ঢাকা ০৮:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে যা বললেন প্রধান উপদেষ্টা অন্যায়ভাবে বাংলাদেশে এসে ভারতীয় জেলেদের মাছ ধরা বন্ধ করতে হবে সিদ্ধিরগঞ্জবাসীর আস্থার প্রতীক ট্রাস্ট হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক ভুল রক্তে শেষ নিঃশ্বাস প্রসূতি খাদিজার — কালিয়াকৈরের রুমাইসা হাসপাতালে ট্র্যাজেডি! ইউপি সদস্যের বসত বাড়ির ছাদে শুকানো হচ্ছিল গাঁজা, ব্রাহ্মণপাড়ায় ১০০ কেজিসহ আটক ১ শুধু নিষেধাজ্ঞা নয়, নিরাপদ বিকল্প জীবিকা চাই: ক্ষুদ্র জেলেদের ন্যায্য সহায়তার দাবিতে সেমিনার এক সপ্তাহের মধ্যে বিমানবন্দরের ই-গেট খুলে দেওয়া হবে:স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মিরপুরের পিচ নিয়ে সমালোচনা, যা বললেন মুশতাক আরও ঘনিষ্ঠ হচ্ছে রাশিয়া-ইরান: ক্রেমলিন সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা দায়েরের নির্দেশ

যে ডলার আছে তা বাংলাদেশের আপৎকালীন সময়ের জন্য পর্যাপ্ত নয়: অর্থ উপদেষ্টা

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:১৫:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ২৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: বেশ কিছুদিন ধরে বাংলাদেশ ব্যাংক অন্যান্য ব্যাংক থেকে ডলার কিনে নিচ্ছে। এতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ডলারের স্তুপ হয়ে যাচ্ছে বলে অনেকে মনে করলেও অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ভিন্ন মত জানাচ্ছেন। তিনি বলেছেন, বর্তমানে বাংলাদেশের কাছে যে ডলার আছে তা আপৎকালীন সময়ের জন্য পর্যাপ্ত নয়। এ কারণে বাংলাদেশ ব্যাংক বাজার থেকে ডলার কেনার যে পদক্ষেপ নিয়েছে, তা ঠিক আছে।

মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি ও অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

ডলারের ডিমান্ড তো কমে যাচ্ছে, সে হিসেবে ডলারের দামও কমে যাওয়ার কথা। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক বাজার থেকে দুই মিলিয়ন ডলার নিয়ে নিয়েছে দাম একই পর্যায়ে রাখার জন্য। তা আমদানিকারকদের জন্য চাপ হয়ে যাচ্ছে কি না– এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ডলারের দাম কিছুটা যদি স্থিতিশীল না রাখি তাহলে খারাপ প্রভাব পড়বে। যারা রেমিট করে তাদের বিষয়টাও দেখতে হবে। কারণ তারাই তো আমাদের চালিকা শক্তি।

সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা ডলার কিনছি সেটা ঠিক। কিন্তু এখন আমাদের কাছে যে ডলার আছে তা বাংলাদেশের আপৎকালীন সময়ের জন্য পর্যাপ্ত নয়। ধরুন দেশে বড় ধরনের কোনো একটা কিছু হলো। তখন দ্রুত যদি কিছু আনতে হয়, তখন কী হবে। ফরেন এক্সচেঞ্জ শুধু আমদানির জন্য ব্যবহার করা হয় সেটা আপনাদের ভুল ধারণা। সেভ কিছু না থাকলে বিপদ হবে।

তিনি বলেন, এটা আমি টের পেয়েছি যখন আমি ২০০৭/০৮ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ছিলাম তখন। সেসময় সিডর, আইলা হলো, তখন অনেক ঝামেলা হয়েছে। যাই হোক সেসময় আমরা সেটা সামাল দিয়েছিলাম। সুতরাং এসবের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ঠিক করেছে রিজার্ভটা বিল্ডআপ করা দরকার।

সম্প্রতি পিপিআরসি বলেছে বর্তমানে জিনিসপত্রের দামের জন্য ৭০ শতাংশ মানুষ অস্বস্তিতে আছে। এ বিষয়ে আপনি কী বলবেন– এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা শুধু বলেন, পিপিআরসির প্রতিবেদন আমি দেখেছি। তিনি এ বিষয়ে আর কিছু বলতে চাননি।

বৈঠকের বিষয়ে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আজকের বৈঠকে কিছু বৈচিত্র্য ছিল। আমরা সার, কিছু খাদ্যপণ্য আমদানি করি। কিন্তু এবার কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেমন– চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমান বন্দরকে আপগ্রেড করার জন্য সেখানকার রানওয়ে আপগ্রেড করার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা বিমানবন্দরের কন্ট্রোল রুম আরও আধুনিকায়ন করার জন্য একটা প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছি। এ ছাড়া অকটেন আনার অনুমোদন দিয়েছি। বর্তমানে অকটেনের কিছুটা ঘাটতি আছে। দেশের অভ্যন্তরে অকটেনের চাহিদা আছে। তাই আমরা চাই না যে দেশে কোনো রকমের জ্বালানির সংকট হোক।

চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরের মান উন্নয়নে কী করা হবে– এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরের রানওয়েটা গ্রেড-১। সেটার স্পেস বাড়ানো দরকার। বিশেষ করে বড় বিমান ওঠানামা করতে হলে রানওয়েটা গ্রেড-২ তে উন্নীত করতে হবে। একইসঙ্গে ঢাকার কন্ট্রোল রুমটা আরও আধুনিক করা হবে।

 

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে যা বললেন প্রধান উপদেষ্টা

যে ডলার আছে তা বাংলাদেশের আপৎকালীন সময়ের জন্য পর্যাপ্ত নয়: অর্থ উপদেষ্টা

আপডেট সময় : ০৬:১৫:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: বেশ কিছুদিন ধরে বাংলাদেশ ব্যাংক অন্যান্য ব্যাংক থেকে ডলার কিনে নিচ্ছে। এতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ডলারের স্তুপ হয়ে যাচ্ছে বলে অনেকে মনে করলেও অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ভিন্ন মত জানাচ্ছেন। তিনি বলেছেন, বর্তমানে বাংলাদেশের কাছে যে ডলার আছে তা আপৎকালীন সময়ের জন্য পর্যাপ্ত নয়। এ কারণে বাংলাদেশ ব্যাংক বাজার থেকে ডলার কেনার যে পদক্ষেপ নিয়েছে, তা ঠিক আছে।

মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি ও অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

ডলারের ডিমান্ড তো কমে যাচ্ছে, সে হিসেবে ডলারের দামও কমে যাওয়ার কথা। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক বাজার থেকে দুই মিলিয়ন ডলার নিয়ে নিয়েছে দাম একই পর্যায়ে রাখার জন্য। তা আমদানিকারকদের জন্য চাপ হয়ে যাচ্ছে কি না– এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ডলারের দাম কিছুটা যদি স্থিতিশীল না রাখি তাহলে খারাপ প্রভাব পড়বে। যারা রেমিট করে তাদের বিষয়টাও দেখতে হবে। কারণ তারাই তো আমাদের চালিকা শক্তি।

সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা ডলার কিনছি সেটা ঠিক। কিন্তু এখন আমাদের কাছে যে ডলার আছে তা বাংলাদেশের আপৎকালীন সময়ের জন্য পর্যাপ্ত নয়। ধরুন দেশে বড় ধরনের কোনো একটা কিছু হলো। তখন দ্রুত যদি কিছু আনতে হয়, তখন কী হবে। ফরেন এক্সচেঞ্জ শুধু আমদানির জন্য ব্যবহার করা হয় সেটা আপনাদের ভুল ধারণা। সেভ কিছু না থাকলে বিপদ হবে।

তিনি বলেন, এটা আমি টের পেয়েছি যখন আমি ২০০৭/০৮ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ছিলাম তখন। সেসময় সিডর, আইলা হলো, তখন অনেক ঝামেলা হয়েছে। যাই হোক সেসময় আমরা সেটা সামাল দিয়েছিলাম। সুতরাং এসবের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ঠিক করেছে রিজার্ভটা বিল্ডআপ করা দরকার।

সম্প্রতি পিপিআরসি বলেছে বর্তমানে জিনিসপত্রের দামের জন্য ৭০ শতাংশ মানুষ অস্বস্তিতে আছে। এ বিষয়ে আপনি কী বলবেন– এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা শুধু বলেন, পিপিআরসির প্রতিবেদন আমি দেখেছি। তিনি এ বিষয়ে আর কিছু বলতে চাননি।

বৈঠকের বিষয়ে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আজকের বৈঠকে কিছু বৈচিত্র্য ছিল। আমরা সার, কিছু খাদ্যপণ্য আমদানি করি। কিন্তু এবার কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেমন– চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমান বন্দরকে আপগ্রেড করার জন্য সেখানকার রানওয়ে আপগ্রেড করার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা বিমানবন্দরের কন্ট্রোল রুম আরও আধুনিকায়ন করার জন্য একটা প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছি। এ ছাড়া অকটেন আনার অনুমোদন দিয়েছি। বর্তমানে অকটেনের কিছুটা ঘাটতি আছে। দেশের অভ্যন্তরে অকটেনের চাহিদা আছে। তাই আমরা চাই না যে দেশে কোনো রকমের জ্বালানির সংকট হোক।

চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরের মান উন্নয়নে কী করা হবে– এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরের রানওয়েটা গ্রেড-১। সেটার স্পেস বাড়ানো দরকার। বিশেষ করে বড় বিমান ওঠানামা করতে হলে রানওয়েটা গ্রেড-২ তে উন্নীত করতে হবে। একইসঙ্গে ঢাকার কন্ট্রোল রুমটা আরও আধুনিক করা হবে।