ঢাকা ০৩:১২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫, ৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কালিয়াকৈরে রুমাইসা হাসপাতাল বন্ধের নির্দেশ বিজিবির নৌ-অভিযান: ৪০ হাজার ইয়াবাসহ ৩ রোহিঙ্গা আটক ধোপাখালীস্থ শশ্মানঘাটে কালীপূজোয় মেতে উঠেন সনাতন ধর্মের অনুসারীরা,পরিদর্শনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দরা টেকনাফের পাহাড়ে বিজিবির অভিযান, ৬ জিম্মি মুক্ত নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাবে আইআরআই সুপার ওভারে গড়াল টাইগারদের ম্যাচ অন্তর্বর্তী সরকারকে ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আদলে’ কাজ করার আহ্বান বিএনপির শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে যা বললেন প্রধান উপদেষ্টা অন্যায়ভাবে বাংলাদেশে এসে ভারতীয় জেলেদের মাছ ধরা বন্ধ করতে হবে সিদ্ধিরগঞ্জবাসীর আস্থার প্রতীক ট্রাস্ট হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক

চীনের ওপর ২০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি ট্রাম্পের

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:০২:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫
  • ৬৩ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: শুল্ক যুদ্ধে মেতেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর সেখানে যেন টার্গেটে পরিনত করেছে কিছু দেশকে। যে তালিকায় এতদিন আলোচনায় ছিল ভারতের নাম। এবার ভারতের চেয়ে ৪ গুণ বেশি শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারি দিলো চীনকে। কিন্তু প্রশ্ন হল, হঠাত করেই এত নাখোশ হওয়ার কারণ কী? এ নিয়ে বেশ কিছু কারণ দেখিয়েছেন বিশ্লেষকরা।

ট্রাম্প বলেছেন, ‘চীন যদি আমাদের ম্যাগনেট না দেয়, তবে তাদের ওপর ২০০ শতাংশ শুল্ক বসাতে হবে বা এ রকম কিছু করতে হবে।’ দুই দেশের বাণিজ্য যুদ্ধের মধ্যে এমন মন্তব্য এলো যখন বিরল খনিজ ও চুম্বকের সরবরাহ নিয়ে কড়াকড়ি আরোপ করেছে চীন। চলতি বছরের এপ্রিলে দেশটি বিরল খনিজের কয়েকটি পণ্য ও চুম্বককে রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক বাড়ানোর পাল্টা জবাব হিসেবেই এ পদক্ষেপ নেয় বেইজিং। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা বলছে, দুর্লভ খনিজ উপাদান নিয়ে বেইজিং অত্যন্ত সংবেদনশীল। গত এপ্রিল মাসে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক বৃদ্ধির পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে চীন বেশ কিছু দুর্লভ খনিজ ও ম্যাগনেট রপ্তানিতে সীমাবদ্ধতা আরোপ করে। বর্তমানে বৈশ্বিক ম্যাগনেট বাজারের প্রায় ৯০ শতাংশই চীনের দখলে। এসব উপাদান সেমিকন্ডাক্টর চিপসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ পণ্যে অপরিহার্য, যার ব্যবহার রয়েছে স্মার্টফোনের মতো প্রযুক্তিপণ্যে।

সম্প্রতি ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশে চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক কার্যকরের সময়সীমা বাড়িয়েছেন আরও ৯০ দিন, যাতে উভয়পক্ষের মধ্যে আলোচনার আরও সুযোগ তৈরি হয়। এ আদেশ না হলে শুল্কের হার ১৪৫ শতাংশে পৌঁছাত। এর আগে গত মে মাসে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন সমঝোতায় এসেছিল যে, শুল্ক হার ১২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশে আনা হবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আরোপ করা হবে ৩০ শতাংশ শুল্ক।

বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে চলমান শুল্ক বিরোধের প্রেক্ষাপটে ট্রাম্পের নতুন হুমকি পরিস্থিতিকে আবারও জটিল করবে বলেই মনে হচ্ছে।

সূত্র: আল জাজিরা

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

কালিয়াকৈরে রুমাইসা হাসপাতাল বন্ধের নির্দেশ

চীনের ওপর ২০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি ট্রাম্পের

আপডেট সময় : ১২:০২:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: শুল্ক যুদ্ধে মেতেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর সেখানে যেন টার্গেটে পরিনত করেছে কিছু দেশকে। যে তালিকায় এতদিন আলোচনায় ছিল ভারতের নাম। এবার ভারতের চেয়ে ৪ গুণ বেশি শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারি দিলো চীনকে। কিন্তু প্রশ্ন হল, হঠাত করেই এত নাখোশ হওয়ার কারণ কী? এ নিয়ে বেশ কিছু কারণ দেখিয়েছেন বিশ্লেষকরা।

ট্রাম্প বলেছেন, ‘চীন যদি আমাদের ম্যাগনেট না দেয়, তবে তাদের ওপর ২০০ শতাংশ শুল্ক বসাতে হবে বা এ রকম কিছু করতে হবে।’ দুই দেশের বাণিজ্য যুদ্ধের মধ্যে এমন মন্তব্য এলো যখন বিরল খনিজ ও চুম্বকের সরবরাহ নিয়ে কড়াকড়ি আরোপ করেছে চীন। চলতি বছরের এপ্রিলে দেশটি বিরল খনিজের কয়েকটি পণ্য ও চুম্বককে রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক বাড়ানোর পাল্টা জবাব হিসেবেই এ পদক্ষেপ নেয় বেইজিং। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা বলছে, দুর্লভ খনিজ উপাদান নিয়ে বেইজিং অত্যন্ত সংবেদনশীল। গত এপ্রিল মাসে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক বৃদ্ধির পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে চীন বেশ কিছু দুর্লভ খনিজ ও ম্যাগনেট রপ্তানিতে সীমাবদ্ধতা আরোপ করে। বর্তমানে বৈশ্বিক ম্যাগনেট বাজারের প্রায় ৯০ শতাংশই চীনের দখলে। এসব উপাদান সেমিকন্ডাক্টর চিপসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ পণ্যে অপরিহার্য, যার ব্যবহার রয়েছে স্মার্টফোনের মতো প্রযুক্তিপণ্যে।

সম্প্রতি ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশে চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক কার্যকরের সময়সীমা বাড়িয়েছেন আরও ৯০ দিন, যাতে উভয়পক্ষের মধ্যে আলোচনার আরও সুযোগ তৈরি হয়। এ আদেশ না হলে শুল্কের হার ১৪৫ শতাংশে পৌঁছাত। এর আগে গত মে মাসে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন সমঝোতায় এসেছিল যে, শুল্ক হার ১২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশে আনা হবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আরোপ করা হবে ৩০ শতাংশ শুল্ক।

বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে চলমান শুল্ক বিরোধের প্রেক্ষাপটে ট্রাম্পের নতুন হুমকি পরিস্থিতিকে আবারও জটিল করবে বলেই মনে হচ্ছে।

সূত্র: আল জাজিরা