কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে সম্প্রতি ইউএনও ফারাশিদ বিন এনামের কাছ থেকে নিজের প্রতিষ্ঠানের নামে প্রচুর সুযোগ সুবিধা নিয়ে নিজের ফেসবুক ওয়ালে ইউএনও’র প্রশংসা করতে গিয়ে ‘স্বপ্ন পুরুষ’ আখ্যা দেন আব্দুল মান্নান স্বপন নামে এক শিক্ষক।
এই শিক্ষকের নিজের পুকুর থেকে ড্রেজারে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করা নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। পরে পুলিশ দিয়ে বন্ধ করে দেয় ইউএনও। এতে চরম ক্ষেপে যান তিনি প্রশাসনের প্রতি। সুবিধা পেয়ে করেছিলেন প্রশংসা। পরে বালু উত্তোলন করতে না পেরে ইউএনও’র প্রতি মন:ক্ষুন্ন হন এই শিক্ষক।
দিলালপুর ইউনিয়নে বালু কান্ডে ব্যবস্থা নিতে গিয়ে বালু ব্যবসায়ীদের কৌশলী রোষাণলে পড়েন ইউএনও। একরকম মব সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হয়। পুলিশ গিয়ে আটক করেন কয়েকজনকে। পরে মুচলেকা দিয়ে তারা মুক্তি পায়। সরকারি কাজে বাধা দিয়ে উল্টো নিরীহ লোকদের মারধরের অভিযোগ আনেন বালু সিন্ডিকেটের লোকজন।
পরে ক্ষিপ্ত শিক্ষক আব্দুল মান্নান স্বপনের নেতৃত্বে ইউএনওর বিরুদ্ধে এক ঝটিকা মানববন্ধন করা হয়। এক থেকে দুই মিনিটের মতো রাস্তায় ব্যানার নিয়ে দাড়িয়ে ইউএনওর প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন বালু কান্ডে অভিযুক্ত আব্দুল মান্নান স্বপন। অংশগ্রহণকারীদের মিসগাইড করে মানববন্ধনে নিয়ে আসেন বলেও অভিযোগ করেন তারা।
পরেরদিন আবার ইউএনওর পক্ষে পাল্টা মানববন্ধন করে আরেকটি শ্রেণি। পাল্টাপাল্টি মানববন্ধন নিয়ে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি হয় বাজিতপুরে।
স্থানীয় এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক শিক্ষক আব্দুল মান্নান স্বপনের বিরুদ্ধে টিসি না দিয়ে উল্টো খারাপ ব্যবহারের অভিযোগ তুলেন। অনেক শিক্ষার্থীর জীবন ধ্বংস করছেন বলেও অভিযোগ করা হয়।
স্থানীয়রা বলেন, একজন অভিযুক্ত ব্যক্তি যখন নিজের অনিয়ম ঢাকতে উল্টো মানববন্ধন করেন তা হাস্যকর ছাড়া আর কিছু না। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচার চান স্থানীয়রা।
জানা যায়, স্বপন নামে এই শিক্ষক সুবিধা না পেলেই সবসময় প্রশাসনের বিরুদ্ধে লেগে যান। এর আগেও অনেক ইউএনওর সাথে এমনটা করেছিলেন বলে জানান একটি সূত্র।