ঢাকা ০৩:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শিবগঞ্জ সীমান্তে ৬টি ভারতীয় চোরাই মোবাইলসহ আটক ১ রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলাম কায়েম না হলে পরিপূর্ণ দ্বীন মানা সম্ভবত নয়, মাও: বোরহান উদ্দিন নির্বাচন-গণভোটের প্রস্তুতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করলেন সিইসি বরুড়ায় হানাদারমুক্ত দিবস পালিত ১২ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের আবেদন ট্রাইব্যুনালে অবৈধ আয়ে পরিচালিত রাজনীতি চাঁদাবাজিকে উৎসাহিত করে : পরিকল্পনা উপদেষ্টা জাপান–বাংলাদেশ সহযোগিতায় কার্বন বাজার প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে: পরিবেশ উপদেষ্টা আইএসইউর মানবিক উদ্যোগ: বরুড়ায় শীতবস্ত্র বিতরণ  নারায়নগঞ্জের ফতুল্লার ধর্মগঞ্জে বেগম জিয়ার রোগ মুক্তি ও সুস্থতা কামনায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিল সেইভ আওয়ার উইমেন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম ডিভিশনের শীতবস্ত্র বিতরণ

স্ত্রীর চাকরি ও ইসলামের আলোকে দাম্পত্যের দায়বোধ

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:২৭:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৭৫ বার পড়া হয়েছে

নারীকে ঘিরে সভ্যতার গল্পে কত রঙ, কত বৈপরীত্য! কোথাও তিনি নিছক গৃহের আবদ্ধ বন্দিনী, কোথাও বা সভ্যতার ইতিহাস রচয়িতা।

ইসলাম আবির্ভূত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নারীরা পেল এক নতুন মর্যাদা—তারা আর অবহেলিত নন, বরং হয়েছেন সম্মানিত সহচর।

হযরত খদিজা (রা.)–এর ব্যবসায়িক সাফল্য কিংবা উহুদের প্রান্তরে নুসাইবা বিনতে কাব (রা.)–এর অমর সাহস স্মরণ করিয়ে দেয়, নারী কেবল পর্দার অন্তরালেই নন, বরং সমাজ ও ইতিহাসের সম্মুখভাগেও ছিলেন দীপ্ত।

তবু ইসলাম নারীর হাতে সব দায়িত্ব চাপিয়ে দেয়নি। কুরআনের আয়াত স্পষ্ট ঘোষণা দেয় “পুরুষেরা নারীদের দায়িত্বশীল… কারণ তারা তাদের ধন-সম্পদ ব্যয় করে থাকে।” (সূরা নিসা, ৩৪)

অর্থাৎ সংসারের ভরণপোষণ পুরুষের দায়িত্ব। স্ত্রী যদি কাজ করেন, তা হবে তার ইচ্ছায়; তার উপার্জন তার নিজের। সংসার চালানো তার কর্তব্য নয়, তার কাঁধে বোঝা চাপিয়ে দেওয়ার অধিকার কারও নেই।

কিন্তু বাস্তবতা কত ভিন্ন! বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সাম্প্রতিক জরিপ জানায়, শ্রমশক্তির এক-তৃতীয়াংশ নারী। তারা স্কুল-কলেজ, ব্যাংক-বীমা, হাসপাতাল কিংবা শিল্প-কারখানায় সমানতালে অবদান রাখছেন।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

শিবগঞ্জ সীমান্তে ৬টি ভারতীয় চোরাই মোবাইলসহ আটক ১

স্ত্রীর চাকরি ও ইসলামের আলোকে দাম্পত্যের দায়বোধ

আপডেট সময় : ১২:২৭:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নারীকে ঘিরে সভ্যতার গল্পে কত রঙ, কত বৈপরীত্য! কোথাও তিনি নিছক গৃহের আবদ্ধ বন্দিনী, কোথাও বা সভ্যতার ইতিহাস রচয়িতা।

ইসলাম আবির্ভূত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নারীরা পেল এক নতুন মর্যাদা—তারা আর অবহেলিত নন, বরং হয়েছেন সম্মানিত সহচর।

হযরত খদিজা (রা.)–এর ব্যবসায়িক সাফল্য কিংবা উহুদের প্রান্তরে নুসাইবা বিনতে কাব (রা.)–এর অমর সাহস স্মরণ করিয়ে দেয়, নারী কেবল পর্দার অন্তরালেই নন, বরং সমাজ ও ইতিহাসের সম্মুখভাগেও ছিলেন দীপ্ত।

তবু ইসলাম নারীর হাতে সব দায়িত্ব চাপিয়ে দেয়নি। কুরআনের আয়াত স্পষ্ট ঘোষণা দেয় “পুরুষেরা নারীদের দায়িত্বশীল… কারণ তারা তাদের ধন-সম্পদ ব্যয় করে থাকে।” (সূরা নিসা, ৩৪)

অর্থাৎ সংসারের ভরণপোষণ পুরুষের দায়িত্ব। স্ত্রী যদি কাজ করেন, তা হবে তার ইচ্ছায়; তার উপার্জন তার নিজের। সংসার চালানো তার কর্তব্য নয়, তার কাঁধে বোঝা চাপিয়ে দেওয়ার অধিকার কারও নেই।

কিন্তু বাস্তবতা কত ভিন্ন! বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সাম্প্রতিক জরিপ জানায়, শ্রমশক্তির এক-তৃতীয়াংশ নারী। তারা স্কুল-কলেজ, ব্যাংক-বীমা, হাসপাতাল কিংবা শিল্প-কারখানায় সমানতালে অবদান রাখছেন।