সাজাদুর রহমান সাজু ,গাইবান্ধা: উত্তরাঞ্চলের অবহেলিত জেলা গাইবান্ধা। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে এই অঞ্চলে উন্নয়নের ছোঁয়া খুব সীমিত। তবে মানুষের রাজনৈতিক সচেতনতা এবং সংগ্রামী মনোভাব কখনোই কমে যায়নি। স্বাধীনতার পর থেকে গাইবান্ধা ছিলেন উত্তরের আন্দোলনের পুকুর, যেখানে ইতিহাসই বলে যে এই জেলায় যখন আন্দোলন শুরু হয়, তখন উত্তরাঞ্চলের অন্যান্য জেলাগুলোও সাড়া দেয়। অবকাঠামোগত উন্নয়ন সীমিত হলেও মানুষের রাজনৈতিক প্রজ্ঞা এবং ন্যায়ের প্রতি তাদের অটল মনোভাব একে বিশেষ করেছে।
বিগত ১৭ বছরে গাইবান্ধায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি এবং জামায়াত ইসলামী সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে। এই অঞ্চলের মানুষ যে সহজে ভোঁতা নয়, তা প্রমাণিত। তারা রাজনৈতিকভাবে তীক্ষ্ণ, আন্দোলন-সংগ্রামের ক্ষেত্রে অদম্য এবং প্রায়শই দেশের রাজনীতির আয়নায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করে।
গাইবান্ধা জেলায় মোট সাতটি উপজেলা রয়েছে। এসব উপজেলা নিয়ে গঠিত পাঁচটি সংসদীয় আসনের মধ্যে গাইবান্ধা ২ সদর আসন বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, এই আসনে যদি বিএনপি শক্ত অবস্থান ধরে রাখে, তা উত্তরাঞ্চলের রাজনৈতিক চিত্রে সরাসরি প্রভাব ফেলবে।
এবার আসি আসন নিয়ে নির্বাচনী হালচালের দিকে। আসনটিতে জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে ইতিমধ্যেই মনোনীত হয়েছেন আব্দুল করিম সরকার। তবে বিএনপির ঘরানায় পরিস্থিতি কিছুটা জটিল। মনোনয়নের জন্য গাইবান্ধার হেভিয়েট কয়েকজন নেতা দৌড়ঝাপ শুরু করেছেন। কিন্তু মাঠ পর্যায়ের জরিপে দেখা যায়, তাদের সবচেয় ও যোগ্য ব্যক্তি হবেন জননেতা আনিসুজ্জামান খান বাবু কারণ জেলা বিএনপি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি সদস্য সচিব আহ্বায়ক সাধারণ সম্পাদক এবং সফল সভাপতি দায়িত্ব পালনকালে বিগত ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে গাইবান্ধায় দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলেন এবং তিনি নিজে দেশের সবচেয়ে বড় একটি মামলা ৮ মার্ডার সহ বেশ কিছু মামলার আসামি হয় কারাবরণ করেন এবার জেনে নেই কে এই আনিসুজ্জামান খান বাবু —
আনিসুজ্জামান খান বাবু গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির গ্রাম সরকার বিষয়ক সম্পাদক। তিনি ছাত্রদল থেকে শুরু করে শ্রমিক আন্দোলন ও মানবাধিকার কর্মী হিসেবে পরিচিত। ২০১৮ সালে গাইবান্ধা সদর-২ আসন থেকে মনোনয়ন পেয়েও রাজনৈতিক প্রতিকূলতার কারণে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারেননি। তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা, তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক এবং দলের প্রতি আনুগত্য তাঁকে এই আসনের প্রকৃত দাবিদার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
আনিসুজ্জামান খান বাবু শুধুমাত্র একজন রাজনৈতিক নেতা নন; তিনি তৃণমূলের নেতা, শ্রমিকদের বন্ধু, সাধারণ মানুষের সহায়ক। ছাত্রদল থেকে শুরু করে জীবনের সমস্ত সময় তিনি বিএনপির জন্য উৎসর্গ করেছেন। নিজের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে তিনি কখনো স্বার্থপর ছিলেন না। গাইবান্ধার তৃণমূলের আস্থা ও ভালোবাসার কেন্দ্রে বাবু অবস্থান করেন। বহুবার কারাবাসের শাস্তি, রাজনৈতিক প্রতিকূলতা এবং নানা ধরণের চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও তিনি কখনো জনগণের পাশে দাঁড়ানো বন্ধ করেননি।
ইতিমধ্যে আনিসুজ্জামান খান বাবু সদরের প্রতিটি গ্রামগঞ্জে বিএনপির রাষ্ট্রীয় কাঠামোর ৩১ দফা প্রচার করছেন। এবং বিএনপি’র পক্ষে জনমত গড়ে তুলতে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। বিগত ১৮ সালের নির্বাচনে আনিসুজ্জামান খান বাবু এই আসন থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন।
আনিসুজ্জামান খান বাবুর জন্য আসনটি কেবল ক্ষমতার প্রতীক নয়, বরং মানুষের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিজ্ঞা। রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং তৃণমূল বিএনপি মনে করেন, যদি আনিসুজ্জামান খান বাবুকে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে মনোনয়ন দেয়, তাহলে এই আসনটি বিএনপি থেকে হাতছাড়া হতে পারে। বাবু ছাড়া কেউ এ আসনের প্রকৃত দাবিদার নয়।
মোহাম্মদ তারেকুজ্জামান তারেক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক, ছাত্রদল গাইবান্ধা জেলা শাখা এবং সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল বলেন, “আনিসুজ্জামান খান বাবু তৃণমূলের মধ্যে এমন একজন নেতা যিনি সারা জীবন দলের জন্য নিরলসভাবে কাজ করেছেন। তৃণমূল থেকে শুরু করে শ্রমিক, যুবক, সাধারণ মানুষ—সবার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক গভীর। তিনি যদি এই আসন থেকে মনোনয়ন পান, তবে আমাদের দল একত্রিত হয়ে শক্ত অবস্থান নিতে পারবে। তার নেতৃত্বই আমাদের জেলায় একতা ও আস্থা ফিরিয়ে আনবে।”
আব্দুর রাজ্জাক ভুট্টু, সাধারণ সম্পাদক, জেলা যুবদল গাইবান্ধা বলেন, “বাবু শুধু রাজনৈতিক নেতা নন; তিনি মানুষের নেতা। প্রতিটি ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ তাঁকে চেনে, ভালোবাসে এবং বিশ্বাস করে। তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে জনগণ সত্যিই ন্যায়ের পক্ষে অবস্থান করছে। গাইবান্ধা-২ আসনে তাঁর মনোনয়ন নিশ্চিত করতে হবে, না হলে বহু মানুষের আস্থা হারাবে।”
লিয়াকত আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক, জেলা ছাত্রদল গাইবান্ধা মন্তব্য করেন, “রাজনীতিতে কখনো গ্রুপিং ও ভেদাভেদ থাকে। কিন্তু বাবুর মতো একজন নেতা থাকলে এই সব বিভেদ স্বয়ংক্রিয়ভাবে দূর হয়। তিনি দলের নীতি, মানুষের কল্যাণ এবং ন্যায়ের সঙ্গে পুরোপুরি একাত্ম। এই আসনে তাঁর মনোনয়ন দলকে এক ঐক্যবদ্ধ এবং শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছে দেবে।”
বাবুর রাজনৈতিক পরিচিতি শুধু বিএনপির সঙ্গে সীমাবদ্ধ নয়। তিনি সবসময় সামাজিক অসংগতি, মানবাধিকার, এবং শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষায় সক্রিয়। গাইবান্ধার মানুষ তাঁকে জানে, ভালোবাসে এবং বিশ্বাস করে। তিনি শুধু নেতা নন; তিনি মানুষের পাশে থাকা এক অক্লান্ত যোদ্ধা।
রাজনীতিতে ভেদাভেদ ও গ্রুপিং থাকলেও, বাবু যদি মনোনয়ন পান, তা সব বিভেদ দূর করবে। সকলেই তাঁর পক্ষে কাজ করবেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, এই আসনে বাবুর নেতৃত্বে বিএনপি ঐক্যবদ্ধ হবে এবং নির্বাচনে শক্ত অবস্থান নিশ্চিত হবে।
গাইবান্ধার মানুষ, রাজনৈতিক কর্মী ও বিশ্লেষকরা একমত: বলছেন, এই আসনের প্রকৃত দাবিদার আনিসুজ্জামান খান বাবু। তিনি কেবল রাজনৈতিক নেতা নন, বরং মানুষের প্রতি দায়িত্ব ও ভালোবাসার এক অনন্য উদাহরণ। তাঁর পাশে দাঁড়ানো মানে জনগণের পাশে দাঁড়ানো।