আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মাদক বাণিজ্য ও অবৈধ অভিভাসন রোধে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নিরাপত্তা চুক্তি করতে আগ্রহী মেক্সিকো, কিন্তু কোনোভাবেই অধীনতা স্বীকার করবে না দেশটি। মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লডিয়া শিনবাউম গতকাল সোমবার এ ঘোষণা দিয়েছেন।
সোমাবার রাজধানী মেক্সিকো সিটিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে শিনবাউম বলেন, “আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমঝোতায় যেতে, এমনকি নিরাপত্তা চুক্তি করতেও রাজি আছি। কিন্তু সেই সমঝোতা কিংবা চুক্তির ভিত্তি হতে হবে দায়িত্বশীলতা, পরস্পরের প্রতি আস্থা, দুই দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার প্রতি সম্মান এবং কোনো প্রকার অধীনতা ব্যতীত সহযোগিতামূলক সম্পর্ক। আমরা চুক্তি চাই, অধীনতা নয়।”
যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকো উভয়েই উত্তর আমেরিকা মহাদেশভূক্ত দেশ। মেক্সিকোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের স্থল ও জলসীমান্তও আছে। গত বেশ কয়েক বছর ধরে সেই সীমান্ত দিয়ে মাদক ও নথিবিহনী অভিবাসীরা প্রবেশ করছে যুক্তরাষ্ট্রে।
সম্প্রতি মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মেক্সিকো থেকে মাদক ও অবৈধ অভিবাসীদের প্রবাহ ঠেকাতে দেশটির ভেতরে সেনা অভিযানের পরিকল্পনা চলছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদর দপ্তর পেন্টাগনে।
এক্সিওসে এই সংবাদ প্রকাশের পর স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুব্ধ মেক্সিকোর সরকার, বিরোধী দলসহ বিভিন্ন মহল। এমন পরিস্থিতিতেই এই ঘোষণা দিলেন প্রেসিডেন্ট শিনবাউম।
আগামী সপ্তাহে মেক্সিকো সফরে আসার কথা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মার্কো রুবিও। সোমবারের ভাষণে ক্লডিয়া শিনবাউম জানান, রুবিওর সঙ্গে বৈঠকে প্রস্তাবিত নিরাপত্তা চুক্তির ইস্যুটি তুলবেন তিনি।
প্রসঙ্গত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সম্প্রতি অভিযোগ করেছেন, মেক্সিকোর সরকার মাদক ব্যবসায়ী ও মানবপাচারকারীদের দমনে গুরুত্বপূর্ণ কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। মেক্সিকো’র এই ‘উদাসীনতার’ জন্য দেশটির ওপর অতিরিক্ত শুল্ক চাপানোর হুমকিও দিয়েছিলেন তিনি।
সাবেক জলবায়ু বিজ্ঞানী ক্লডিয়া শিনবাউম ২০২৪ সালের নির্বাচনে জিতে মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট হন। তিনি মেক্সিকোর ইতিহাসের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট।
সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি