ঢাকা ১১:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
৫০০ বছরে প্রথম, পোপের সঙ্গে প্রার্থনায় অংশ নেবেন ব্রিটিশ রাজা বাবা হয়েছেন জেমস, জানালেন নতুন বিয়ের খবর প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেছে এনসিপির চার নেতা নির্বাচনের আগে অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ ভ্রান্ত তথ্য : প্রধান উপদেষ্টা ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য ৬০ ঘণ্টা প্রশিক্ষণ নিতে হবে, মিলবে ভাতা রূপগঞ্জে নিরাপদ সড়ক দিবস-২০২৫ অনুষ্ঠিত টেকনাফে সশস্ত্র দুর্বৃত্তদের কবল থেকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী ও অটোরিকশা উদ্ধার টেকনাফ মেরিন ড্রাইভে ২৯ ভুক্তভোগী উদ্ধার, মানব পাচারকারী ৩ জন আটক এজাহারনামীয় আসামি শুভ র‍্যাব-১১ হাতে গ্রেফতার পটুয়াখালীতে সড়ক ও জনপথ কর্মচারীদের ৫ দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন

লালমাই আটিটি বাজার ভুয়া ডাক্তার ও প্রতারণামূলক ওষুধ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টের ৩০ হাজার টাকা জরিমানা

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:০৪:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর ২০২৫
  • ২১ বার পড়া হয়েছে

মোহাম্মদ আমিনুল,কুমিল্লা: কুমিল্লার লালমাই উপজেলা আটিটি বাজার ভুয়া ডাক্তার শামীম আহমেদ (সুমন) ও প্রতারণামূলক ওষুধ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে।

৫ অক্টোবর সন্ধ্যা আনুমানিক ৭টা ৩০ মিনিটে এই অভিযানটি পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিমাদ্রি খীসা।

মোবাইল কোর্টে পরিচালনা ভুয়া ডাক্তার পদবি ব্যবহার করে চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনা করার অপরাধে মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন, ২০১০ অনুযায়ী ১ ব্যক্তিকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করে।

এছাড়া ভোক্তার সঙ্গে প্রতারণামূলক সেবা প্রদান করে ওষুধ ব্যবসা পরিচালনার অপরাধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ অনুযায়ী অপর ১ ব্যবসায়ীকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।

অভিযানে সহযোগিতা করেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ফার্মাসিস্ট মোঃ রিয়াজুল ইসলাম এবং লালমাই থানা পুলিশের একটি টিম।

বাজারে ভুয়া ডাক্তার ও অনুমোদনহীন ফার্মেসির দৌরাত্ম্য চরমে পৌঁছেছে।মোবাইল কোর্টের অভিযান খবর পেয়ে দোকান বন্ধ করে পালিয়ে যায় মেডিক্যাল দোকানদারা ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাজারের অধিকাংশ ডাক্তারই কোনো স্বীকৃত ডিগ্রিধারী নন। তবুও তারা রোগী দেখছেন এবং ওষুধ প্রেসক্রাইব করছেন।

এছাড়া বাজারের বহু ফার্মেসিরই নেই বৈধ ট্রেড লাইসেন্স, ড্রাগ লাইসেন্স বা অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। অভিযোগ রয়েছে, এসব দোকানে অতিরিক্ত দামে ওষুধ বিক্রি ও প্রয়োজনের অতিরিক্ত ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে।

স্থানীয় ব্যক্তি বলেন, “যখন মোবাইল কোর্টের অভিযান শুরু হয়, তখন খবর পেয়ে আটিটি বাজারের সব ওষুধ দোকানদার তড়িঘড়ি করে দোকান বন্ধ করে পালিয়ে যায়। যদি তারা বৈধভাবে ব্যবসা করতো, তাহলে পালাত না। আপনি যাচাই করলেই দেখবেন—কোনো দোকানেই সঠিক কাগজপত্র নেই।”

স্থানীয় সূত্রে আরও জানা যায়, আটিটি বাজারে বর্তমানে মোট ১৪টি মেডিসিন দোকান রয়েছে। এর মধ্যে একটিও সম্পূর্ণ বৈধ নথিপত্র দেখাতে সক্ষম নয় বলে অভিযোগ উঠেছে।

এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ জরুরি তদন্তের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
জনস্বার্থে উপজেলা প্রশাসন, লালমাই কর্তৃক এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

 

 

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

৫০০ বছরে প্রথম, পোপের সঙ্গে প্রার্থনায় অংশ নেবেন ব্রিটিশ রাজা

লালমাই আটিটি বাজার ভুয়া ডাক্তার ও প্রতারণামূলক ওষুধ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টের ৩০ হাজার টাকা জরিমানা

আপডেট সময় : ০৪:০৪:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর ২০২৫

মোহাম্মদ আমিনুল,কুমিল্লা: কুমিল্লার লালমাই উপজেলা আটিটি বাজার ভুয়া ডাক্তার শামীম আহমেদ (সুমন) ও প্রতারণামূলক ওষুধ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে।

৫ অক্টোবর সন্ধ্যা আনুমানিক ৭টা ৩০ মিনিটে এই অভিযানটি পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিমাদ্রি খীসা।

মোবাইল কোর্টে পরিচালনা ভুয়া ডাক্তার পদবি ব্যবহার করে চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনা করার অপরাধে মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন, ২০১০ অনুযায়ী ১ ব্যক্তিকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করে।

এছাড়া ভোক্তার সঙ্গে প্রতারণামূলক সেবা প্রদান করে ওষুধ ব্যবসা পরিচালনার অপরাধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ অনুযায়ী অপর ১ ব্যবসায়ীকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।

অভিযানে সহযোগিতা করেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ফার্মাসিস্ট মোঃ রিয়াজুল ইসলাম এবং লালমাই থানা পুলিশের একটি টিম।

বাজারে ভুয়া ডাক্তার ও অনুমোদনহীন ফার্মেসির দৌরাত্ম্য চরমে পৌঁছেছে।মোবাইল কোর্টের অভিযান খবর পেয়ে দোকান বন্ধ করে পালিয়ে যায় মেডিক্যাল দোকানদারা ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাজারের অধিকাংশ ডাক্তারই কোনো স্বীকৃত ডিগ্রিধারী নন। তবুও তারা রোগী দেখছেন এবং ওষুধ প্রেসক্রাইব করছেন।

এছাড়া বাজারের বহু ফার্মেসিরই নেই বৈধ ট্রেড লাইসেন্স, ড্রাগ লাইসেন্স বা অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। অভিযোগ রয়েছে, এসব দোকানে অতিরিক্ত দামে ওষুধ বিক্রি ও প্রয়োজনের অতিরিক্ত ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে।

স্থানীয় ব্যক্তি বলেন, “যখন মোবাইল কোর্টের অভিযান শুরু হয়, তখন খবর পেয়ে আটিটি বাজারের সব ওষুধ দোকানদার তড়িঘড়ি করে দোকান বন্ধ করে পালিয়ে যায়। যদি তারা বৈধভাবে ব্যবসা করতো, তাহলে পালাত না। আপনি যাচাই করলেই দেখবেন—কোনো দোকানেই সঠিক কাগজপত্র নেই।”

স্থানীয় সূত্রে আরও জানা যায়, আটিটি বাজারে বর্তমানে মোট ১৪টি মেডিসিন দোকান রয়েছে। এর মধ্যে একটিও সম্পূর্ণ বৈধ নথিপত্র দেখাতে সক্ষম নয় বলে অভিযোগ উঠেছে।

এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ জরুরি তদন্তের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
জনস্বার্থে উপজেলা প্রশাসন, লালমাই কর্তৃক এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়েছে।