ঢাকা ০৬:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে যা বললেন প্রধান উপদেষ্টা অন্যায়ভাবে বাংলাদেশে এসে ভারতীয় জেলেদের মাছ ধরা বন্ধ করতে হবে সিদ্ধিরগঞ্জবাসীর আস্থার প্রতীক ট্রাস্ট হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক ভুল রক্তে শেষ নিঃশ্বাস প্রসূতি খাদিজার — কালিয়াকৈরের রুমাইসা হাসপাতালে ট্র্যাজেডি! ইউপি সদস্যের বসত বাড়ির ছাদে শুকানো হচ্ছিল গাঁজা, ব্রাহ্মণপাড়ায় ১০০ কেজিসহ আটক ১ শুধু নিষেধাজ্ঞা নয়, নিরাপদ বিকল্প জীবিকা চাই: ক্ষুদ্র জেলেদের ন্যায্য সহায়তার দাবিতে সেমিনার এক সপ্তাহের মধ্যে বিমানবন্দরের ই-গেট খুলে দেওয়া হবে:স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মিরপুরের পিচ নিয়ে সমালোচনা, যা বললেন মুশতাক আরও ঘনিষ্ঠ হচ্ছে রাশিয়া-ইরান: ক্রেমলিন সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা দায়েরের নির্দেশ

“সোনারগাঁয়ের সন্তান মোহাম্মদ হোসাইন: একক প্রয়াসে বদলে দিচ্ছেন দেশের পরিবেশ আন্দোলনের চিত্র

বিশেষ প্রতিবেদন:
সোনারগাঁয়ের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির পাদপীঠে জন্ম নেওয়া এক প্রতিভাবান সমাজসেবক ও পরিবেশপ্রেমিক মানুষ মোহাম্মদ হোসাইন। যিনি শুধু সোনারগাঁ নয়, আজ সমগ্র বাংলাদেশের পরিবেশ রক্ষার এক প্রেরণাদায়ী নাম। মানবিক চেতনায় উজ্জীবিত এই মানুষটি নিরবচ্ছিন্নভাবে ২০১০ সাল থেকে দেশের পরিবেশ, সমাজ ও জনকল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। তার নিরলস সেচ্ছাশ্রম, একাগ্রতা এবং দায়িত্ববোধ আজ তাঁকে এনে দিয়েছে দেশব্যাপী সম্মান ও ভালোবাসা।
২০১৫ সালে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরে ঘুরে পরিবেশ ও সামাজিক উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে অংশ নিয়ে তিনি সাধারণ মানুষের মন জয় করেন। ২০১৭ সালে নারায়ণগঞ্জ জেলার তৎকালীন জেলা প্রশাসক জনাব রাব্বি মিয়া সাহেবের উৎসাহ ও দিকনির্দেশনায় পরিবেশ রক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত কাজে মনোনিবেশ করেন তিনি। জেলা প্রশাসকের এই পরামর্শই পরবর্তীতে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সূচনা করে।
তার প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠা পায় “পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটি”, যা ২০২১ সালে সরকারি অনুমোদন লাভ করে। এরপর থেকে সংগঠনটি আর পেছনে ফিরে তাকায়নি। বাংলাদেশের ৪১টি জেলায় বর্তমানে এই সংগঠনের কার্যক্রম ছড়িয়ে পড়েছে। হাজার হাজার পরিবেশপ্রেমিক তরুণ-তরুণী মোহাম্মদ হোসাইনের নেতৃত্বে এক মহান লক্ষ্যকে সামনে রেখে কাজ করে যাচ্ছে।
সোসাইটির মূলমন্ত্র ও স্লোগান: “সবাই মিলে গড়বো দেশ, দূষণ মুক্ত বাংলাদেশ” – এই অঙ্গীকারকে সামনে রেখে সংগঠনটি প্রতিটি অঞ্চলে সচেতনতা ও কার্যক্রম পরিচালনা করছে, যা দেশের পরিবেশ রক্ষার আন্দোলনে নতুন গতি এনেছে।
উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম সমূহ:
১. বৃক্ষরোপণ ও রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচি
২. নবায়নযোগ্য জ্বালানি সচেতনতা কর্মসূচি
৩. নদী দখল ও দূষণ রোধে “নদী আড্ডা” সচেতনতা কার্যক্রম
৪. পরিচ্ছন্নতা অভিযান
৫. বিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের পরিবেশবান্ধব দেশ গঠনে সচেতনতা কার্যক্রম
৬. “পথের ফুল” নামে পথশিশুদের প্রাথমিক শিক্ষা কর্মসূচি
৭. বায়ু দূষণ রোধে জনসচেতনতা কার্যক্রম
৮. শব্দ দূষণ প্রতিরোধে সচেতনতা কার্যক্রম
৯. ডেঙ্গু প্রতিরোধ সচেতনতা
১০. জলাতঙ্ক প্রতিরোধ সচেতনতা
করোনাকালীন দুর্যোগেও তার সেচ্ছাশ্রম ছিল প্রশংসনীয়। নিজ হাতে চাল-ডাল-তরকারি পৌঁছে দিয়েছেন গরিবের ঘরে ঘরে। কাচপুরের বিশাল ময়লার ভাগার অপসারণে তার নেতৃত্ব ছিল চমকপ্রদ। বন্যায় দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে, জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছেন নিঃস্বার্থভাবে।
গর্বিত সোনারগাঁ, কৃতজ্ঞ বাংলাদেশ: আজ মোহাম্মদ হোসাইন শুধু একজন ব্যক্তি নন—তিনি একটি অনুপ্রেরণার নাম, একটি আন্দোলনের প্রতীক। দেশের পরিবেশ আন্দোলনে যিনি অবদান রেখে গেছেন নিঃস্বার্থভাবে, নিঃশব্দে। তার হাত ধরে জন্ম নেওয়া সংগঠনটি এখন ৪১টি জেলায় কাজ করছে এবং তরুণ সমাজকে পরিবেশরক্ষায় উৎসাহিত করছে।
সোনারগাঁয়ের মাটি তাকে জন্ম দিয়েছে, আর তিনি সেই মাটির সোনালি সার্থকতা হিসেবে নিজেকে তুলে ধরেছেন দেশের প্রতিটি প্রান্তরে।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে যা বললেন প্রধান উপদেষ্টা

“সোনারগাঁয়ের সন্তান মোহাম্মদ হোসাইন: একক প্রয়াসে বদলে দিচ্ছেন দেশের পরিবেশ আন্দোলনের চিত্র

আপডেট সময় : ১২:৪৮:৩০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫

বিশেষ প্রতিবেদন:
সোনারগাঁয়ের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির পাদপীঠে জন্ম নেওয়া এক প্রতিভাবান সমাজসেবক ও পরিবেশপ্রেমিক মানুষ মোহাম্মদ হোসাইন। যিনি শুধু সোনারগাঁ নয়, আজ সমগ্র বাংলাদেশের পরিবেশ রক্ষার এক প্রেরণাদায়ী নাম। মানবিক চেতনায় উজ্জীবিত এই মানুষটি নিরবচ্ছিন্নভাবে ২০১০ সাল থেকে দেশের পরিবেশ, সমাজ ও জনকল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। তার নিরলস সেচ্ছাশ্রম, একাগ্রতা এবং দায়িত্ববোধ আজ তাঁকে এনে দিয়েছে দেশব্যাপী সম্মান ও ভালোবাসা।
২০১৫ সালে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরে ঘুরে পরিবেশ ও সামাজিক উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে অংশ নিয়ে তিনি সাধারণ মানুষের মন জয় করেন। ২০১৭ সালে নারায়ণগঞ্জ জেলার তৎকালীন জেলা প্রশাসক জনাব রাব্বি মিয়া সাহেবের উৎসাহ ও দিকনির্দেশনায় পরিবেশ রক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত কাজে মনোনিবেশ করেন তিনি। জেলা প্রশাসকের এই পরামর্শই পরবর্তীতে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সূচনা করে।
তার প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠা পায় “পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটি”, যা ২০২১ সালে সরকারি অনুমোদন লাভ করে। এরপর থেকে সংগঠনটি আর পেছনে ফিরে তাকায়নি। বাংলাদেশের ৪১টি জেলায় বর্তমানে এই সংগঠনের কার্যক্রম ছড়িয়ে পড়েছে। হাজার হাজার পরিবেশপ্রেমিক তরুণ-তরুণী মোহাম্মদ হোসাইনের নেতৃত্বে এক মহান লক্ষ্যকে সামনে রেখে কাজ করে যাচ্ছে।
সোসাইটির মূলমন্ত্র ও স্লোগান: “সবাই মিলে গড়বো দেশ, দূষণ মুক্ত বাংলাদেশ” – এই অঙ্গীকারকে সামনে রেখে সংগঠনটি প্রতিটি অঞ্চলে সচেতনতা ও কার্যক্রম পরিচালনা করছে, যা দেশের পরিবেশ রক্ষার আন্দোলনে নতুন গতি এনেছে।
উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম সমূহ:
১. বৃক্ষরোপণ ও রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচি
২. নবায়নযোগ্য জ্বালানি সচেতনতা কর্মসূচি
৩. নদী দখল ও দূষণ রোধে “নদী আড্ডা” সচেতনতা কার্যক্রম
৪. পরিচ্ছন্নতা অভিযান
৫. বিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের পরিবেশবান্ধব দেশ গঠনে সচেতনতা কার্যক্রম
৬. “পথের ফুল” নামে পথশিশুদের প্রাথমিক শিক্ষা কর্মসূচি
৭. বায়ু দূষণ রোধে জনসচেতনতা কার্যক্রম
৮. শব্দ দূষণ প্রতিরোধে সচেতনতা কার্যক্রম
৯. ডেঙ্গু প্রতিরোধ সচেতনতা
১০. জলাতঙ্ক প্রতিরোধ সচেতনতা
করোনাকালীন দুর্যোগেও তার সেচ্ছাশ্রম ছিল প্রশংসনীয়। নিজ হাতে চাল-ডাল-তরকারি পৌঁছে দিয়েছেন গরিবের ঘরে ঘরে। কাচপুরের বিশাল ময়লার ভাগার অপসারণে তার নেতৃত্ব ছিল চমকপ্রদ। বন্যায় দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে, জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছেন নিঃস্বার্থভাবে।
গর্বিত সোনারগাঁ, কৃতজ্ঞ বাংলাদেশ: আজ মোহাম্মদ হোসাইন শুধু একজন ব্যক্তি নন—তিনি একটি অনুপ্রেরণার নাম, একটি আন্দোলনের প্রতীক। দেশের পরিবেশ আন্দোলনে যিনি অবদান রেখে গেছেন নিঃস্বার্থভাবে, নিঃশব্দে। তার হাত ধরে জন্ম নেওয়া সংগঠনটি এখন ৪১টি জেলায় কাজ করছে এবং তরুণ সমাজকে পরিবেশরক্ষায় উৎসাহিত করছে।
সোনারগাঁয়ের মাটি তাকে জন্ম দিয়েছে, আর তিনি সেই মাটির সোনালি সার্থকতা হিসেবে নিজেকে তুলে ধরেছেন দেশের প্রতিটি প্রান্তরে।