রানের বিনিময়েই ২ উইকেট নেন স্মিথ। হিদার সমানসংখ্যক উইকেট পান ২৬ রানের বিনিময়ে। ৩৬ রানে লরেন স্মিথ স্কোরচার্চের উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট পড়েছে। নির্ভার হয়ে কেউ ব্যাট করার সুযোগ পাননি। প্রত্যেকের স্ট্রাইকরেট সেটার জ্বলজ্যান্ত প্রমাণ। সর্বোচ্চ ১২৬ স্ট্রাইকরেটে ৩৩ রান করেছেন বেথ মুনি। আর সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর সোফি ডিভাইনের—২৯ বলে ৩৪।
অবধারিতভাবেই ম্যাচসেরা হয়েছেন লি। টুর্নামেন্টে ষষ্ঠ সর্বোচ্চ ৩০৫ রান করেছেন তিনি। হজ করেছেন তৃতীয় সর্বোচ্চ ৪৩২। মুনির সংগ্রহ ৫৪৯। সর্বোচ্চ ১৯টি করে উইকেট নিয়েছেন মেলবোর্ন রেনেগাদসের জর্জিয়া ওয়েরহ্যাম ও সিডনি সিক্সার্সের অ্যাশ গার্ডনার।
প্রতিনিধির নাম 


























