ঢাকা ০৬:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে যা বললেন প্রধান উপদেষ্টা অন্যায়ভাবে বাংলাদেশে এসে ভারতীয় জেলেদের মাছ ধরা বন্ধ করতে হবে সিদ্ধিরগঞ্জবাসীর আস্থার প্রতীক ট্রাস্ট হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক ভুল রক্তে শেষ নিঃশ্বাস প্রসূতি খাদিজার — কালিয়াকৈরের রুমাইসা হাসপাতালে ট্র্যাজেডি! ইউপি সদস্যের বসত বাড়ির ছাদে শুকানো হচ্ছিল গাঁজা, ব্রাহ্মণপাড়ায় ১০০ কেজিসহ আটক ১ শুধু নিষেধাজ্ঞা নয়, নিরাপদ বিকল্প জীবিকা চাই: ক্ষুদ্র জেলেদের ন্যায্য সহায়তার দাবিতে সেমিনার এক সপ্তাহের মধ্যে বিমানবন্দরের ই-গেট খুলে দেওয়া হবে:স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মিরপুরের পিচ নিয়ে সমালোচনা, যা বললেন মুশতাক আরও ঘনিষ্ঠ হচ্ছে রাশিয়া-ইরান: ক্রেমলিন সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা দায়েরের নির্দেশ

চিরিরবন্দরে শ্বশান কালী মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনায় যুবক আটক।

দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলায় শ্বশানকালী মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনায় যুবকে আটক করা হয়েছে। এ সময় স্থানীয়রা হাতেনাতে এক যুবককে আটক করে ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের কাছে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা।
গত সোমবার (২৭ জানুয়ারী) দিবাগত রাত আনুমানিক সাড়ে ১১ টার দিকে চিরিরবন্দর উপজেলার ৯নং ভিয়াইল ইউনিয়নের দূর্গাডাঙ্গা বাজার সংলগ্ন শ্বশানকুরী শ্বশানকালী মন্দিরে এই ঘটনা ঘটে।
আটককৃত ব্যাক্তির নাম মো.মমতাজ হোসেন ওরফে মোস্তান। সে ভিয়াইল ইউনিয়নের বোর্ড পাড়া এলাকার বাসিন্দা ও মৃত আইনুল পাশীর ছেলে।
সরজমিনে মন্দির কমিটি ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রাত আনুমানিক সাড়ে ১১ টার দিকে মো. মমতাজ হোসেন নামের ঐ ব্যাক্তি কালী মন্দিরের কেচি গেট ভাঙ্গার চেষ্টা করে। এসময় শব্দ শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাকে হাতে নাতে আটক করে। মন্দিরের বাহিরে থাকা মাশনা কালীর প্রতিমা ভেঙ্গে সামনের পুকুরে ফেলে দেয় এবং মন্দিরের ভিতরে থাকা কালী মাতার প্রতিমাটি ভাঙ্গার উদ্দেশ্যে কেচি গেট ভাঙ্গার চেষ্টা করে। স্থানীয়রা তাকে আটক করার পর ইউপি চেয়ারম্যানকে ফোন দিলে মো. মমতাজ হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে স্থানীয় সমর রায়কে ঘুষি মেরে পালানোর চেষ্টা করে। পরে এলাকাবাসী তাকে ধাওয়া দিয়ে আটক করে ভিয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রাজ্জাক শাহ্ এর নিকট হস্তান্তর করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অভিযুক্ত মমতাজ হোসেন ইউনিয়ন পরিষদে আটক রয়েছে।
ঘটনা সম্পর্কে মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক দিলিপ কুমার রায় বলেন, “আমরা এই এলাকায় হিন্দু,মুসলিম ভেদাভেদ ভুলে সবাই একসঙ্গে শান্তিতে বসবাস করি এরকম নেক্কার জনক ঘটনার প্রতিবাদ ও অভিযুক্ত ব্যাক্তির শাস্তি কামনা করি”।
ঘটনার বিষয়ে চিরিরবন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আঃ ওয়াদুদ বলেন, “ঘটনাটি আমি অবগত হয়েছি এবং তাৎক্ষণিক থানা পুলিশের একটি টিমসহ আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। প্রতিমা ভাংচুরকারী মমতাজ হোসেনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ হবে”।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে যা বললেন প্রধান উপদেষ্টা

চিরিরবন্দরে শ্বশান কালী মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনায় যুবক আটক।

আপডেট সময় : ০৬:১১:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫

দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলায় শ্বশানকালী মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনায় যুবকে আটক করা হয়েছে। এ সময় স্থানীয়রা হাতেনাতে এক যুবককে আটক করে ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের কাছে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা।
গত সোমবার (২৭ জানুয়ারী) দিবাগত রাত আনুমানিক সাড়ে ১১ টার দিকে চিরিরবন্দর উপজেলার ৯নং ভিয়াইল ইউনিয়নের দূর্গাডাঙ্গা বাজার সংলগ্ন শ্বশানকুরী শ্বশানকালী মন্দিরে এই ঘটনা ঘটে।
আটককৃত ব্যাক্তির নাম মো.মমতাজ হোসেন ওরফে মোস্তান। সে ভিয়াইল ইউনিয়নের বোর্ড পাড়া এলাকার বাসিন্দা ও মৃত আইনুল পাশীর ছেলে।
সরজমিনে মন্দির কমিটি ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রাত আনুমানিক সাড়ে ১১ টার দিকে মো. মমতাজ হোসেন নামের ঐ ব্যাক্তি কালী মন্দিরের কেচি গেট ভাঙ্গার চেষ্টা করে। এসময় শব্দ শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাকে হাতে নাতে আটক করে। মন্দিরের বাহিরে থাকা মাশনা কালীর প্রতিমা ভেঙ্গে সামনের পুকুরে ফেলে দেয় এবং মন্দিরের ভিতরে থাকা কালী মাতার প্রতিমাটি ভাঙ্গার উদ্দেশ্যে কেচি গেট ভাঙ্গার চেষ্টা করে। স্থানীয়রা তাকে আটক করার পর ইউপি চেয়ারম্যানকে ফোন দিলে মো. মমতাজ হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে স্থানীয় সমর রায়কে ঘুষি মেরে পালানোর চেষ্টা করে। পরে এলাকাবাসী তাকে ধাওয়া দিয়ে আটক করে ভিয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রাজ্জাক শাহ্ এর নিকট হস্তান্তর করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অভিযুক্ত মমতাজ হোসেন ইউনিয়ন পরিষদে আটক রয়েছে।
ঘটনা সম্পর্কে মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক দিলিপ কুমার রায় বলেন, “আমরা এই এলাকায় হিন্দু,মুসলিম ভেদাভেদ ভুলে সবাই একসঙ্গে শান্তিতে বসবাস করি এরকম নেক্কার জনক ঘটনার প্রতিবাদ ও অভিযুক্ত ব্যাক্তির শাস্তি কামনা করি”।
ঘটনার বিষয়ে চিরিরবন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আঃ ওয়াদুদ বলেন, “ঘটনাটি আমি অবগত হয়েছি এবং তাৎক্ষণিক থানা পুলিশের একটি টিমসহ আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। প্রতিমা ভাংচুরকারী মমতাজ হোসেনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ হবে”।