ঢাকা ০৭:২৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫, ৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কালিয়াকৈরে রুমাইসা হাসপাতাল বন্ধের নির্দেশ বিজিবির নৌ-অভিযান: ৪০ হাজার ইয়াবাসহ ৩ রোহিঙ্গা আটক ধোপাখালীস্থ শশ্মানঘাটে কালীপূজোয় মেতে উঠেন সনাতন ধর্মের অনুসারীরা,পরিদর্শনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দরা টেকনাফের পাহাড়ে বিজিবির অভিযান, ৬ জিম্মি মুক্ত নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাবে আইআরআই সুপার ওভারে গড়াল টাইগারদের ম্যাচ অন্তর্বর্তী সরকারকে ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আদলে’ কাজ করার আহ্বান বিএনপির শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে যা বললেন প্রধান উপদেষ্টা অন্যায়ভাবে বাংলাদেশে এসে ভারতীয় জেলেদের মাছ ধরা বন্ধ করতে হবে সিদ্ধিরগঞ্জবাসীর আস্থার প্রতীক ট্রাস্ট হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক

বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে পূর্ণ সমর্থন জাতিসংঘ মহাসচিবের

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:৪০:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ২০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের চলমান গণতান্ত্রিক রূপান্তর ও সংস্কার কার্যক্রমে পূর্ণ সমর্থন ও সংহতি প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সদর দপ্তরে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এ আশ্বাস দেন।

অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল বৈঠকে অংশ নেয়, যার মধ্যে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান, মুখ্যসচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া এবং এসডিজি সমন্বয়ক লামিয়া মোর্শেদ উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হয়। এর মধ্যে অন্যতম হলো রাজনৈতিক সংস্কার, ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচন, জুলাই অভ্যুত্থানে গণহত্যার জন্য দায়ীদের জবাবদিহিতা, বৈশ্বিক বাণিজ্যে সুরক্ষামূলক শুল্কনীতির প্রভাব এবং ৩০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় আন্তর্জাতিক রোহিঙ্গা সম্মেলন।

প্রধান উপদেষ্টা জাতিসংঘ মহাসচিবকে জানান, অন্তর্বর্তী সরকার ইতোমধ্যে যে সংস্কারমুখী পদক্ষেপ নিয়েছে, তা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই নেওয়া হয়েছে।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, আগামী কয়েক মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা নির্বাচনের জন্য জাতিসংঘের সহায়তা চাই। তিনি আরও জানান, ক্ষমতাচ্যুত সরকার ও তাদের মিত্ররা পাচার করা সম্পদের মাধ্যমে দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির জন্য বিভ্রান্তিকর প্রচার চালাচ্ছে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তারা ফেব্রুয়ারির নির্বাচন চায় না। কিছু আন্তর্জাতিক মহলও তাদের সমর্থন দিচ্ছে।

জবাবে গুতেরেস বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণ ও সংস্কার কর্মসূচিতে জাতিসংঘের জোরালো সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি রোহিঙ্গা সংকটের দীর্ঘমেয়াদি সমাধানে জাতিসংঘের অব্যাহত অঙ্গীকারের কথাও তুলে ধরেন।

গত ১৪ মাসে অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বের প্রশংসা করে মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশের এই কঠিন উত্তরণকালীন আপনার নেতৃত্ব আমি শ্রদ্ধা করি ও প্রশংসা করি।

প্রধান উপদেষ্টা আন্তর্জাতিক রোহিঙ্গা সম্মেলন আয়োজনের জন্য মহাসচিবকে ধন্যবাদ জানান এবং বলেন, এই সম্মেলন রোহিঙ্গা সংকটকে বিশ্ব সম্প্রদায়ের অগ্রাধিকার তালিকায় রাখবে এবং শরণার্থী শিবিরে জরুরি মানবিক সহায়তার জন্য তহবিল সংগ্রহে সহায়তা করবে।

এ সময় জাতিসংঘ মহাসচিব রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানের পথ খুঁজে পেতে বাংলাদেশের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

কালিয়াকৈরে রুমাইসা হাসপাতাল বন্ধের নির্দেশ

বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে পূর্ণ সমর্থন জাতিসংঘ মহাসচিবের

আপডেট সময় : ০২:৪০:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের চলমান গণতান্ত্রিক রূপান্তর ও সংস্কার কার্যক্রমে পূর্ণ সমর্থন ও সংহতি প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সদর দপ্তরে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এ আশ্বাস দেন।

অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল বৈঠকে অংশ নেয়, যার মধ্যে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান, মুখ্যসচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া এবং এসডিজি সমন্বয়ক লামিয়া মোর্শেদ উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হয়। এর মধ্যে অন্যতম হলো রাজনৈতিক সংস্কার, ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচন, জুলাই অভ্যুত্থানে গণহত্যার জন্য দায়ীদের জবাবদিহিতা, বৈশ্বিক বাণিজ্যে সুরক্ষামূলক শুল্কনীতির প্রভাব এবং ৩০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় আন্তর্জাতিক রোহিঙ্গা সম্মেলন।

প্রধান উপদেষ্টা জাতিসংঘ মহাসচিবকে জানান, অন্তর্বর্তী সরকার ইতোমধ্যে যে সংস্কারমুখী পদক্ষেপ নিয়েছে, তা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই নেওয়া হয়েছে।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, আগামী কয়েক মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা নির্বাচনের জন্য জাতিসংঘের সহায়তা চাই। তিনি আরও জানান, ক্ষমতাচ্যুত সরকার ও তাদের মিত্ররা পাচার করা সম্পদের মাধ্যমে দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির জন্য বিভ্রান্তিকর প্রচার চালাচ্ছে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তারা ফেব্রুয়ারির নির্বাচন চায় না। কিছু আন্তর্জাতিক মহলও তাদের সমর্থন দিচ্ছে।

জবাবে গুতেরেস বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণ ও সংস্কার কর্মসূচিতে জাতিসংঘের জোরালো সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি রোহিঙ্গা সংকটের দীর্ঘমেয়াদি সমাধানে জাতিসংঘের অব্যাহত অঙ্গীকারের কথাও তুলে ধরেন।

গত ১৪ মাসে অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বের প্রশংসা করে মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশের এই কঠিন উত্তরণকালীন আপনার নেতৃত্ব আমি শ্রদ্ধা করি ও প্রশংসা করি।

প্রধান উপদেষ্টা আন্তর্জাতিক রোহিঙ্গা সম্মেলন আয়োজনের জন্য মহাসচিবকে ধন্যবাদ জানান এবং বলেন, এই সম্মেলন রোহিঙ্গা সংকটকে বিশ্ব সম্প্রদায়ের অগ্রাধিকার তালিকায় রাখবে এবং শরণার্থী শিবিরে জরুরি মানবিক সহায়তার জন্য তহবিল সংগ্রহে সহায়তা করবে।

এ সময় জাতিসংঘ মহাসচিব রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানের পথ খুঁজে পেতে বাংলাদেশের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।