ঢাকা ০৬:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে যা বললেন প্রধান উপদেষ্টা অন্যায়ভাবে বাংলাদেশে এসে ভারতীয় জেলেদের মাছ ধরা বন্ধ করতে হবে সিদ্ধিরগঞ্জবাসীর আস্থার প্রতীক ট্রাস্ট হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক ভুল রক্তে শেষ নিঃশ্বাস প্রসূতি খাদিজার — কালিয়াকৈরের রুমাইসা হাসপাতালে ট্র্যাজেডি! ইউপি সদস্যের বসত বাড়ির ছাদে শুকানো হচ্ছিল গাঁজা, ব্রাহ্মণপাড়ায় ১০০ কেজিসহ আটক ১ শুধু নিষেধাজ্ঞা নয়, নিরাপদ বিকল্প জীবিকা চাই: ক্ষুদ্র জেলেদের ন্যায্য সহায়তার দাবিতে সেমিনার এক সপ্তাহের মধ্যে বিমানবন্দরের ই-গেট খুলে দেওয়া হবে:স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মিরপুরের পিচ নিয়ে সমালোচনা, যা বললেন মুশতাক আরও ঘনিষ্ঠ হচ্ছে রাশিয়া-ইরান: ক্রেমলিন সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা দায়েরের নির্দেশ

ফতুল্লায় চাঞ্চল্যকর গৃহবধূ সুমা হত্যা: এক বছর পর রহস্য উদঘাটন করেছে পিবিআই – স্বামী গ্রেপ্তার

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৪৯:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৬৩ বার পড়া হয়েছে

আলোকিত কাগজ প্রতিবেদক:‎ নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় প্রায় এক বছর আগে সংঘটিত গৃহবধূ সুমা আক্তার (৩০) হত্যার রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। দীর্ঘ তদন্তের পর হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ও ঘাতক স্বামী মো. শহীদুল্লাহ (৩৮) অবশেষে ধরা পড়েছে।

বৃহস্পতিবার ২৫ সেপ্টেম্বর রাত আড়াইটার দিকে ফতুল্লার কাঠেরপুল কুতুবআইল এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

‎গ্রেফতারকৃত আসামির হলেন: মো. শহীদুল্লাহ ‎(৩৮)সে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানার কাঠের পুল এলাকার মোঃ আনিসুর রহমানের ছেলে।

‎নিহত গৃহবধূ সুমা আক্তার (৩০)সে একই এলাকার মোঃ বসু মিয়ার মেয়ে ও মোঃ শহিদুল ইসলাম এর স্ত্রী।

‎মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ৭ নভেম্বর দুপুরে ফতুল্লার কাঠেরপুল কুতুবাসায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে সুমা আক্তারকে হত্যা করা হয়। ঘটনার পর নিহতের বোন সাজেদা খাতুন অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে ফতুল্লা থানায় মামলা (নং-১৬, তাং-০৮/১১/২০২৩) দায়ের করেন। হত্যার উদ্দেশ্য স্পষ্ট না হওয়ায় মামলাটি দীর্ঘদিন তদন্তাধীন ছিল। পরে ২০২৪ সালের ১৪ আগস্ট মামলাটি পিবিআই নারায়ণগঞ্জ জেলায় হস্তান্তর করা হয়।

‎পিবিআই সূত্রে জানা যায়, তদন্তে শহীদুল্লাহর সঙ্গে তার শ্যালিকা সোহানা আক্তারের (২৮) পরকীয়ার তথ্য উঠে আসে। এই সম্পর্কের জেরেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য কলহ সৃষ্টি হয়। ক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে শহীদুল্লাহ পরিকল্পিতভাবে স্ত্রীকে হত্যা করেন।

‎ঘটনার দিন তিনি ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রীর শরীরে একাধিক আঘাত করেন, যার ফলে গুরুতর জখমে তার মৃত্যু হয়। গ্রেফতারের পর শহীদুল্লাহ আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। তিনি স্বীকার করেছেন, পরকীয়ার টানেই এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে।

‎পিবিআই জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডে মোট দু’জন জড়িত। তদন্ত এখনও অব্যাহত রয়েছে এবং প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে যা বললেন প্রধান উপদেষ্টা

ফতুল্লায় চাঞ্চল্যকর গৃহবধূ সুমা হত্যা: এক বছর পর রহস্য উদঘাটন করেছে পিবিআই – স্বামী গ্রেপ্তার

আপডেট সময় : ০৪:৪৯:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আলোকিত কাগজ প্রতিবেদক:‎ নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় প্রায় এক বছর আগে সংঘটিত গৃহবধূ সুমা আক্তার (৩০) হত্যার রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। দীর্ঘ তদন্তের পর হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ও ঘাতক স্বামী মো. শহীদুল্লাহ (৩৮) অবশেষে ধরা পড়েছে।

বৃহস্পতিবার ২৫ সেপ্টেম্বর রাত আড়াইটার দিকে ফতুল্লার কাঠেরপুল কুতুবআইল এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

‎গ্রেফতারকৃত আসামির হলেন: মো. শহীদুল্লাহ ‎(৩৮)সে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানার কাঠের পুল এলাকার মোঃ আনিসুর রহমানের ছেলে।

‎নিহত গৃহবধূ সুমা আক্তার (৩০)সে একই এলাকার মোঃ বসু মিয়ার মেয়ে ও মোঃ শহিদুল ইসলাম এর স্ত্রী।

‎মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ৭ নভেম্বর দুপুরে ফতুল্লার কাঠেরপুল কুতুবাসায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে সুমা আক্তারকে হত্যা করা হয়। ঘটনার পর নিহতের বোন সাজেদা খাতুন অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে ফতুল্লা থানায় মামলা (নং-১৬, তাং-০৮/১১/২০২৩) দায়ের করেন। হত্যার উদ্দেশ্য স্পষ্ট না হওয়ায় মামলাটি দীর্ঘদিন তদন্তাধীন ছিল। পরে ২০২৪ সালের ১৪ আগস্ট মামলাটি পিবিআই নারায়ণগঞ্জ জেলায় হস্তান্তর করা হয়।

‎পিবিআই সূত্রে জানা যায়, তদন্তে শহীদুল্লাহর সঙ্গে তার শ্যালিকা সোহানা আক্তারের (২৮) পরকীয়ার তথ্য উঠে আসে। এই সম্পর্কের জেরেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য কলহ সৃষ্টি হয়। ক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে শহীদুল্লাহ পরিকল্পিতভাবে স্ত্রীকে হত্যা করেন।

‎ঘটনার দিন তিনি ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রীর শরীরে একাধিক আঘাত করেন, যার ফলে গুরুতর জখমে তার মৃত্যু হয়। গ্রেফতারের পর শহীদুল্লাহ আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। তিনি স্বীকার করেছেন, পরকীয়ার টানেই এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে।

‎পিবিআই জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডে মোট দু’জন জড়িত। তদন্ত এখনও অব্যাহত রয়েছে এবং প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।