ঢাকা ০৯:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে যা বললেন প্রধান উপদেষ্টা অন্যায়ভাবে বাংলাদেশে এসে ভারতীয় জেলেদের মাছ ধরা বন্ধ করতে হবে সিদ্ধিরগঞ্জবাসীর আস্থার প্রতীক ট্রাস্ট হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক ভুল রক্তে শেষ নিঃশ্বাস প্রসূতি খাদিজার — কালিয়াকৈরের রুমাইসা হাসপাতালে ট্র্যাজেডি! ইউপি সদস্যের বসত বাড়ির ছাদে শুকানো হচ্ছিল গাঁজা, ব্রাহ্মণপাড়ায় ১০০ কেজিসহ আটক ১ শুধু নিষেধাজ্ঞা নয়, নিরাপদ বিকল্প জীবিকা চাই: ক্ষুদ্র জেলেদের ন্যায্য সহায়তার দাবিতে সেমিনার এক সপ্তাহের মধ্যে বিমানবন্দরের ই-গেট খুলে দেওয়া হবে:স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মিরপুরের পিচ নিয়ে সমালোচনা, যা বললেন মুশতাক আরও ঘনিষ্ঠ হচ্ছে রাশিয়া-ইরান: ক্রেমলিন সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা দায়েরের নির্দেশ

অন্যায়ভাবে বাংলাদেশে এসে ভারতীয় জেলেদের মাছ ধরা বন্ধ করতে হবে

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:৫৮:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫
  • ২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: অন্তর্বর্তী সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, ভারতের জেলেরা যাতে বাংলাদেশে এসে অন্যায়ভাবে মাছ ধরতে না পারে সেটা আমাদের বন্ধ করতে হবে। আমাদের জায়গায় কোস্ট গার্ড, নৌ-পুলিশ, নৌবাহিনী আছে। এটা বন্ধ করা তাদের দায়িত্ব।

আজ (মঙ্গলবার) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র মৎস্য মৎস্যজীবী জেলে সমিতির ১২তম জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষ্যে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

জেলেদের উদ্দেশে ফরিদা আখতার বলেন, ইলিশ মাছের প্রজননের সময়, সেটা আশ্বিনের পূর্ণিমার সময় ধরে তারিখ করা হয়েছে। আশ্বিনের পূর্ণিমার চারদিন আগে থেকে শুরু করে ২২ দিনের যে হিসাব, সেটা অনেক গবেষণা করে এবং আমাদের জেলেদের সম্মতি নিয়ে করা হয়েছে। এটা যখন আমরা ঘোষণা করি, তখন কিন্তু জেলে প্রতিনিধিরা ছিলেন। কাজেই ভারত কী করছে না করছে, সেটা আমরা করবো না।

তিনি বলেন, নদী থেকে জেলেরা যে মাছ ধরে, সেগুলো কিন্তু প্রকৃতি থেকে পাওয়া। সেজন্য এই মাছগুলোকে রক্ষা করতে হয়। মা মাছগুলোকে সময় দিতে হয় ডিম পাড়ার জন্য। ছোট মাছগুলোকে বড় হওয়ার সুযোগ দিতে হয়। মাছকে রক্ষা করতে না পারলে কেউ মাছ পাবে না।

জেলেদের ঋণ দেওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, দাদন একটি বড় সমস্যা। যে ঋণ এবং ব্যাংকের কথা আপনারা (উপস্থিত জেলে) বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে যখন কথা বললাম, তিনিও বললেন— দাদন একটি বড় সমস্যা। দাদন যে একটা বড় সমস্যা, সেটা কিন্তু সবাই স্বীকার করে। আমরা এখন ঋণ দেওয়ার জন্য ‘মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন ব্যাংক’ নামে একটা ব্যাংকের প্রস্তাব করে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এটা বাংলাদেশ ব্যাংকের হাতে আছে। তারা ইতোমধ্যে কিছু ব্যবস্থা এরকমভাবে নিচ্ছেন যে, অন্যান্য কিছু এজেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে যাতে কিছু ঋণ আপাতত দেওয়া যায়। একটা ব্যাংক করতে হলে সময় লাগবে। আপাতত যাতে কিছু বিকল্প পদ্ধতিতে স্বল্প সুদে ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে পারি।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, আমি দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ করবো যে, প্রাকৃতিক দুর্যোগে আমাদের জেলেদের খুব ক্ষতি হয়। দুর্যোগের সময় জেলেদের পরিবার জানে না যে, জেলেরা বেঁচে আছে নাকি মরে গেছে। জেলেদের পরিবার যাতে সুবিধা পায়, এটা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।

 

 

 

 

 

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে যা বললেন প্রধান উপদেষ্টা

অন্যায়ভাবে বাংলাদেশে এসে ভারতীয় জেলেদের মাছ ধরা বন্ধ করতে হবে

আপডেট সময় : ০৫:৫৮:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: অন্তর্বর্তী সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, ভারতের জেলেরা যাতে বাংলাদেশে এসে অন্যায়ভাবে মাছ ধরতে না পারে সেটা আমাদের বন্ধ করতে হবে। আমাদের জায়গায় কোস্ট গার্ড, নৌ-পুলিশ, নৌবাহিনী আছে। এটা বন্ধ করা তাদের দায়িত্ব।

আজ (মঙ্গলবার) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র মৎস্য মৎস্যজীবী জেলে সমিতির ১২তম জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষ্যে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

জেলেদের উদ্দেশে ফরিদা আখতার বলেন, ইলিশ মাছের প্রজননের সময়, সেটা আশ্বিনের পূর্ণিমার সময় ধরে তারিখ করা হয়েছে। আশ্বিনের পূর্ণিমার চারদিন আগে থেকে শুরু করে ২২ দিনের যে হিসাব, সেটা অনেক গবেষণা করে এবং আমাদের জেলেদের সম্মতি নিয়ে করা হয়েছে। এটা যখন আমরা ঘোষণা করি, তখন কিন্তু জেলে প্রতিনিধিরা ছিলেন। কাজেই ভারত কী করছে না করছে, সেটা আমরা করবো না।

তিনি বলেন, নদী থেকে জেলেরা যে মাছ ধরে, সেগুলো কিন্তু প্রকৃতি থেকে পাওয়া। সেজন্য এই মাছগুলোকে রক্ষা করতে হয়। মা মাছগুলোকে সময় দিতে হয় ডিম পাড়ার জন্য। ছোট মাছগুলোকে বড় হওয়ার সুযোগ দিতে হয়। মাছকে রক্ষা করতে না পারলে কেউ মাছ পাবে না।

জেলেদের ঋণ দেওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, দাদন একটি বড় সমস্যা। যে ঋণ এবং ব্যাংকের কথা আপনারা (উপস্থিত জেলে) বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে যখন কথা বললাম, তিনিও বললেন— দাদন একটি বড় সমস্যা। দাদন যে একটা বড় সমস্যা, সেটা কিন্তু সবাই স্বীকার করে। আমরা এখন ঋণ দেওয়ার জন্য ‘মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন ব্যাংক’ নামে একটা ব্যাংকের প্রস্তাব করে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এটা বাংলাদেশ ব্যাংকের হাতে আছে। তারা ইতোমধ্যে কিছু ব্যবস্থা এরকমভাবে নিচ্ছেন যে, অন্যান্য কিছু এজেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে যাতে কিছু ঋণ আপাতত দেওয়া যায়। একটা ব্যাংক করতে হলে সময় লাগবে। আপাতত যাতে কিছু বিকল্প পদ্ধতিতে স্বল্প সুদে ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে পারি।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, আমি দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ করবো যে, প্রাকৃতিক দুর্যোগে আমাদের জেলেদের খুব ক্ষতি হয়। দুর্যোগের সময় জেলেদের পরিবার জানে না যে, জেলেরা বেঁচে আছে নাকি মরে গেছে। জেলেদের পরিবার যাতে সুবিধা পায়, এটা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।