ঢাকা ০২:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বেগমগঞ্জ উপজেলায় জামায়াতের বিজয় র‍্যালীতে বাধভাঙ্গা উল্লাসে উপচে পড়া ভিড় ; ইনসাফে বাংলাদেশ গড়ার শপথ বেগমগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আনুষ্ঠানিক কুচকাওয়াজ ও মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত বিজয় দিবস উপলক্ষে মিজমিজি পাইনাদি রেকমত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে আলোচনা ও দোয়া ভোটের ওপর নির্ভর করছে ভবিষ্যৎ : প্রধান উপদেষ্টা ডেভিলদের অপচেষ্টা সফল হবে না: প্রধান উপদেষ্টা বিগ ব্যাশে রিশাদের অভিষেক, কেমন হলো হোবার্টের একাদশ পরিচালক বাবা ও মাকে গলা কেটে হত্যা, ছেলে গ্রেপ্তার বন্ডি সমুদ্র সৈকতের হামলাকারী হায়দরাবাদের বাসিন্দা বেনাপোল ইমিগ্রেশনে বিস্ফোরক মামলার আসামি আটক আটক বরুড়ায় আশরায়ে মোবাশ্বেরা মাদ্রাসার উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উদযাপন

বন্ডি সমুদ্র সৈকতের হামলাকারী হায়দরাবাদের বাসিন্দা

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:২৪:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ৫ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডি সমুদ্র সৈকতে গুলির ঘটনায় নিহত বন্দুকধারী সাজিদ আকরাম ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর হায়দরাবাদের বাসিন্দা ছিলেন। তবে ভারতে থাকা পরিবারের সঙ্গে তার খুব বেশি যোগাযোগ ছিল না। মঙ্গলবার ভারতের পুলিশের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

তদন্তে হামলাকারীদের ব্যবহৃত গাড়িতে দুটি হাতে তৈরি আইএসআইএল পতাকা খুঁজে পাওয়ার পর পুলিশ এই হামলার পেছনে আইএসআইএলের মতাদর্শের অনুপ্রেরণা থাকতে পারে বলে মনে করছে।

যদিও কর্তৃপক্ষ এখনও তাদের পরিচয় নিশ্চিত করেনি। কিছু অস্ট্রেলীয় সংবাদমাধ্যম, যার মধ্যে এবিসি রয়েছেও তারা হামলাকারীদের নাম সাজিদ আকরাম (৫০) এবং নাভেদ আকরাম (২৪) বলে উল্লেখ করেছে। বিবিসি তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সাজিদ ভারতীয় পাসপোর্ট ব্যবহার করেছিলেন, অন্যদিকে নাভেদ অস্ট্রেলিয়ান পাসপোর্ট ব্যবহার করে ফিলিপাইন ভ্রমণ করেছিলেন।

পুলিশ জানিয়েছে, এই হামলায় জড়িত ছিলেন বাবা ও ছেলে। হামলায় কমপক্ষে ৪০ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় দুজন পুলিশ কর্মকর্তাও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। হামলার পরদিনই নিহতদের স্মরণে সারা দেশে শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

নিহতদের বয়স ১০ বছর থেকে শুরু করে ৮৭ বছরের মধ্যে ছিল। মৃতদের মধ্যে অন্যতম হলেন চাবাদ বন্ডির সহকারী রাবাই ইলাই শ্ল্যাঙ্গার। ৪১ বছর বয়সী এই ব্রিটিশ-বংশোদ্ভূত রাবাই গত ১৮ বছর ধরে সিডনিতে বসবাস করছিলেন এবং সম্প্রতি তিনি পঞ্চমবারের মতো বাবা হয়েছিলেন। তাঁর বন্ধু অ্যালেক্স রিভচিন তাঁকে “দয়া, অনুগ্রহ এবং উদারতার আলোয় আমাদের জীবন আলোকিত করা মানুষ” হিসাবে বর্ণনা করেছেন।

নিউ সাউথ ওয়েলসের পুলিশ কমিশনার ম্যাল ল্যানিয়ন সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, সন্দেহভাজনরা হলেন ৫০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি এবং তার ২৪ বছর বয়সী ছেলে। ঘটনাস্থলেই পুলিশের গুলিতে বাবা নিহত হন। ছেলে বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তার আঘাতের কারণে তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ আনা হতে পারে বলে পুলিশ ইঙ্গিত দিয়েছে। ল্যানিয়ন আরও জানান, নিহত বাবা একজন লাইসেন্সধারী আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারকারী ছিলেন এবং তার নামে ছয়টি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স ছিল।

 

 

 

 

 

 

 

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

বেগমগঞ্জ উপজেলায় জামায়াতের বিজয় র‍্যালীতে বাধভাঙ্গা উল্লাসে উপচে পড়া ভিড় ; ইনসাফে বাংলাদেশ গড়ার শপথ

বন্ডি সমুদ্র সৈকতের হামলাকারী হায়দরাবাদের বাসিন্দা

আপডেট সময় : ০৬:২৪:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডি সমুদ্র সৈকতে গুলির ঘটনায় নিহত বন্দুকধারী সাজিদ আকরাম ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর হায়দরাবাদের বাসিন্দা ছিলেন। তবে ভারতে থাকা পরিবারের সঙ্গে তার খুব বেশি যোগাযোগ ছিল না। মঙ্গলবার ভারতের পুলিশের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

তদন্তে হামলাকারীদের ব্যবহৃত গাড়িতে দুটি হাতে তৈরি আইএসআইএল পতাকা খুঁজে পাওয়ার পর পুলিশ এই হামলার পেছনে আইএসআইএলের মতাদর্শের অনুপ্রেরণা থাকতে পারে বলে মনে করছে।

যদিও কর্তৃপক্ষ এখনও তাদের পরিচয় নিশ্চিত করেনি। কিছু অস্ট্রেলীয় সংবাদমাধ্যম, যার মধ্যে এবিসি রয়েছেও তারা হামলাকারীদের নাম সাজিদ আকরাম (৫০) এবং নাভেদ আকরাম (২৪) বলে উল্লেখ করেছে। বিবিসি তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সাজিদ ভারতীয় পাসপোর্ট ব্যবহার করেছিলেন, অন্যদিকে নাভেদ অস্ট্রেলিয়ান পাসপোর্ট ব্যবহার করে ফিলিপাইন ভ্রমণ করেছিলেন।

পুলিশ জানিয়েছে, এই হামলায় জড়িত ছিলেন বাবা ও ছেলে। হামলায় কমপক্ষে ৪০ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় দুজন পুলিশ কর্মকর্তাও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। হামলার পরদিনই নিহতদের স্মরণে সারা দেশে শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

নিহতদের বয়স ১০ বছর থেকে শুরু করে ৮৭ বছরের মধ্যে ছিল। মৃতদের মধ্যে অন্যতম হলেন চাবাদ বন্ডির সহকারী রাবাই ইলাই শ্ল্যাঙ্গার। ৪১ বছর বয়সী এই ব্রিটিশ-বংশোদ্ভূত রাবাই গত ১৮ বছর ধরে সিডনিতে বসবাস করছিলেন এবং সম্প্রতি তিনি পঞ্চমবারের মতো বাবা হয়েছিলেন। তাঁর বন্ধু অ্যালেক্স রিভচিন তাঁকে “দয়া, অনুগ্রহ এবং উদারতার আলোয় আমাদের জীবন আলোকিত করা মানুষ” হিসাবে বর্ণনা করেছেন।

নিউ সাউথ ওয়েলসের পুলিশ কমিশনার ম্যাল ল্যানিয়ন সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, সন্দেহভাজনরা হলেন ৫০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি এবং তার ২৪ বছর বয়সী ছেলে। ঘটনাস্থলেই পুলিশের গুলিতে বাবা নিহত হন। ছেলে বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তার আঘাতের কারণে তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ আনা হতে পারে বলে পুলিশ ইঙ্গিত দিয়েছে। ল্যানিয়ন আরও জানান, নিহত বাবা একজন লাইসেন্সধারী আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারকারী ছিলেন এবং তার নামে ছয়টি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স ছিল।