ঢাকা ০৩:১৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫, ৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কালিয়াকৈরে রুমাইসা হাসপাতাল বন্ধের নির্দেশ বিজিবির নৌ-অভিযান: ৪০ হাজার ইয়াবাসহ ৩ রোহিঙ্গা আটক ধোপাখালীস্থ শশ্মানঘাটে কালীপূজোয় মেতে উঠেন সনাতন ধর্মের অনুসারীরা,পরিদর্শনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দরা টেকনাফের পাহাড়ে বিজিবির অভিযান, ৬ জিম্মি মুক্ত নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাবে আইআরআই সুপার ওভারে গড়াল টাইগারদের ম্যাচ অন্তর্বর্তী সরকারকে ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আদলে’ কাজ করার আহ্বান বিএনপির শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে যা বললেন প্রধান উপদেষ্টা অন্যায়ভাবে বাংলাদেশে এসে ভারতীয় জেলেদের মাছ ধরা বন্ধ করতে হবে সিদ্ধিরগঞ্জবাসীর আস্থার প্রতীক ট্রাস্ট হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক

আমরা বাংলাদেশকে শত্রু মনে করি না: ত্রিপুরার মন্ত্রী

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:১৪:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫
  • ২২ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ‘‘আমরা বাংলাদেশকে শত্রু মনে করি না। তাই ভুলে গেলে চলবে না, ভারতই বাংলাদেশের জন্মের সময় তাকে বিশ্ব মানচিত্রে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্থান পেতে সহায়তা করেছিল।’’ বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে এমন মন্তব্য করেছেন ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরার খাদ্য ও বেসামরিক সরবরাহ বিষয়ক মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।

রোববার দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়ার (পিটিআই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির কারণে ত্রিপুরায় কোটি কোটি টাকার অবকাঠামো অকার্যকর হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।

ইন্ডিয়ান বিল্ডিং কংগ্রেসের ত্রিপুরা চ্যাপ্টারের এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয় রাজ্যের ওই মন্ত্রী বলেন, শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য দুই দেশের মানুষের মাঝে সংলাপ হওয়া জরুরি।

সুশান্ত চৌধুরী বলেন, ‘‘ত্রিপুরা একটি স্থলবেষ্টিত রাজ্য; যার প্রতিবেশী বাংলাদেশ। বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি আমাদের জন্য উদ্বেগজনক। আমরা বাংলাদেশকে শত্রু মনে করি না। ভুলে গেলে চলবে না, ভারতই বাংলাদেশের জন্মের সময় তাকে বিশ্ব মানচিত্রে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্থান পেতে সহায়তা করেছিল।’’

তিনি বলেন, ‘‘আগের ভালো দিনগুলো যাতে ফিরে আসে, সেজন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে আমাদের প্রার্থনা করা উচিত। কারণ, সাবরুমের মৈত্রী সেতু ও শ্রীমন্তপুরের স্থলবন্দরে কোটি কোটি রুপির অবকাঠামো এখন অকার্যকর হয়ে আছে। শান্তি, সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতার জন্য দুই দেশের মধ্যে অবশ্যই সংলাপ হতে হবে।’’

ফেনী নদীর ওপর নির্মিত মৈত্রী সেতু আন্তর্জাতিক সীমান্তের ভারত-বাংলাদেশকে দুই দিক থেকে সংযুক্ত করেছে। এর মাধ্যমে ত্রিপুরা সীমান্ত থেকে মাত্র ৮০ কিলোমিটার দূরে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য পরিবহন করা যায়। কিন্তু এই সেতু এখন কার্যত অচল হয়ে পড়ে আছে। কৌশলগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ আগরতলা-আখাউড়া রেলপথও এখনও চালু করা সম্ভব হয়নি। যে কারণে ভারতের এই রাজ্যের অর্থনীতিতে এর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে।

চলতি মাসের শুরুর দিকে ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ রিয়াজ হামিদুল্লাহ ত্রিপুরা সফর করেন। ওই সময় তিনি ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার সঙ্গে বৈঠক করেন। সফরে গিয়ে ফেনী নদীর ওপর নির্মিত মৈত্রী সেতু ও আগরতলা-আখাউড়া রেললাইনও পরিদর্শন করেন তিনি। এই দুই প্রকল্প শিগগিরই চালু হতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

সূত্র: পিটিআই।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

কালিয়াকৈরে রুমাইসা হাসপাতাল বন্ধের নির্দেশ

আমরা বাংলাদেশকে শত্রু মনে করি না: ত্রিপুরার মন্ত্রী

আপডেট সময় : ১১:১৪:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ‘‘আমরা বাংলাদেশকে শত্রু মনে করি না। তাই ভুলে গেলে চলবে না, ভারতই বাংলাদেশের জন্মের সময় তাকে বিশ্ব মানচিত্রে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্থান পেতে সহায়তা করেছিল।’’ বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে এমন মন্তব্য করেছেন ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরার খাদ্য ও বেসামরিক সরবরাহ বিষয়ক মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।

রোববার দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়ার (পিটিআই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির কারণে ত্রিপুরায় কোটি কোটি টাকার অবকাঠামো অকার্যকর হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।

ইন্ডিয়ান বিল্ডিং কংগ্রেসের ত্রিপুরা চ্যাপ্টারের এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয় রাজ্যের ওই মন্ত্রী বলেন, শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য দুই দেশের মানুষের মাঝে সংলাপ হওয়া জরুরি।

সুশান্ত চৌধুরী বলেন, ‘‘ত্রিপুরা একটি স্থলবেষ্টিত রাজ্য; যার প্রতিবেশী বাংলাদেশ। বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি আমাদের জন্য উদ্বেগজনক। আমরা বাংলাদেশকে শত্রু মনে করি না। ভুলে গেলে চলবে না, ভারতই বাংলাদেশের জন্মের সময় তাকে বিশ্ব মানচিত্রে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্থান পেতে সহায়তা করেছিল।’’

তিনি বলেন, ‘‘আগের ভালো দিনগুলো যাতে ফিরে আসে, সেজন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে আমাদের প্রার্থনা করা উচিত। কারণ, সাবরুমের মৈত্রী সেতু ও শ্রীমন্তপুরের স্থলবন্দরে কোটি কোটি রুপির অবকাঠামো এখন অকার্যকর হয়ে আছে। শান্তি, সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতার জন্য দুই দেশের মধ্যে অবশ্যই সংলাপ হতে হবে।’’

ফেনী নদীর ওপর নির্মিত মৈত্রী সেতু আন্তর্জাতিক সীমান্তের ভারত-বাংলাদেশকে দুই দিক থেকে সংযুক্ত করেছে। এর মাধ্যমে ত্রিপুরা সীমান্ত থেকে মাত্র ৮০ কিলোমিটার দূরে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য পরিবহন করা যায়। কিন্তু এই সেতু এখন কার্যত অচল হয়ে পড়ে আছে। কৌশলগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ আগরতলা-আখাউড়া রেলপথও এখনও চালু করা সম্ভব হয়নি। যে কারণে ভারতের এই রাজ্যের অর্থনীতিতে এর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে।

চলতি মাসের শুরুর দিকে ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ রিয়াজ হামিদুল্লাহ ত্রিপুরা সফর করেন। ওই সময় তিনি ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার সঙ্গে বৈঠক করেন। সফরে গিয়ে ফেনী নদীর ওপর নির্মিত মৈত্রী সেতু ও আগরতলা-আখাউড়া রেললাইনও পরিদর্শন করেন তিনি। এই দুই প্রকল্প শিগগিরই চালু হতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

সূত্র: পিটিআই।