ভোলা প্রতিনিধি : ভোলায় মোবাইল ফোন চুরি হওয়া কে কেন্দ্র করে মোবাইল মালিকের উপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে মৃত হযরত আলী হাওলাদার এর ছেলেরা অভিযুক্ত মোঃ হারুন হাওলাদার (৫০), মিলন হাওলাদার (৫৩), ছিদ্দিক হাওলাদার (৪৫) এর বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে ভোলা সদর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগী।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভোলা সদর উপজেলার বাপ্তা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড চরনাপ্তা গ্রামের বাসিন্দা মোঃ কালিমুল্লাহ ছেলে মোঃ এমরান (৩৪) অভিযোগের লিখিত বক্তব্যে জানান, হারুন হাওলাদার গংদের সাথে তাহাদের পূর্ব থেকে জমি-জমা ও পারিবারিক বিষয় নিয়া বিরোধ চলিয়া আসিতেছে। বিগত ১৭/০৮/২০২৫ ইং তারিখে হারুন হাওলাদার এর ছেলে আরিফ তাহাদের ঘরের জানালা দিয়া ইমরান এর ছোট ভাই মোঃ এনামুল (২৪) এর ব্যবহৃত একটি এনড্রয়েড (Redmi Note-14 Pro 5G) মোবাইল ফোন নিয়া যায়। তার ভাই মোবাইল ফোনটি না পেয়ে ভোলা সদর মডেল থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেন। পুলিশ কর্মকর্তারা মোবাইল ট্রাকিং দিয়া দেখতে পায় যে, হারুন হাওলাদারের ছেলে মোঃ আরিফ বর্তমানে আমার ভাইর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি ব্যবহার করিতেছে। পুলিশ আরিফ কে থানায় আসিয়া মোবাইল ফোনটি দিয়া যাওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করলে হারুন হাওলাদার তাহার ছেলের নিকট হইতে মোবাইল ফোনটি আনিয়া বিগত ২১/০৯/২০২৫ ইং তারিখ রাত্র অনুমান সাড়ে ১০ টার সময় থানায় জমা দেয়। হারুন হাওলাদার আমার ভাইর সাধারন ডায়েরী করার বিষয়টি জানতে পারিয়া আরো ক্ষিপ্ত হইয়া মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ টায় মোঃ হারুন হাওলাদার, মিলন হাওলাদার, ছিদ্দিক হাওলাদার তার বসত বাড়ীতে আসিয়া আমার ভাইর সাথে কথা আছে বলিয়া তার বাড়ীতে যাওয়ার জন্য আমার ভাইকে অনুরোধ করে। আমার ভাই তাদের বাড়ীতে গেলে হারুন হাওলাদার আমার ভাই ঢুকাইয়া অন্যান্য বিবাদীদের সাথে নিয়া আমার ভাইকে এলোপাথারী কিল, ঘুষি মারিয়া তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিলা ফুলা জখম করে। বিবাদীগনের হাত থেকে বাচার জন্য আমার ভাই ১নং সাক্ষী দৌড় দিয়া ১নং সাক্ষীর বাড়ীর দরজার সামনে পাকা রাস্তার উপর পৌঁছাইলে বিবাদীগন পুনরায় আমার ভাই এনামুল কে মারধর করে। আমার ভাইকে বাচানোর জন্য আমি ও আমার আমার বাবা আগাইয়া গেলে হারুন হাওলাদার গংরা একত্রিত হইয়া আমি ও আমার পিতাকে এলোপাথারী কিল, ঘুষি মারিয়া আমাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিলা ফুলা জখম করে। আমাদের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে দৌড়াইয়া আসিলে উক্ত বিষয়ে মামলা মোকদ্দমা করিলে আমি, আমার ভাই ও পিতাকে জীবনের তরে শেষ করিয়া লাশ গুম করিয়া ফেলিবে মর্মে হুমকি দিয়া তাহাদের বাড়ীতে চলিয়া যায়।
অভিযুক্ত হারুন হাওলাদার এর কাছে জানতে তিনি হামলার কথা অস্বীকার করে বলেন, আমি বাসায় ছিলাম না, তারা আমার ঘর কোপায়েছে। পরে ৯৯৯ এ ফোন করে পুলিশ এনেছি, তারাই ভালো বলতে পারবে।