ঢাকা ০৬:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে যা বললেন প্রধান উপদেষ্টা অন্যায়ভাবে বাংলাদেশে এসে ভারতীয় জেলেদের মাছ ধরা বন্ধ করতে হবে সিদ্ধিরগঞ্জবাসীর আস্থার প্রতীক ট্রাস্ট হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক ভুল রক্তে শেষ নিঃশ্বাস প্রসূতি খাদিজার — কালিয়াকৈরের রুমাইসা হাসপাতালে ট্র্যাজেডি! ইউপি সদস্যের বসত বাড়ির ছাদে শুকানো হচ্ছিল গাঁজা, ব্রাহ্মণপাড়ায় ১০০ কেজিসহ আটক ১ শুধু নিষেধাজ্ঞা নয়, নিরাপদ বিকল্প জীবিকা চাই: ক্ষুদ্র জেলেদের ন্যায্য সহায়তার দাবিতে সেমিনার এক সপ্তাহের মধ্যে বিমানবন্দরের ই-গেট খুলে দেওয়া হবে:স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মিরপুরের পিচ নিয়ে সমালোচনা, যা বললেন মুশতাক আরও ঘনিষ্ঠ হচ্ছে রাশিয়া-ইরান: ক্রেমলিন সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা দায়েরের নির্দেশ

ফতুল্লায় বাউল শিল্পী আনিকার মর্মান্তিক মৃত্যু ,স্বামী আটক

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:২৬:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ অক্টোবর ২০২৫
  • ১৫৭ বার পড়া হয়েছে

আলোকিত কাগজ প্রতিবদক: ‎নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার ভুইঘর এলাকায় এক বাউল শিল্পীর মৃত্যুকে ঘিরে রহস্য দেখা দিয়েছে। শুক্রবার ৩ অক্টোবর দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে বাউল শিল্পী আনিকা আক্তার অনিকা (১৯) অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে প্রাণ হারান। রাতের এই সময়ে স্বামী হাবিবুর রহমান (২৫) তাকে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। খবর পেয়ে ফতুল্লা মডেল থানার পুলিশ হাবিবুরকে আটক করে। মরদেহ নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

‎নিহত আনিকা আক্তার অনিকা মাদারীপুর জেলার মোস্তফাকুর গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের মেয়ে। তিনি স্বামী হাবিবুরের সঙ্গে ফতুল্লার ভুইঘরে ভাড়া বাসায় থাকতেন। পারিবারিক কলহ থেকেই এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ আনিকার পরিবারের।

‎আনিকার বাবা জানান, প্রায় পাঁচ বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক থেকে আনিকার বিয়ে হয় হাবিবুরের সঙ্গে। বিয়ের পর থেকেই দাম্পত্য জীবনে কলহ চলত, এমনকি হাবিবুর সংসারের ভরণপোষণও করতেন না। চার মাস আগে আনিকা কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। এরপর সন্তানকে কোলে নিয়েই তিনি নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন বাউল ক্লাবে গান করতেন। কিন্তু তার উপার্জনের টাকা জোরপূর্বক নিয়ে নিতেন হাবিবুর।

‎অভিযোগ অস্বীকার করে হাবিবুর দাবি করেন, তিনি আনিকাকে হত্যা করেননি। তার ভাষ্য, “চাঁদপুর থেকে ফিরে ভুইঘরের ফ্ল্যাটে দরজা ভেঙে প্রবেশ করি। ভেতরে দেখি, আনিকা জানালার গ্রিলে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছে। এরপর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।তিনি আরও বলেন, তালাকের নোটিশ ভুয়া ছিল, আনিকাকে ভয় দেখানোর জন্যই সেটা পাঠিয়েছিলাম।

‎ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মো. শরিফুল ইসলাম জানান, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিতভাবে বলা সম্ভব নয়। “আমরা ঘটনাটিকে অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে তদন্ত করছি এবং প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনে চেষ্টা চালাচ্ছি।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে যা বললেন প্রধান উপদেষ্টা

ফতুল্লায় বাউল শিল্পী আনিকার মর্মান্তিক মৃত্যু ,স্বামী আটক

আপডেট সময় : ১১:২৬:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ অক্টোবর ২০২৫

আলোকিত কাগজ প্রতিবদক: ‎নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার ভুইঘর এলাকায় এক বাউল শিল্পীর মৃত্যুকে ঘিরে রহস্য দেখা দিয়েছে। শুক্রবার ৩ অক্টোবর দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে বাউল শিল্পী আনিকা আক্তার অনিকা (১৯) অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে প্রাণ হারান। রাতের এই সময়ে স্বামী হাবিবুর রহমান (২৫) তাকে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। খবর পেয়ে ফতুল্লা মডেল থানার পুলিশ হাবিবুরকে আটক করে। মরদেহ নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

‎নিহত আনিকা আক্তার অনিকা মাদারীপুর জেলার মোস্তফাকুর গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের মেয়ে। তিনি স্বামী হাবিবুরের সঙ্গে ফতুল্লার ভুইঘরে ভাড়া বাসায় থাকতেন। পারিবারিক কলহ থেকেই এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ আনিকার পরিবারের।

‎আনিকার বাবা জানান, প্রায় পাঁচ বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক থেকে আনিকার বিয়ে হয় হাবিবুরের সঙ্গে। বিয়ের পর থেকেই দাম্পত্য জীবনে কলহ চলত, এমনকি হাবিবুর সংসারের ভরণপোষণও করতেন না। চার মাস আগে আনিকা কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। এরপর সন্তানকে কোলে নিয়েই তিনি নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন বাউল ক্লাবে গান করতেন। কিন্তু তার উপার্জনের টাকা জোরপূর্বক নিয়ে নিতেন হাবিবুর।

‎অভিযোগ অস্বীকার করে হাবিবুর দাবি করেন, তিনি আনিকাকে হত্যা করেননি। তার ভাষ্য, “চাঁদপুর থেকে ফিরে ভুইঘরের ফ্ল্যাটে দরজা ভেঙে প্রবেশ করি। ভেতরে দেখি, আনিকা জানালার গ্রিলে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছে। এরপর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।তিনি আরও বলেন, তালাকের নোটিশ ভুয়া ছিল, আনিকাকে ভয় দেখানোর জন্যই সেটা পাঠিয়েছিলাম।

‎ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মো. শরিফুল ইসলাম জানান, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিতভাবে বলা সম্ভব নয়। “আমরা ঘটনাটিকে অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে তদন্ত করছি এবং প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনে চেষ্টা চালাচ্ছি।