ঢাকা ১১:৪১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫, ৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কালিয়াকৈরে রুমাইসা হাসপাতাল বন্ধের নির্দেশ বিজিবির নৌ-অভিযান: ৪০ হাজার ইয়াবাসহ ৩ রোহিঙ্গা আটক ধোপাখালীস্থ শশ্মানঘাটে কালীপূজোয় মেতে উঠেন সনাতন ধর্মের অনুসারীরা,পরিদর্শনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দরা টেকনাফের পাহাড়ে বিজিবির অভিযান, ৬ জিম্মি মুক্ত নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাবে আইআরআই সুপার ওভারে গড়াল টাইগারদের ম্যাচ অন্তর্বর্তী সরকারকে ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আদলে’ কাজ করার আহ্বান বিএনপির শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে যা বললেন প্রধান উপদেষ্টা অন্যায়ভাবে বাংলাদেশে এসে ভারতীয় জেলেদের মাছ ধরা বন্ধ করতে হবে সিদ্ধিরগঞ্জবাসীর আস্থার প্রতীক ট্রাস্ট হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক

সিদ্ধিরগঞ্জে ফেসবুকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে অপহরণ,মুক্তিপণ আদায়ে ৪ অপহরণকারী ‎গ্রেপ্তার

‎নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ফেসবুকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে এক যুবককে ডেকে এনে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় চার সদস্যের একটি প্রতারক চক্রকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
‎‎বুধবার রাতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের রসুলবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে অপহৃত মো. ওয়াসিম (৩০) ও তার বন্ধু মো. আল-আমিনকে উদ্ধার এবং অপহরণের সঙ্গে জড়িত চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযানের সময় অপহরণকারীদের হেফাজত থেকে উদ্ধার করা হয় নগদ ৫০ হাজার টাকা।
‎‎বৃহস্পতিবার ৩ জুলাই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ শাহীনুর আলম।
‎‎গ্রেফতারকৃতরা হলো মোসা. সুমাইয়া খাতুন (২০), মো. শাকিল (২৫), মো. ফাহিম হোসেন (২৭) ও হোসনেয়ারা (৩০)। তাদের মধ্যে সুমাইয়া রংপুর জেলার বদরগঞ্জ থানার শ্যামপুর গ্রামের জিল্লুর রহমানের মেয়ে, শাকিল কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার সবাহন গ্রামের মো. স্বপন মিয়ার ছেলে, ফাহিম নারায়ণগঞ্জের জাফরাবাদ গ্রামের মো. খালেকের ছেলে এবং হোসনেয়ারা পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার পেনাখালি গ্রামের মৃত তাহের আলী শেখের মেয়ে।
‎মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, অপহৃত ওয়াসিম নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার কাঁচপুর এলাকার বাসিন্দা। তার সঙ্গে অভিযুক্ত সুমাইয়ার ফেসবুকে পরিচয় হয় এবং পরবর্তীতে তাদের মধ্যে নিয়মিত মোবাইলে কথাবার্তা চলত। একপর্যায়ে ১ জুলাই দুপুরে সুমাইয়া ওয়াসিমকে দেখা করার কথা বলে রসুলবাগ এলাকার ঈগল বাড়ির সামনে ডেকে আনে। ওয়াসিম বন্ধু আল-আমিনকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে গেলে, পূর্বপরিকল্পিতভাবে মো. শাকিল, মো. ফাহিম, হোসনেয়ারা ও আরও কয়েকজন মিলে তাদের জোরপূর্বক একটি ভাড়া বাসায় নিয়ে আটকে রাখে। পরে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।
‎‎ভয়ে এবং নির্যাতনের মুখে ওয়াসিম নিজের কাছে থাকা ৩ হাজার ৫০০ টাকা এবং আল-আমিন ৪৬ হাজার ৫০০ টাকা তুলে দেয়। পরে আল-আমিনের বিকাশ একাউন্ট থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা ০১৮৩৫-৪৪৩৬৩৬ নাম্বারে পাঠানো হয়, যা ছিল একটি মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস এজেন্ট নম্বর। এরপর সোহেল নামে এক বন্ধু ৯ হাজার ৮২০ টাকা এবং আরেক বন্ধু ইয়াকুব ১৯ হাজার ৯৫০ টাকা পাঠান অপহরণকারীদের আরেকটি বিকাশ এজেন্ট নাম্বারে, যার নম্বর ছিল ০১৭৮৮-৯৬৭৭৩১। মোট ৮২ হাজার ২৩০ টাকা হাতিয়ে নেয় চক্রটি।
‎‎ভুক্তভোগীদের পরিবার পুলিশকে জানালে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই)
‎বজলুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে রাতেই অভিযান চালান এবং অপহৃতদের উদ্ধার করেন। একই সঙ্গে অপহরণকারী চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার ও ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
‎‎ওসি শাহীনুর আলম বলেন, “মোবাইল ফোনে প্রেমের অভিনয় করে ফাঁদ পেতে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায় করছিল এই চক্র। আমরা নজরদারিতে রেখেছিলাম। সুযোগমতো অভিযান চালিয়ে অপহৃতদের উদ্ধার এবং চারজনকে আটক করতে সক্ষম হয়েছি।” তিনি আরও বলেন, “এই ধরনের অপরাধ থেকে রক্ষা পেতে সবাইকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সচেতনভাবে চলাফেরা করতে হবে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে বৃহস্পতিবার আদালতে পাঠানো হয়েছে।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

কালিয়াকৈরে রুমাইসা হাসপাতাল বন্ধের নির্দেশ

সিদ্ধিরগঞ্জে ফেসবুকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে অপহরণ,মুক্তিপণ আদায়ে ৪ অপহরণকারী ‎গ্রেপ্তার

আপডেট সময় : ০৬:২৭:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৪ জুলাই ২০২৫

‎নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ফেসবুকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে এক যুবককে ডেকে এনে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় চার সদস্যের একটি প্রতারক চক্রকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
‎‎বুধবার রাতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের রসুলবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে অপহৃত মো. ওয়াসিম (৩০) ও তার বন্ধু মো. আল-আমিনকে উদ্ধার এবং অপহরণের সঙ্গে জড়িত চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযানের সময় অপহরণকারীদের হেফাজত থেকে উদ্ধার করা হয় নগদ ৫০ হাজার টাকা।
‎‎বৃহস্পতিবার ৩ জুলাই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ শাহীনুর আলম।
‎‎গ্রেফতারকৃতরা হলো মোসা. সুমাইয়া খাতুন (২০), মো. শাকিল (২৫), মো. ফাহিম হোসেন (২৭) ও হোসনেয়ারা (৩০)। তাদের মধ্যে সুমাইয়া রংপুর জেলার বদরগঞ্জ থানার শ্যামপুর গ্রামের জিল্লুর রহমানের মেয়ে, শাকিল কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার সবাহন গ্রামের মো. স্বপন মিয়ার ছেলে, ফাহিম নারায়ণগঞ্জের জাফরাবাদ গ্রামের মো. খালেকের ছেলে এবং হোসনেয়ারা পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার পেনাখালি গ্রামের মৃত তাহের আলী শেখের মেয়ে।
‎মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, অপহৃত ওয়াসিম নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার কাঁচপুর এলাকার বাসিন্দা। তার সঙ্গে অভিযুক্ত সুমাইয়ার ফেসবুকে পরিচয় হয় এবং পরবর্তীতে তাদের মধ্যে নিয়মিত মোবাইলে কথাবার্তা চলত। একপর্যায়ে ১ জুলাই দুপুরে সুমাইয়া ওয়াসিমকে দেখা করার কথা বলে রসুলবাগ এলাকার ঈগল বাড়ির সামনে ডেকে আনে। ওয়াসিম বন্ধু আল-আমিনকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে গেলে, পূর্বপরিকল্পিতভাবে মো. শাকিল, মো. ফাহিম, হোসনেয়ারা ও আরও কয়েকজন মিলে তাদের জোরপূর্বক একটি ভাড়া বাসায় নিয়ে আটকে রাখে। পরে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।
‎‎ভয়ে এবং নির্যাতনের মুখে ওয়াসিম নিজের কাছে থাকা ৩ হাজার ৫০০ টাকা এবং আল-আমিন ৪৬ হাজার ৫০০ টাকা তুলে দেয়। পরে আল-আমিনের বিকাশ একাউন্ট থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা ০১৮৩৫-৪৪৩৬৩৬ নাম্বারে পাঠানো হয়, যা ছিল একটি মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস এজেন্ট নম্বর। এরপর সোহেল নামে এক বন্ধু ৯ হাজার ৮২০ টাকা এবং আরেক বন্ধু ইয়াকুব ১৯ হাজার ৯৫০ টাকা পাঠান অপহরণকারীদের আরেকটি বিকাশ এজেন্ট নাম্বারে, যার নম্বর ছিল ০১৭৮৮-৯৬৭৭৩১। মোট ৮২ হাজার ২৩০ টাকা হাতিয়ে নেয় চক্রটি।
‎‎ভুক্তভোগীদের পরিবার পুলিশকে জানালে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই)
‎বজলুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে রাতেই অভিযান চালান এবং অপহৃতদের উদ্ধার করেন। একই সঙ্গে অপহরণকারী চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার ও ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
‎‎ওসি শাহীনুর আলম বলেন, “মোবাইল ফোনে প্রেমের অভিনয় করে ফাঁদ পেতে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায় করছিল এই চক্র। আমরা নজরদারিতে রেখেছিলাম। সুযোগমতো অভিযান চালিয়ে অপহৃতদের উদ্ধার এবং চারজনকে আটক করতে সক্ষম হয়েছি।” তিনি আরও বলেন, “এই ধরনের অপরাধ থেকে রক্ষা পেতে সবাইকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সচেতনভাবে চলাফেরা করতে হবে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে বৃহস্পতিবার আদালতে পাঠানো হয়েছে।