ঢাকা ০১:৪৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
৫০০ বছরে প্রথম, পোপের সঙ্গে প্রার্থনায় অংশ নেবেন ব্রিটিশ রাজা বাবা হয়েছেন জেমস, জানালেন নতুন বিয়ের খবর প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেছে এনসিপির চার নেতা নির্বাচনের আগে অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ ভ্রান্ত তথ্য : প্রধান উপদেষ্টা ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য ৬০ ঘণ্টা প্রশিক্ষণ নিতে হবে, মিলবে ভাতা রূপগঞ্জে নিরাপদ সড়ক দিবস-২০২৫ অনুষ্ঠিত টেকনাফে সশস্ত্র দুর্বৃত্তদের কবল থেকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী ও অটোরিকশা উদ্ধার টেকনাফ মেরিন ড্রাইভে ২৯ ভুক্তভোগী উদ্ধার, মানব পাচারকারী ৩ জন আটক এজাহারনামীয় আসামি শুভ র‍্যাব-১১ হাতে গ্রেফতার পটুয়াখালীতে সড়ক ও জনপথ কর্মচারীদের ৫ দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন

টেকনাফে বিজিবির অভিযানে ৬ মানব পাচারকারী আটক

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৫৫:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৫
  • ৩৮ বার পড়া হয়েছে

ফরহাদ রহমান.টেকনাফ: সীমান্তে মানব পাচার ও মাদক প্রতিরোধে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জিরো টলারেন্স নীতি আবারও কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর একটি বিশেষ অভিযানে শাহপরীরদ্বীপের মিস্ত্রিপাড়া এলাকা থেকে মানব পাচার চক্রের ছয়জন সক্রিয় সদস্যকে আটক করেছে বিজিবি।

বিজিবির তৎপরতায় মিয়ানমার থেকে অবৈধভাবে লোকজন বাংলাদেশে পাচারের একটি বড় পরিকল্পনা ভেস্তে যায় বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান, পিএসসি  জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার (৪ অক্টোবর) রাতে শাহপরীরদ্বীপের মিস্ত্রিপাড়া এলাকায় অভিযান চালানো হয়। খবর ছিল, মিয়ানমার থেকে পাচার করে আনা কিছু বিদেশি নাগরিককে স্থানীয় একটি বাড়িতে লুকিয়ে রাখা হয়েছে এবং পরে তাঁদের বিভিন্ন ক্যাম্পে সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।

খবর পাওয়ার পর বিজিবির একটি দল দ্রুত অভিযানে নামে। এ সময় পাচারকারীদের দুইজন পালিয়ে যায়। তবে বাড়ির মালিক মোছাঃ শামসুন্নাহারসহ ছয়জনকে আটক করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শামসুন্নাহার স্বীকার করেছেন, তিনি টাকার বিনিময়ে পাচারকৃত লোকজনকে তার বাড়িতে আশ্রয় দিতেন। অন্যরা জানিয়েছেন, তাঁরা মিয়ানমার থেকে লোকজন এনে বিভিন্ন ক্যাম্পে স্থানান্তর করতেন এবং মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে তাদের FDMN (Forcibly Displaced Myanmar Nationals) কার্ড সংগ্রহে সহায়তা করতেন।

আটক ছয়জনকে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে এবং তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছে বিজিবি।

আটক ব্যক্তিরা হলেন-

১. মোছাঃ শামসুন্নাহার (৩৫), স্বামী–মোহাম্মদ আখের (প্রবাসী), গ্রাম–মিস্ত্রিপাড়া, ইউনিয়ন–সাবরাং, টেকনাফ।
২. হোসনে আরা (৩১), স্বামী–মৃত জালাল, ২০ নম্বর বালুখালী এফডিএমএন ক্যাম্প, উখিয়া।
৩. নুরুন্নিসা (৪৯), স্বামী–মৃত সৈয়দ আকবর, ২৬ নম্বর শালবাগান এফডিএমএন ক্যাম্প, টেকনাফ।
৪. মোহাম্মদ ইসমাইল (৫০), পিতা–আবুল হাসেম, ২০ নম্বর বালুখালী ক্যাম্প, উখিয়া।
৫. হারুন (৩৫), পিতা–আবু সামাদ, ১৫ নম্বর জামতলি ক্যাম্প, উখিয়া।
৬. ইউসুফ আলী (৪৭), পিতা–সৈয়দ আহমেদ, ২৬ নম্বর শালবাগান ক্যাম্প, টেকনাফ।

পলাতক দুইজন

১. কালু মিয়া (৩৫)
২. হাশেম মোল্লা (২৫)
এ ছাড়া অজ্ঞাত আরও দুইজনের সন্ধান চলছে।

বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়, টেকনাফ ব্যাটালিয়নের এই অভিযানটি মাদক ও মানব পাচারের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির বাস্তব প্রয়াস। সীমান্তে অপরাধ দমন ও জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষায় এমন অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

৫০০ বছরে প্রথম, পোপের সঙ্গে প্রার্থনায় অংশ নেবেন ব্রিটিশ রাজা

টেকনাফে বিজিবির অভিযানে ৬ মানব পাচারকারী আটক

আপডেট সময় : ১১:৫৫:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৫

ফরহাদ রহমান.টেকনাফ: সীমান্তে মানব পাচার ও মাদক প্রতিরোধে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জিরো টলারেন্স নীতি আবারও কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর একটি বিশেষ অভিযানে শাহপরীরদ্বীপের মিস্ত্রিপাড়া এলাকা থেকে মানব পাচার চক্রের ছয়জন সক্রিয় সদস্যকে আটক করেছে বিজিবি।

বিজিবির তৎপরতায় মিয়ানমার থেকে অবৈধভাবে লোকজন বাংলাদেশে পাচারের একটি বড় পরিকল্পনা ভেস্তে যায় বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান, পিএসসি  জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার (৪ অক্টোবর) রাতে শাহপরীরদ্বীপের মিস্ত্রিপাড়া এলাকায় অভিযান চালানো হয়। খবর ছিল, মিয়ানমার থেকে পাচার করে আনা কিছু বিদেশি নাগরিককে স্থানীয় একটি বাড়িতে লুকিয়ে রাখা হয়েছে এবং পরে তাঁদের বিভিন্ন ক্যাম্পে সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।

খবর পাওয়ার পর বিজিবির একটি দল দ্রুত অভিযানে নামে। এ সময় পাচারকারীদের দুইজন পালিয়ে যায়। তবে বাড়ির মালিক মোছাঃ শামসুন্নাহারসহ ছয়জনকে আটক করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শামসুন্নাহার স্বীকার করেছেন, তিনি টাকার বিনিময়ে পাচারকৃত লোকজনকে তার বাড়িতে আশ্রয় দিতেন। অন্যরা জানিয়েছেন, তাঁরা মিয়ানমার থেকে লোকজন এনে বিভিন্ন ক্যাম্পে স্থানান্তর করতেন এবং মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে তাদের FDMN (Forcibly Displaced Myanmar Nationals) কার্ড সংগ্রহে সহায়তা করতেন।

আটক ছয়জনকে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে এবং তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছে বিজিবি।

আটক ব্যক্তিরা হলেন-

১. মোছাঃ শামসুন্নাহার (৩৫), স্বামী–মোহাম্মদ আখের (প্রবাসী), গ্রাম–মিস্ত্রিপাড়া, ইউনিয়ন–সাবরাং, টেকনাফ।
২. হোসনে আরা (৩১), স্বামী–মৃত জালাল, ২০ নম্বর বালুখালী এফডিএমএন ক্যাম্প, উখিয়া।
৩. নুরুন্নিসা (৪৯), স্বামী–মৃত সৈয়দ আকবর, ২৬ নম্বর শালবাগান এফডিএমএন ক্যাম্প, টেকনাফ।
৪. মোহাম্মদ ইসমাইল (৫০), পিতা–আবুল হাসেম, ২০ নম্বর বালুখালী ক্যাম্প, উখিয়া।
৫. হারুন (৩৫), পিতা–আবু সামাদ, ১৫ নম্বর জামতলি ক্যাম্প, উখিয়া।
৬. ইউসুফ আলী (৪৭), পিতা–সৈয়দ আহমেদ, ২৬ নম্বর শালবাগান ক্যাম্প, টেকনাফ।

পলাতক দুইজন

১. কালু মিয়া (৩৫)
২. হাশেম মোল্লা (২৫)
এ ছাড়া অজ্ঞাত আরও দুইজনের সন্ধান চলছে।

বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়, টেকনাফ ব্যাটালিয়নের এই অভিযানটি মাদক ও মানব পাচারের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির বাস্তব প্রয়াস। সীমান্তে অপরাধ দমন ও জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষায় এমন অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।